• ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগ
  • " />

     

    রেকর্ড গড়েই সিটির ওল্ড ট্রাফোর্ড জয়

    রেকর্ড গড়েই সিটির ওল্ড ট্রাফোর্ড জয়    

    লিগের এক ও দুই নম্বরে থাকা দলের খেলা। তারা আবার নগর প্রতিদ্বন্দ্বীও। ওল্ড ট্রাফোর্ডে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড-ম্যানচেস্টার সিটির খেলাটার গায়ে তাই ‘সেরা আকর্ষণের’ তকমা লেগেছিল অনেক দিন ধরেই। যে কাজটা এতোদিন প্রিমিয়ার লিগের অন্য কোনো দল পারেনি, সেটাই করতে হত ইউনাইটেডকে। উড়তে থাকা সিটিকে ধরায় নামিয়ে আনা। শেষ পর্যন্ত ইউনাইটেডও পারেনি। ম্যানচেস্টার সিটিই ২-১ গোলে জিতে গেছে ডার্বি।  

    প্রিমিয়ার লিগে শেষ হয়েছে মাত্র ১৬ ম্যাচ, আজকের জয়ের পর এরই মধ্যে দুই থাকা ইউনাইটেডের সাথে পয়েন্ট ব্যবধান ১১ তে নিয়ে গেছে পেপ গার্দিওলার দল। সাথে প্রিমিয়ার লিগে একটানা জয়ের রেকর্ডটাও ছুঁয়েছে সিটিজেনরা। ২০০২ সালে আর্সেনালের পর লিগে টানা ১৪ ম্যাচ জিতল ম্যান সিটি।     


    আর ঘরের মাঠে এর আগে ৪০ ম্যাচ অপরাজিত থাকা হোসে মরিনহোর দল যেন আরেকটা চক্র পূরণ করল। লিগে ওল্ড ট্রাফোর্ডে সবশেষ হারটাও ছিল এই ম্যানচেস্টার সিটির কাছেই।



    খেলাটা ইউনাইটেডের মাঠে হলেও প্রথমার্ধে ম্যানচেস্টারের আকাশি-নীলের কাছে বিবর্ণই লেগেছে লাল দলকে। কিন্তু বিরতিতে যাওয়ার আগ পর্যন্তও খেলা ছিল সমতাতেই। ৪৩ মিনিটে ডেভিড সিলভা এগিয়ে দিয়েছিলেন ম্যান সিটিকে। এর আগ পর্যন্ত ৭৫ শতাংশ বলের দখল ছিল সিলভাদের কাছেই। সিটির এগিয়ে যাওয়াটা তাই অবাক করার মতো কিছুই ছিল না।

    গোলটা হজম করেই যেন টনক নড়ে ইউনাইটেডের। এর আগ পর্যন্ত সিটির আক্রমণ সামলে লং বলে নিষ্ফলা সব আক্রমণ সাজাচ্ছিল ঘরের দল। গোল হজমের পরও অবশ্য আক্রমণের সেই ধরনটা বদলায়নি। ইউনাইটেডের সমতাসূচক গোলটা এলো সিটির রক্ষণের ভুলে। ৪৫ মিনিটে মার্কোস রোহোর বাড়ানো লং বলটা ক্লিয়ার করতে পারেননি অটামেন্ডি, ডেলফের কেউই। ডিবক্সের ভেতর বল পেয়ে যান মার্কোস র‍্যাশফোর্ড। কোনাকুনি শটে সোজা জালে বল পাঠিয়ে স্বস্তি এনে দেন ওল্ড ট্রাফোর্ডে।

    বিরতির পরও সেই স্বস্তিটাই বিরাজ করছিল স্ট্রেটফোর্ড এন্ডে, তবে বেশিক্ষণ স্থায়ী হয়নি। ৫৪ মিনিটে অটামেন্ডির গোলে আবারও এগিয়ে যায় সিটিজেনরা। ফ্রি কিক থেকে বল উড়িয়ে মেরেছিলেন সিলভা, রোমেলু লুকাকুও বল ক্লিয়ার করার জন্য ধেয়ে গিয়েছিলেন জায়গা মতো। কিন্তু লুকাকুর ডান পায়ের দুর্বল শট ইউনাইটেডের ডিফেন্ডারদের গায়ে লেগে আবার ফেরত আসে অটামেন্ডির কাছেই। সিলভার পাঠানো বলটা ঠিকানাতেই পৌঁছে। খানিকটা দেরিতে, কিছুটা ঘুরে। সেখান থেকেই গোল করেন অটামেন্ডি।

    আর্জেন্টাইন ডিফেন্ডারের ওই গোলটাই ভাগ্য গড়ে দিয়েছে ম্যাচের। কিন্তু দুই দলের পার্থক্যটা গড়ে দিয়েছেন সিটি গোলরক্ষক এডারসন মোরায়েস। খেলার শেষ ২০ মিনিটে ইব্রাহিমোভিচ, হুয়ান মাতাদের নামিয়ে হার এড়ানোর সব সবরকম চেষ্টাই করেছিলেন মরিনহো। গোলটাও প্রায় পেয়েই গিয়েছিল তার দল। ৮৪ মিনিটে লুকাকু আর মাতার পর পর দুটি শট অবিশ্বাস্যভাবে ঠেকিয়ে দিয়ে ম্যাচের আলো কেড়ে নেন এডারসন।

    এর আগে ২-১ গোলে এগিয়ে থাকা ম্যাচে সিটিও বেশ কয়েকটি আক্রমণ করেছিল। কিন্তু ইকায়ি গুন্ডোয়ান, ডি ব্রুইনারা গোলবঞ্চিত হয়েছেন। অন্যদিকে র‍্যাশফোর্ডও আরেকবার সিটির রক্ষণের ভুলের সুযোগ নিতে পারতেন। কিন্তু এডারসন বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছিলেন তখনও। ৭৮ মিনিটে একবার অ্যান্ডার হেরেরা পেনাল্টির আবেদন করলেও তাতে সাড়া দেননি রেফারি। শেষ পর্যন্ত তাই সিটির আরও এক জয়েই শেষ হয়েছে আরও এক সপ্তাহ।