• ত্রিদেশীয় সিরিজ
  • " />

     

    সুযোগ লুফে নিতে প্রস্তুত মাহমুদ

    সুযোগ লুফে নিতে প্রস্তুত মাহমুদ    

    বাংলাদেশ ক্রিকেটের অনেক দায়িত্বর সঙ্গেই পরিচিত খালেদ মাহমুদ সুজন। শ্রীলঙ্কা, জিম্বাবুয়ের সঙ্গে ত্রিদেশীয় সিরিজ ও শ্রীলঙ্কার সঙ্গে সিরিজে এবার নতুন অভিজ্ঞতা হচ্ছে তার। চন্ডিকা হাথুরুসিংহে চলে যাওয়ার পর থেকেই শূন্য প্রধান কোচের দায়িত্বটা পালন করবেন তিনিই। তবে নামটা ঠিক প্রধান কোচ হবে না, হবে ‘টেকনিক্যাল ডিরেক্টর’। যে নামই হোক, সুযোগ নিতে প্রস্তুত মাহমুদ। 

    ‘একরমভাবে যদি বলা হয় হেড কোচ নাই এই সিরিজে। কিন্তু দায়িত্বটা ওইরকমই হবে। হয়তবা কোচের পরিবর্তে নামটা পরিবর্তন হবে। টেকনিক্যাল ডিরেক্টর হবে। কাজটা ওইরকমই থাকবে। যখনই আমাকে বাংলাদেশ ক্রিকেটের কোন দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে আমি চেষ্টা করি সেটা ঠিকভাবে করতে। আর আমার কাছে পদ বা রোল গুরুত্বপূর্ণ না। বাংলাদেশ দলের জন্য কাজ করি এটাই সবচেয়ে বড় জিনিস। এটা আমার জন্য একটা সুযোগ। আমি এই সুযোগ দুই হাতে লুফে নিব। আমার যতটুকু সামর্থ্য আছে, ক্রিকেট-জ্ঞান আছে, কোচিং-জ্ঞান আছে সেটা অবশ্যই এই সিরিজে কাজে লাগাব।’

     

     

    যে হাথুরুসিংহে চলে যাওয়াতে দায়িত্ব পাচ্ছেন মাহমুদ, সেই তিনিই আবার আসছেন শ্রীলঙ্কার কোচ হয়ে। বাংলাদেশকে হাথুরু ভালভাবেই জানেন, সেটাও মনে করিয়ে দিচ্ছেন তাই, ‘‘চন্ডিকা যেহেতু সাড়ে তিন বছর আমাদের মধ্যে ছিল। আমাদের ভাল মন্দ অবশ্যই সে জানে। আমাদেরও সেভাবে পরিকল্পনা করতে হবে নিশ্চয়ই। পরিবর্তন কিছু করতে হবে। দিনশেষে এটা ব্যাট বলের খেলা। কাজেই ‘এক্সিকিউশন’ খুব দরকার। মাঠে গিয়ে যদি পরিকল্পনা অনুযায়ী খেলতে না পারি তাহলে কঠিন। দলে পরিকল্পনা কার্যকর করার মত ক্রিকেটার আছে, অভিজ্ঞ ক্রিকেটার আছে। অধিনায়কের পরিবর্তন ভাল দিকেও নিয়ে আসে। ২০১৮ তে আমাদের শুরুটা যাতে ভাল হয় আমরা সেভাবেই চিন্তা করব।’

    ভারতের সঙ্গে সম্প্রতি সব ফরম্যাটেই হেরেছে শ্রীলঙ্কা। আবার দক্ষিণ আফ্রিকাও নিজেদের শেষ সফরে সব ম্যাচই হারতে হয়েছে বাংলাদেশকে। শ্রীলঙ্কাকে হালকাভাবে নিচ্ছেন না মাহমুদ, তবে দেখছেন বাংলাদেশের দারুণ সুযোগ, ‘কার বিপক্ষে এটা গুরুত্বপূর্ণ না। দায়িত্ব মানে আমাদের জন্য একটা সুযোগ। দক্ষিণ আফ্রিকায় হয়ত আমাদের খুব ভাল সিরিজ যায়নি। কন্ডিশন এবার ভিন্ন। আমাদের হোম কন্ডিশনে খেলা হবে। আমি মনে করি যথেষ্ট ব্যালেন্সড একটা দল। আমি মনে করি ওয়ানডে ও টেস্টে জেতার মতই দল আমাদের।’

    অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপ খেলতে যে দল গেছে, সেটা নিয়েও আশাবাদি মাহমুদ, ‘গত দুই বছর একসাথে ছিল দলটা। এইটুকু বলতে পারি দলটা তৈরি। প্রচুর ম্যাচ খেলেছে, বিদেশ থেকে কোচ এনেছি। দলের মধ্যে একটা মিশ্রণ আছে। সিনিয়ররা আছে, জুনিয়র আছে। সাইফ, আফিফ, পিনাক গতবার যারা খেলেছে। মেধাবি তরুণরা আছে। কন্ডিশন একটু কঠিন, যেহেতু নিউজিল্যান্ডে খেলা। যেহেতু এটা আইসিসি টুর্নামেন্ট আমি মনে করি ভাল উইকেট হবে। আশা করি দলটা ভাল খেলবে।’