• ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগ
  • " />

     

    শীর্ষস্থানটা আরও সুসংহত করল সিটি

    শীর্ষস্থানটা আরও সুসংহত করল সিটি    

    ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগে এই সপ্তাহের খেলার আগে নগর প্রতিদ্বন্দ্বী ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের চেয়ে ১৩ পয়েন্টে এগিয়ে ছিল ম্যানচেস্টার সিটি। গতকাল ওল্ড ট্রাফোর্ডে বার্নলির সাথে ইউনাইটেড ড্র করায় লিডটা আরও বাড়িয়ে নেওয়ার সুযোগ এসেছিল সিটির সামনে। নিউক্যাসল ইউনাইটেডকে তাদেরই মাঠে হারিয়ে টেবিলের শীর্ষে লিডটা ১৫ পয়েন্টে নিয়ে গেল পেপ গার্দিওলার দল। রাফা বেনিতেজের দলকে ১-০ গোলে হারিয়েছে 'সিটিজেন'রা। সিটির জয়ে একমাত্র এবং জয়সূচক গোলটি করেছেন ইংলিশ উইঙ্গার রহিম স্টার্লিং।

     

     

     

    টেবিলের তলানীতে থাকা নিউক্যাসলের বিপক্ষে জয়ের ব্যবধানটা আরও বড় হতে পারত সিটির। কিন্তু ভাগ্য এবং প্রতিপক্ষ গোলরক্ষক রব এলিয়টের দুর্দান্ত দক্ষতায় তা আর হয়ে ওঠেনি। সেই সাথে তারকা স্ট্রাইকার জুটি সার্জিও আগুয়েরো এবং গ্যাব্রিয়েল জেসুসরাও মেতেছিলেন মিসের মহড়ায়। ম্যাচের শুরুটা অবশ্য বেঞ্চেই করেছিলেন জেসুস। কিন্তু ১২ মিনিটে অধিনায়ক ভিনসেন্ট কম্পানি ইনজুরিতে পড়লে বদলি হিসেবে তাকেই নামিয়ে দেন গার্দিওলা। এর মিনিট চারেক আগেই গোলের দারুণ এক সুযোগ পেয়েছিলেন আগুয়েরো। কিন্তু ফার্নান্দিনহোর নিখুঁত ক্রসে এই আর্জেন্টাইনের নেওয়া ভলি প্রতিহত হয় বারপোস্টে। ম্যাচের ১৮ মিনিটে গোলের আরও একটি সুযোগ পেয়েছিলেন আগুয়েরো। কিন্তু গোলের মাত্র গজ তিনেক দূর থেকে তার হেড অবিশ্বাস্যভাবে ফিরিয়ে দেন এলিয়ট। ৩০ মিনিটে প্রায় ২৫ গজ দূর থেকে আগুয়েরোর আরও একটি শট বারে প্রতিহত হলে যে যাত্রায়ও বেঁচে যায় নিউক্যাসল। অবশ্য এর মিনিটখানেক পরই লিড নেয় সিটি। ৩১ মিনিটে কেভিন ডি ব্রুইনের সাথে দারুণ এক 'ওয়ান-টু' করে ডিবক্সে ঢুকে পড়েন স্টার্লিং। ডি ব্রুইনের ফিরতি পাস থেকে এলিয়টকে পরাস্ত করেন তিনি। ইংলিশ ফুটবলারদের মধ্যে এই মৌসুমে স্টার্লিং-এর চেয়ে বেশি গোল করেছেন কেবল হ্যারি কেন (২৪)।

     

     

    সিটি লিড নেওয়ার পরপরই সমতায় ফেরার দারুণ এক সু্যোগ পেয়েছিল নিউক্যাসল। ৩৪ মিনিটে প্রতি আক্রমণে বাঁ-প্রান্তে বল পান রোলান্ডো অ্যারন্স। গোলরক্ষক এডারসন এগিয়ে আসলে চিপ করেন তিনি। কিন্তু বল জালে প্রবেশ করার ঠিক আগ মুহুর্তে লাফিয়ে উঠে ক্লিয়ার করেন ডিফেন্ডার নিকোলাস ওতামেন্ডি। প্রথমার্ধের শেষদিকে ব্যবধান দ্বিগুণ করার চমৎকার এক সু্যোগ পেয়েছিলেন স্টার্লিং। কিন্তু তার শট দারুণভাবে রুখে দেন এলিয়ট। দ্বিতীয়ার্ধেও যেন সিটির আক্রমণভাগের সামনে এক দুর্গই হয়ে উঠেছিলেন তিনি। ইলকে গুন্ডোগান, ডি ব্রুইনেদের বেশকিছু প্রচেষ্টা রুখে দিয়েছেন দক্ষ হাতে। ম্যাচের ৭৫ মিনিটে আসে সবচেয়ে বিতর্কিত মুহুর্ত। ডিবক্সে দানিলোর সাথে ধাক্কা লেগে পড়ে যান স্ট্রাইকার ডোয়াইট গেইল। কিন্তু নিউক্যাসলকে পেনাল্টি না দিয়ে উলটো 'ডাইভ' দেওয়ার অপরাধে গেইলকেই হলুদ কার্ড দেখান রেফারি আন্দ্রে ম্যারিনার। নির্ধারিত ৯০ মিনিট মাত্র মিনিট দুয়েক বাকি থাকতে নিউক্যাসলের সমতায় ফেরার সবচেয়ে বড় সুযোগটি পেয়েছিলেন গেইলই। কিন্তু তার হেড সিটির গোলের সামান্য বাইরে দিয়ে চলে গেলে শেষমেশ খালি হাতেই ফিরতে হয় 'ম্যাগপাই'দের।

     

    আজ নিউক্যাসলকে হারিয়ে ইপিএল-এ প্রতিপক্ষের মাঠে চেলসির টানা জয়ের রেকর্ডে (১১, ০৭-০৮ মৌসুম) ভাগ বসাল সিটি। ৩১ ডিসেম্বর ক্রিস্টাল প্যালেসের বিপক্ষে জিতলে এই রেকর্ডটিও নিজেদের করে নেবে তারা। আজকের জয়ে ২০ ম্যাচে ৫৮ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষস্থানটা আরও সুসংহত করল গার্দিওলার দল।