তামিম-মাহমুদউল্লাহর সঙ্গে উজ্জ্বল পেসাররা
লাল দল ৩২০/৬ (তামিম ১০৪, মাহমুদউল্লাহ ৮৭, আবুল ৩৫)
সবুজ দল ১৮৩ (মুশফিকুর ৪৪*, রুবেল ৩/২১, আবু হায়দার ৩/৫১)
ফল : লাল দল ১৩৭ রানে জয়ী
দুই দলের জার্সি একই, জার্সি বলতে অনুশীলন কিট। সন্ধ্যার দিকে তো কয়েজন সেই জার্সির ওপর ট্র্যাকসুটের জ্যাকেট গায়েই নামলেন ফিল্ডিংয়ে। কেউ আবার ব্যাটিংয়ে নামলেন জাতীয় দলের শেষ জার্সিতে। প্রস্তুতি ক্যাম্পের ক্রিকেটারদের যখন ম্যাচ চলছে, মাঠের বাইরে একপাশে দাঁড়িয়ে জাতীয় দলের দুই নির্বাচক মিনহাজুল আবেদিন ও হাবিবুল বাশার। তাদের সঙ্গে আলাপে যোগ দিলেন টেকনিক্যাল ডিরেক্টর খালেদ মাহমুদ। আলোচনার বিষয়বস্তু যে ত্রিদেশীয় সিরিজের দল নির্বাচন, সেটা অনুমান করে নেওয়াই যায়। সেই দল নির্বাচনে এই ম্যাচের পারফরম্যান্স কতোখানি প্রভাব ফেলবে, সেটা অবশ্য অনুমানের বাইরেই।
নির্বাচকদের আলোচনা... (বিসিবি, রতন গোমেজ)
খাতা-কলমে প্রস্তুতি ম্যাচটা জিতেছে সাকিব আল হাসানের লাল দল। তামিম ইকবালের সেঞ্চুরি, মাহমুদউল্লাহর ৮৭ রানের ইনিংসের পর ম্যাচের উল্লেখযোগ্য দিক আবু হায়দার ও রুবেল হোসেনের তিনটি করে উইকেট। আর প্রথম ইনিংসে দুইটি করে উইকেট নিয়েছেন তিন পেসার- মুস্তাফিজুর রহমান, তাসকিন আহমেদ ও সাইফউদ্দিন।
টসে জিতে ব্যাটিংয়ে নেমেছিল লাল দল। তামিমের সঙ্গী ছিলেন ঘরোয়া ক্রিকেটের পারফরম্যান্স দিয়ে আলোচনায় থাকা এনামুল হক। মুস্তাফিজের বলে তার স্টাম্প উড়ে যাওয়ার আগে তিনি করেছেন ৩ চারে ২০ বলে ২১ রান। নাজমুল ইসলামকে ছয় মেরে তামিম করেছেন সেঞ্চুরি, পরের বলে চার মেরে নিয়েছেন অবসর। আগে থেকেই কথা ছিল, কেউ সেঞ্চুরি করলে এরপরই উঠে যাবেন তিনি।
প্রথম ইনিংসে হতাশ মুশফিক (বিসিবি, রতন গোমেজ)
তিনে নেমেছিলেন সাকিব, তাসকিনের বলে ক্যাচ দেওয়ার আগে তিনি করেছেন ২৪। মুশফিকুর রহিম আউট হয়েছেন শূন্যতেই, ব্যাটিং অনুশীলনটা বাকি ছিল বলেই কিনা নেমেছিলেন সবুজ দলের হয়েও। একই ম্যাচের দ্বিতীয় ইনিংসে মুশফিক খানিকটা পুষিয়ে নিয়েছেন, ছয়ে নেমে অপরাজিত ছিলেন ৪৪ রানে।
মাহমুদউল্লাহ ৩ চার আর ৫ ছয়ে ৭৫ বলে করেছেন ৮৭। মাশরাফিদের ফুলটস বা আলগা ডেলিভারিগুলো কাজে লাগিয়েছেন ভালভাবেই, সঙ্গে ছিলেন আবুল হাসান। কদিন আগেই নতুন ব্র্যান্ডের ব্যাট এনেছেন মাহমুদউল্লাহ, আইসিসির নতুন নিয়মে সেই ব্যাটের মাপ কয়েকবার মিলিয়ে দেখলেন আম্পায়াররা।
তামিম-মাহমুদউল্লাহর জুটি (বিসিবি, রতন গোমেজ)
সবুজ দলে সৌম্য সরকারের ওপেনিং সঙ্গী ছিলেন মোহাম্মদ মিঠুন। প্রথমে রুবেলের শর্ট বলে ক্যাচ দিয়েছেন মিঠুন, ৩২ রানে। ত্রিদেশীয় সিরিজের দল নির্বাচনে অন্তত এ ম্যাচ দিয়ে বার্তা দিতে পারেননি সৌম্য, আউট হয়েছেন ১৮ রান করেই। লিটন দাস, নাসির হোসেন, নাজমুল হোসেনরাও ফ্লাডলাইটের নিচে আলাদা আলো ছড়াতে পারেননি। ৪৩.২ ওভারে ১৮৩ রানেই গুটিয়ে গেছে মাশরাফির দল।
এর আগে মাশরাফি বলেছিলেন, ম্যাচ জিততে গুরুত্বপূর্ণ পেসারদের পারফরম্যান্স। ম্যাচে ১৬ উইকেটের মাঝে ১৪ উইকেট নিয়েছেন পেসাররাই। আর ম্যাচের মাঝে খালেদ মাহমুদ বলে গেছেন, দলের ‘প্রধান ফ্রেম’টা ঠিক রাখা হবে, আর বাকি কম্বিনেশন ঠিক করা হবে প্রতিপক্ষের শক্তি-দূর্বলতার সঙ্গে নিজেদের শক্তি বিবেচনার ওপরই। দক্ষিণ আফ্রিকা সফরের পর টানা টি-টোয়েন্টি খেলে যাওয়া ক্রিকেটারদের জন্য এমন ম্যাচ অনুশীলনটা গুরুত্বপূর্ণ ছিল বলেই মত তার।