পান্ডিয়ার দিনেও এগিয়ে আফ্রিকা
সংক্ষিপ্ত স্কোর
দক্ষিণ আফ্রিকা ২৮৬ ও ৬৫/২ ( মার্করাম ২৪, পান্ডিয়া ২/১৭)
ভারত ১ম ইনিংস ২০৯ ( পান্ডিয়া ৯৩, ফিল্যান্ডার ৩/৩৩)
৯২ রানে নেই ৭ উইকেট। ডেল স্টেইন, কাগিসো রাবাদা, ভার্নন ফিল্যান্ডার ও মরনে মরকেলদের বল সাপের মতো ছোবল দিচ্ছে। ঠেকাবেন না ছেড়ে দেবেন; কোনো সিদ্ধান্তে আসার আগেই তাঁদের বলে আউট হয়েছেন প্রথম ৬ ব্যাটসম্যান। প্রথমবারের মতো দক্ষিণ আফ্রিকায় খেলতে আসা হার্দিক পান্ডিয়া হয়ত পাল্টা আক্রমণ করার ইচ্ছা নিয়েই ক্রিজে নামলেন। স্রোতের বিপরীতে তাঁর দুর্দান্ত ব্যাটিংয়ে খাদের কিনারে থেকে ফিরেছে ভারত। দিনশেষে অবশ্য ১৪২ রানের লিড নিয়ে এগিয়ে ফাফ ডু প্লেসির দলই।
প্রথম দিনের শেষ ঘণ্টায় পড়েছিল ভারতের ৩ উইকেট। দ্বিতীয় দিনের প্রথম সেশনেও দাঁড়াতে পারেননি কেউই। ফিল্যান্ডার ফেরান পূজারাকে, রাবাদার বলে এলবিডব্লিউয়ের ফাঁদে পড়েন রোহিত শর্মা। লাঞ্চের পরপরই অলআউট হওয়ার শঙ্কায় কোহলিরা। ঠিক তখনই দৃশ্যপটে আগমন পান্ডিয়ার। ১৪ চার ও এক ছয়ে আফ্রিকান বোলারদের শুধু হতাশাই উপহার দিয়েছেন। তাঁর এরকম ব্যাটিংয়ে রক্ষণাত্মক ফিল্ডিং সাজাতেও বাধ্য হন ডু প্লেসি।
ভুবনেশ্বর কুমারও দারুণ সঙ্গ দিয়েছেন পান্ডিয়াকে। অষ্টম উইকেটে দুজন যোগ করেন মহা মূল্যবান ৯৯ রান। ৮৬ বলে ২৫ রান করে মরকেলের বলে ফেরেন ভুবনেশ্বর। সেঞ্চুরি থেকে মাত্র ৭ রান দূরে থাকতে ফিরতে হয় পান্ডিয়াকেও। রাবাদার বলে কুইন্টন ডি ককের হাতে ক্যাচ দিলে শেষ হয় লড়াকু এই ইনিংসটি। প্রথম ইনিংসে যেখানে বিশাল লিডের স্বপ্ন দেখছিলেন ডু প্লেসিরা, সেখানে লিড আসে ৭৭ রানের।
পান্ডিয়ার ব্যাটিংয়ের সাথে দক্ষিণ আফ্রিকার হতাশার ঝুলিতে যোগ হয়েছে স্টেইনের ইনজুরি। নিজের ১৮ তম ওভারে বলের সময় গোড়ালিতে চোট পান সদ্যই ইনজুরি কাটিয়ে ফেরা স্টেইন। পড়ে স্ক্যানের পর জানা যায়, ৪ থেকে ৬ সপ্তাহের জন্য মাঠে বাইরে চলে গেছেন তিনি।
ব্যাটিংয়ের মতো বোলিংয়েও ভারতকে আশায় আলো দেখাচ্ছেন সেই পান্ডিয়াই। উদ্বোধনী জুটিতে ডিন এলগার-এইডেন মার্করাম তুলেছিলেন ৫২ রান, সুবিধা করতে পারছিলেন না প্রথম ইনিংসের নায়ক ভুবনেশ্বরও। কোহলি বল তুলে দিলেন পান্ডিয়ার হাতে, ২ ওভারের ব্যবধানে ফেরালেন দুই ওপেনারকেই। ‘পান্ডিয়াময়’ দিনের শেষে নাইট ওয়াচম্যান রাবাদাকে নিয়ে ক্রিজে আছেন হাশিম আমলা।