• ত্রিদেশীয় সিরিজ
  • " />

     

    হতাশার নয়, এনামুলের সময়টা ছিল চ্যালেঞ্জিং

    হতাশার নয়, এনামুলের সময়টা ছিল চ্যালেঞ্জিং    

    নেলসন, নিউজিল্যান্ড। বিপক্ষ স্কটল্যান্ড। ফিল্ডিংয়ের ৩১তম ওভারে কাঁধে চোট পেলেন এনামুল হক। করতে পারলেন না ব্যাটিং-ও। সৌম্য সরকার ওপেনিংয়ে নেমে করেছিলেন ২ রান। বাংলাদেশের জার্সি গায়ে এনামুলের শেষ ওয়ানডে সেটাই। এরপর থেকেই আছেন আলোচনায়, ঘরোয়া ক্রিকেটের পারফরম্যান্সে বেড়েছে সে আলোচনা। এনামুল এবার দলে এসেছেন, সেই সৌম্যের জায়গায়। জাতীয় দলের বাইরের সময়টা হতাশার নয়, বরং তার কাছে ছিল চ্যালেঞ্জিং। 

    ‘হতাশার চেয়ে বেশি ছিলো চ্যালেঞ্জ। আমার জন্য ঘরোয়া পর্যায়ের প্রত্যেকটা আসরই চ্যালেঞ্জিং ছিলো। প্রিমিয়ার লিগেই যেমন, শেষ হলেই কথা উঠতো বিজয় কতো রান করলো। বা প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটেও একই কথা। বিপিএলেও সবাই দেখেছে কতো করলাম। এটা আমার জন্য চ্যালেঞ্জ। নিজেকে আরো ভালো কিছুর জন্য অনুপ্রাণিত করা। ভালো খেলতে না পারাই হতাশার। জাতীয় দলে সবাই যখন ভালো খেলে, তখন আসলে নিজের জন্য হতাশ লাগে না। বরং দেশ ভালো খেললে ভালো লাগে। আমি সব সময় বড় স্বপ্ন দেখি। এ কারণে হয়তো হতাশ লাগে না।’

    হতাশা না থাকুক, এই চ্যালেঞ্জের সময়ে নিজেকে আরও সমৃদ্ধ করতে পেরেছেন বাংলাদেশের হয়ে ৪৭টি আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলা এনামুল, ‘আমার মনে হয় অভিজ্ঞতার একটা ব্যাপার আছে। লম্বা কিছু ম্যাচ খেলেছি। সম্ভবত ২০টি প্রথম শ্রেণির ম্যাচ খেলেছি। ওয়ানডেও খেলেছি ৪০টার মতো। এটা একটা অভিজ্ঞতা। এ ছাড়া ওয়ানডে লিগে বা প্রথম শ্রেণির লিগে দলকে জেতানো বা জেতা দলে থাকা; এটাও একটা দারুণ অভিজ্ঞতা। ছোটখাট আরো অনেক কিছু থাকে। ব্যাটিংয়ের দক্ষতা বাড়ানো, কিপিংয়ে কিছু কাজ করা; আসলে নিয়মিত খেলার মধ্যে থাকলে উন্নতির সুযোগটাই বেশি থাকে। আমার কাছে মনে হয়, উন্নতি অনেক বেশি হয়েছে। ইনিংসগুলো বড় হচ্ছে। দুইটা ডাবল সেঞ্চুরি করেছি। সব কিছুতেই নিজেকে আগের থেকে ভালো লাগছে।’

    সৌম্য যেমন কোচের সুনজরে ছিলেন বলে প্রচলিত আছে, ঠিক উল্টোটা এনামুলকে নিয়ে। তবে সৌম্যর মতো তিনিও ভাবতে চান না সেভাবে, ‘ওইভাবে কখনো ভাবিনি। একজন একজনকে অপছন্দ করতেই পারে। এটা জোর করে কিছু হয় না। আমার জন্য পারফর্ম করে যাওয়াই গুরুত্বপূর্ণ ব্যাপার। এ জন্য তাই বিশ্বাস ছিলোই। কোচের বিষয়ে তাই চিন্তা ছিলো না। কেউ আসবে, কেউ যাবে; কিন্তু আমাকে খেলে যেতেই হবে।’

    নিজের টেকনিক নিয়ে কোনও কাজ করেছেন কিনা, সেটা জানতে অপেক্ষা করতে বললেন তিনি, ‘তিন বছরে অনেক কিছুই চেষ্টা করেছি। চেষ্টা করেছি নতুন কিছু করার। যদি লম্বা রান করতে পারি, যদি দলকে যদি কিছু দিতে পারি; তখন হয়তো বোঝা যাবে কী করতে পারি।’

    সেই বুঝতে পারার বিষয়টা যতো তাড়াতাড়ি হবে, ততোই বোধহয় ভাল। এনামুলের জন্য, বাংলাদেশের জন্যও।