বদলাবেন না 'আগ্রাসী' সাব্বির
গত বছরের শেষ সিরিজে দক্ষিণ আফ্রিকার সঙ্গে ছয় ও সাত নম্বর পজিশনে খেলেছিলেন সাব্বির রহমান। ত্রিদেশীয় সিরিজে তিন নম্বর থেকে তিনি সরে যাচ্ছেন, এটা মোটামুটি নিশ্চিতই। তবে পজিশন নিয়ে সাব্বির তেমন চিন্তা করছেন না, তার মনোযোগ দলের জন্য অবদান রাখার দিকেই। একই সঙ্গে মাঠের বাইরের ঘটে যাওয়া ঘটনাও তার খেলায় প্রভাব ফেলবে না, আত্মবিশ্বাসী সেটা নিয়েও।
আফ্রিকার সঙ্গে প্রথম ওয়ানডেতে নেমেছিলেন ছয়ে, ২১ বলে ১৮ রান করে কাগিসো রাবাদাকে স্লাইস করতে গিয়ে আউট হয়েছিলেন সুইপার কাভারে। পরের ম্যাচে ১৮ বলে ১৭ রান করে ইমরান তাহিরকে ডাউন দ্য গ্রাউন্ডে এসে স্লগ করতে গিয়ে তুলেছিলেন খাড়া ক্যাচ। তৃতীয় ওয়ানডেতে ৪৯ বলে ৩৯ রান করে ড্রাইভ করতে গিয়েই উইকেটের পেছনে দিয়েছিলেন ক্যাচ। এমন পজিশনে খেললে সেট হওয়ার জন্য সময় মেলে কম, সাব্বির সেট হলেও ইনিংস শেষ করে আসতে ব্যর্থ।
তবে এটাকে ঠিক টেম্পারমেন্টের ব্যাপার বলে মানতে নারাজ সাব্বির, ‘এটা টেম্পারেমেন্টের ব্যাপার না। আমার খেলাই আসলে এমন। আগে যখন তিন নম্বরে খেলতাম, তখন ব্যাপারটা অন্য রকম ছিলো। এখন ছয় সাত বা পাঁচ ছয়ে খেলবো। এটা টিম ম্যানেজমেন্টের ব্যাপার। আমি যখন যেখানে খেলার সুযোগ পাবো, চেষ্টা করবো পরিস্থিতি অনুযায়ী খেলার। এখন আমি চিন্তা করছি, কখন কিভাবে খেলা উচিত তা নিয়ে। যদি উইকেটে থাকি, ম্যাচ ফিনিশ করবো- ইনশাল্লাহ।’
যেখানেই খেলুন, নিজের আগ্রাসী মনোভাবটা ধরে রাখতে চান সবসময়ই, ‘হ্যা, অবশ্যই সাব্বির আগ্রাসী থাকবে। সব সময়।’
এই আগ্রাসী ব্যাপারটা ব্যাটিং ছাড়া অন্যান্য জায়গায় কাজে লাগাতে গিয়েই সাব্বিরের যতো বিপত্তি। দর্শক পিটিয়ে ঘরোয়া ক্রিকেটে নিষিদ্ধও হয়েছেন ছয় মাস। নিষেধাজ্ঞা-সমালোচনা ব্যক্তি সাব্বিরের ওপর প্রভাব ফেললেও খেলায় প্রভাব ফেলবে না বলে আত্মবিশ্বাসী তিনি, ‘মানুষ হিসেবে আমার উপর এই ঘটনা অনেক প্রভাব ফেলেছে। তবে যদি প্রফেশনাল খেলোয়াড় হিসেবে চিন্তা করি, তাহলে পাস্ট ইজ পাস্ট! যা হওয়ার হয়ে গেছে, এটার প্রভাব যাতে খেলায় না পড়ে, সেটা নিয়ে চিন্তা করছি। চিন্তা করছি ন্যাশনাল টিমকে আমার জায়গা থেকে সেরাটা দিতে। কারণ আমি বাংলাদেশের পতাকা বহন করছি। চেষ্টা করছি ভালো কিছু করার জন্য।’
‘(আমার ভেতরে) এ রকম কোনো পরিবর্তন আসে নাই! মাথায় নেতিবাচক কিছু ঘটছে না। ডিমেরিট পয়েন্ট নিয়ে ভাবনা নাই। এক পয়েন্ট বা ১০ পয়েন্ট, সমস্যা নাই। চেষ্টা করছি এই সিরিজটা ভালো খেলার জন্য।’