সেই হাথুরু, এই হাথুরু
সংবাদ সম্মেলন কক্ষের এই মঞ্চে চন্ডিকা হাথুরুসিংহে এর আগেও এসেছেন অসংখ্যবার। তবে প্রতিবারই বাংলাদেশের ‘পোশাক’ ছিল তার গায়ে। এবার আসলেন অন্য পোশাকে, এবার তিনি শ্রীলঙ্কার কোচ। সাড়ে তিন বছর ধরে দায়িত্বে ছিলেন, বাংলাদেশকে নিয়ে কথা বলতে ব্যবহার করতেন তাই ‘আমরা’ শব্দটাই।
সে অভ্যাসটা যায়নি এখনও, এক প্রশ্নের জবাবে আজও মুখ ফসকে বলে ফেললেন তেমন, ‘দেশের মাটিতে বাংলাদেশ খুব ভালো দল। গত আড়াই বছরে একটি ছাড়া আমরা আর সিরিজ হারিনি। “আমরা” বলতে আমি বোঝাচ্ছি বাংলাদেশকে। ওরা ওয়ানডেতে খুব ভালো ক্রিকেট খেলছে। তারা নিজেদের ভূমিকা ও ম্যাচ পরিকল্পনা খুব ভালো করে জানে। সেদিক থেকে প্রতিপক্ষের জন্য এখানে খেলা অনেক চ্যালেঞ্জিং।’
দায়িত্ব ছেড়েছিলেন হুট করে, এরপর কাগজপত্র নিতে একবার বাংলাদেশে আসলেও সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলেননি সেভাবে। যা বলেছেন, তা শ্রীলঙ্কাতে গিয়েই। এবার বললেন, বাংলাদেশকে ঘিরে আসলে আবেগকে আলাদা করে জায়গা দিতে চান না তিনি, ‘এখানে যে সাড়ে তিন বছর ছিলাম, সেখান থেকে নিশ্চই জানেন আমি আবেগী মানুষ নই। আবেগ তাই খুব বেশি নেই। তবে আমি এখনও চাই বাংলাদেশ ভালো করুক। ক্রিকেটারদের শুভকামনা জানাই। ওদের সঙ্গে অনেক ঘনিষ্ঠ ছিলাম, খুব ভালো জানাশোনা হয়ে গিয়েছিল। আমি চাই ওরা অনেক সাফল্য বয়ে আনুক। একই ভাবে চাই বাংলাদেশ আরও সফল হোক। একই সঙ্গে এখন আমার যা কাজ, আমি চাই শ্রীলঙ্কা ভালো করুক।’
প্রায় অনেক কোচের মতোই, বাংলাদেশের কোচ থাকতে বিভিন্ন মাধ্যমে আলোচনা চলেছে হাথুরুর পছন্দের কয়েকজন ক্রিকেটারকে নিয়ে। ফর্মজনিত কারণে এই ত্রিদেশীয় সিরিজেই নেই তেমন দুইজন- সৌম্য সরকার ও তাসকিন আহমেদ।
ঘুরেফিরে হাথুরুর সংবাদ সম্মেলনে আসলো বাংলাদেশ, আসলো এই প্রশ্নটাও। এবারও তিনি চরম পেশাদার, ‘বাংলাদেশ দল মানে একজন-দুইজন ক্রিকেটার নয়। আরও অনেক ভালো ক্রিকেটার আছে। ৫ জন ক্রিকেটার না থাকলেও তারা পারফর্ম করতে পারে। আমার প্রিয় বলে কেউ ছিল না। যখন কেউ পারফর্ম করে, তখনই সে আমার প্রিয়। এভাবেই দেখি।’