'আমরা ভুলে গিয়েছি, হাথুরুর বিষয় আপনারাও ভুলে যান'
দক্ষিণ আফ্রিকা সিরিজের বিভীষিকা ভুলে এ সিরিজ বাংলাদেশের নতুন শুরুর উপলক্ষ্য। ক্রিকেটারদের মতো কোচেরও সেই আনন্দ-বেদনার সঙ্গী হওয়ার কথা। চন্ডিকা হাথুরুসিংহের ক্ষেত্রেও তাই। তবে বাংলাদেশের আনন্দ-বেদনার অংশীদার নন তিনি এখন আর। তবে হাথুরুসিংহে যেন সংবাদ সম্মেলন ছেড়ে যাচ্ছেনই না!
শ্রীলঙ্কার কোচ হয়ে বাংলাদেশে এলেন। জিম্বাবুয়ের সঙ্গে শ্রীলঙ্কা হারলো। এরপর বাংলাদেশের সঙ্গে ম্যাচ শ্রীলঙ্কার। সেখানে হারলো শ্রীলঙ্কা- হাথুরুসিংহের প্রসঙ্গ উঠলো সবখানেই। মাশরাফি বিন মুর্তজা বা সাকিব আল হাসান- সবার কথার মূলসুরটা অবশ্য একই। হাথুরু এখন অতীত। আজ যেমন সাকিব বললেন, ‘আমরা (হাথুরুর বিষয়টা) মাথায় নেই না, এটা আমরা মনে প্রাণে বিশ্বাস করি। আমি চাই, আপনারাও যেন মাথায় না নেন। এটা আমাদের জন্য আরও ভালো।’
তবে শ্রীলঙ্কার বিষয়টা অবশ্য ভুলে যাচ্ছেন না। যে শ্রীলঙ্কা একসময় বাংলাদেশকে একসময় বলেকয়েই হারিয়ে দিত, তাদের সময়টা ভাল যাচ্ছে না মোটেও। জিম্বাবুয়ের সঙ্গে হারের পর বাংলাদেশের সঙ্গে উড়ে যাওয়া- ত্রিদেশীয় সিরিজের ফাইনালটা এখন তাদের কাছে দুর্গম পথ। এমনিতেও জিম্বাবুয়ের পর বাংলাদেশের সবচেয়ে ‘চেনা’ প্রতিপক্ষ তারাই, সাকিব দুই দলের মধ্যে সেভাবে তুলনাতেও যেতে চান না, ‘ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে সব সময় কাউকে এগিয়ে রাখা কঠিন ব্যাপার। কারণ ওই দিনটাতে কে ভালো খেলবে সেটা বলা মুশকিল। কাউকে এগিয়ে রাখা কিংবা পিছিয়ে রাখার ব্যাপার এখানে না।’
‘আমাদের কাজ থাকবে, কিভাবে আমরা আমাদের সেরা ক্রিকেট খেলতে পারি। যেভাবে আমরা শেষ দুটি ম্যাচ খেলেছি, সেভাবে পরের ম্যাচগুলোতে খেলতে পারলে আামাদের পক্ষে খুব ভালো ভাবেই চ্যাম্পিয়ন হওয়ার সম্ভব।’
তবে হাথুরু পরবর্তী যুগে পরিবর্তনের বিষয়টা নাকচ করছেন না সাকিব, ‘একটুতো ভিন্ন হবেই সবকিছু। আমাদের পরিকল্পনা যারা করেন তাদের চিন্তা ভাবনায় পরিবর্তন এসেছে। যেহেতু আমাদের কোচের পরিবর্তন এসেছে। তাদের নতুন কিছু চিন্তা ভাবনা থাকবে। আমি বলবো না আগে আমরা স্বাধীন ভাবে খেলতে পারতাম না। এখন আমরা স্বাধীন ভাবে খেলার পাশাপাশি সিদ্ধান্তও নিতে পারি। তাই আমাদের কাছে মনে হয়, আমাদের কাছে এটা একটা বাড়তি সুবিধা। (খালেদ মাহমুদ) সুজন ভাই আছে, রিচার্ড (হ্যালসল) আছে- দুইজনই জানেন আমাদের কী দরকার। দুইজনই এগুলো সরবরাহ করতে পারছে, আমরা মাঠে পারফরম্যান্স করছি।’
শ্রীলঙ্কার সঙ্গে বা হাথুরুসিংহের দলের সঙ্গে এ জয়েও তাই বাড়তি উচ্ছ্বাস নেই সাকিবের, ‘না। একটা জয় আমাদের কাছে কেবল জয়ই। শ্রীলঙ্কার সঙ্গে জেতাটা গুরুত্বপূর্ণ ছিল আমাদের জন্য। এই টুর্নামেন্টের প্রতিযোগিতা হিসেবেও যদি দেখি এই ম্যাচটা জেতা গুরুত্বপূর্ণ ছিল ফাইনালে যাওয়ার জন্য। দুটি ম্যাচেই আমরা যেভাবে প্রভাব বিস্তার করে জিতলাম, অবশ্যই এটা আমাদের অনেক বড় আত্মবিশ্বাস দেবে পরের দুটি ম্যাচ জেতার জন্য।’
তবে টানা দুই ম্যাচে সেরা পারফরমারের বিষয়টা সাকিবকে দিচ্ছে দারুণ অনুভূতি, ‘দলের জন্য অবদান রাখা তো সব সময় ভালো একটা অনুভূতি। শেষ দুইদিন ধরে ভালো পারফরম্যান্স হচ্ছে ব্যাটিং-বোলিং সব বিভাগেই। আলহামদুল্লিাহ চেষ্টা থাকবে এটা যেন ধারাবাহিক ভাবে করতে পারি।’