• ফ্রেঞ্চ লিগ ওয়ান
  • " />

     

    শেষ মুহূর্তের গোলে হারল নেইমারবিহীন পিএসজি

    শেষ মুহূর্তের গোলে হারল নেইমারবিহীন পিএসজি    

     

    রেফারি যেকোনো সময় শেষ বাঁশি বাজাবেন। পিএসজি- লিঁও ম্যাচের সম্ভাব্য ফলাফল তখন ড্রই মনে হচ্ছিল। ডি বক্সের বেশ খানিকটা বাইরে বল পেলেন লিঁওর মেমফিস ডিপাই, দুই ডিফেন্ডারকে কাটিয়ে শট নিলেন। বুলেট গতিতে যাওয়া সেই বল হালকা বেঁকে ঢুকে গেলো জালে, পিএসজি গোলরক্ষক আলফোনসে আরেওলা শুধু তাকিয়েই রইলেন। শেষ মুহূর্তের দুর্দান্ত এই গোলে ২-১ ব্যবধানে পিএসজিকে হারিয়েছে লিঁও।

     

     

     

    থাইয়ে ব্যথার কারণে একাদশে ছিলেন না নেইমার। ম্যাচের ২ মিনিটেই পিছিয়ে যায় পিএসজি। বক্সের সামান্য বাইরে থেকে ফ্রি কিকে দলকে এগিয়ে দেন নাবিল ফেকির। ১৮ মিনিটেই সমতা আনতে পারতেন এডিসন কাভানি, ডি মারিয়ার ক্রসে তাঁর হেড পোস্টে লেগে ফিরে আসে।

     

    প্রথমার্ধের একদম শেষে সমতা আনে পিএসজি। দানি আলভেসের পাসে বক্সের বাইরে বল পান লেভিন কুরজাওয়া। তাঁর বা পায়ের জোরালো শটে ম্যাচে ফেরে দল।

     

    দ্বিতীয়ার্ধের ৫৭ মিনিটে বড় ধাক্কা যায় পিএসজি। পেছন থেকে ফাউল করার দায়ে আলভেসকে লাল কার্ড দেখান রেফারি। ২০১৫ সালের পর এই প্রথম লিগ ম্যাচে লাল কার্ড দেখলেন এই ব্রাজিলিয়ান, বার্সেলোনার হয়ে খেলার সময় রিয়াল ভায়োকানোর বিপক্ষে কার্ড দেখে মাঠের বাইরে যেতে হয়েছিল। ১০ জনের পিএসজি তবুও আক্রমণাত্মক ফুটবলই খেলছিল। বেশ কয়েকটি সুযোগ এলেও সেটা কাজে লাগাতে পারেননি দলের ফরোয়ার্ডরা।

     

    ৯৩ মিনিট ২৯ সেকন্ডের মাথায় পিএসজিকে হতাশায় ডুবিয়ে জয়সূচক গোলটি করেন ডিপাই। গত ৮ বছরে লিগে পিএসজি এর চেয়ে বেশি সময়ে গোল খেয়েছে মাত্র একবার। ২০১০ সালের আগস্টে বোর্দোর বিপক্ষে ৯৩ মিনিট ৫১ সেকেন্ডে গোল খেয়েছিল তারা।  

     

    এই হারের পরেও ২২ ম্যাচে ৫৬ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে আছে পিএসজিই। সমান ম্যাচে ৪৮ পয়েন্ট নিয়ে দ্বিতীয় স্থানে আছে লিঁও।