• বাংলাদেশ-শ্রীলংকা
  • " />

     

    সবকিছুর পর আলোচনায় স্পিনই

    সবকিছুর পর আলোচনায় স্পিনই    

    কবে, কখন

    জহুর আহমেদ চৌধুরি স্টেডিয়াম, চট্টগ্রাম
    ৩১ জানুয়ারি-৪ ফেব্রুয়ারি, ২০১৮
    বাংলাদেশ সময় ০৯.৩০


    ২০০১, ২০১৩, ২০১৭।

    ২০০১ সালে বাংলাদেশ প্রথম খেলেছিল শ্রীলঙ্কার সঙ্গে। প্রথম পরাজয় ঠেকাতে লেগেছিল ১২ বছর। ২০১৩ সালে গলে ৫৭০ রানে শ্রীলঙ্কা প্রথম ইনিংস ঘোষণা করেছিল ‘অভ্যাশবশত’ই। বাংলাদেশ জবাব দিল ৬৭০ রান করে, শ্রীলঙ্কার সঙ্গে প্রথম ড্র। ড্রয়ের অভ্যাস তৈরি হলো, পরের বছর চট্টগ্রামে আবার ড্র। কুমার সাঙ্গাকারা তার ট্রিপল সেঞ্চুরির আক্ষেপ ঘোচালেন, পরের ইনিংসেও করলেন সেঞ্চুরি।

    ড্রয়ের পরের ধাপ জয়। তিন বছর পর আবার শ্রীলঙ্কার সঙ্গে ম্যাচ, প্রথম ম্যাচে হার। দ্বিতীয় টেস্টে জয়। ১৬ বছরে ১৭তম টেস্টে এসে বাংলাদেশ শ্রীলঙ্কার সঙ্গে জিতলো প্রথমবার। বড় দলের সঙ্গে জয়ের অভ্যাসটাও বাংলাদেশের গড়ে উঠছিল, ইংল্যান্ডকে মিরপুরে হারিয়ে ড্র করেছিল সিরিজ। শ্রীলঙ্কা ও বাংলাদেশ শেষ টেস্ট খেলেছে সেই কলম্বোতেই, বাংলাদেশ যেখানে জিতেছিল ৪ উইকেটে।

    শুধু এই জয়টা নয়, বাংলাদেশের একটা বাঁকবদল হয়ে গেছে স্পিন-নির্ভর উইকেট তৈরী করে ‘হোম-কন্ডিশনে’র সুবিধা নেওয়া বা নিজেদের অভ্যস্থ করায়। তবে প্রতিপক্ষ শ্রীলঙ্কা বলেই ব্যাপারটা অন্যরকম- রঙ্গনা হেরাথ ও দিলরুয়ান পেরেরাদের শ্রীলঙ্কার অনেক বড় শক্তিও যে ওই স্পিনই।

    দুই অধিনায়কের কথাতেই ফুটে উঠেছে- এই সিরিজে বেশ বড় ভূমিকা রাখবে ওই স্পিনই। সাকিব আল হাসানের চোটের কারণে দলে ডাকা হয়েছে বাড়তি তিনজন স্পিনারকে। আর হেরাথ-পেরেরারা ত্রিদেশীয় সিরিজে না খেললেও যোগ দিচ্ছেন টেস্ট দলের সঙ্গে।

     

    রঙ্গমঞ্চ

    বাংলাদেশ প্রথম টেস্ট জিতেছিল চট্টগ্রামে, তবে এই জহুর আহমেদ চৌধুরি স্টেডিয়ামে নয়। ১৬ টেস্টের মধ্যে এ মাঠে বাংলাদেশের একমাত্র সাফল্য জিম্বাবুয়ের সঙ্গে ২০১৪ সালে জয়। ইংল্যান্ড ও অস্ট্রেলিয়ার সঙ্গে ড্র করা টেস্ট সিরিজে বাংলাদেশ হেরেছে এখানেই।

    যাদের ওপর চোখ

    মুশফিকুর রহিম

    ওয়ানডে, টি-টোয়েন্টির নেতৃত্ব হারিয়েছিলেন আগেই। মুশফিকুর রহিম সর্বশেষ হারিয়েছেন টেস্ট নেতৃত্বও। অধিনায়কত্ব ছাড়া মুশফিক শেষ খেলেছিলেন ২০১১ সালে। শ্রীলঙ্কার সঙ্গে প্রথম টেস্টে মুশফিকের কাছে ফিরে আসবে সেই স্মৃতিটাও। নতুন মুশফিক পারবেন স্মরণীয় কিছু করতে?

    দীনেশ চান্ডিমাল

    ভারতের সঙ্গে টেস্ট সিরিজে রান করেছিলেন ৩৬৬, ৬১ গড়ে। শ্রীলঙ্কার ব্যাটসম্যানদের মধ্যে দুইয়ে ছিলেন অ্যাঞ্জেলো ম্যাথিউস, ৩২ গড়ে ১৯৬ রান করে। ত্রিদেশীয় সিরিজেও ম্যাথিউসের অনুপস্থিতিতে নেতৃত্ব দিয়ে দলকে চ্যাম্পিয়ন করেছেন, টেস্ট সিরিজেও শ্রীলঙ্কার ব্যাটিংয়ের অনেক বড় দায়িত্ব নিতে হবে তাকেই।  
     

    সম্ভাব্য একাদশ

    অধিনায়কত্ব পেয়েও টেস্টে নেই সাকিব আল হাসান। দক্ষিণ আফ্রিকার সঙ্গে টেস্ট সিরিজে না থাকা তামিম ইকবাল, মোসাদ্দেক হোসেনরা ফিরবেন। স্কোয়াডের ছয়জন স্পিনারের মধ্যে কোন তিনজন খেলবেন, প্রশ্ন সেটাই। শ্রীলঙ্কা দলেও নেই অ্যাঞ্জেলো ম্যাথিউস, শেষ টেস্টের দল থেকে বাদ পড়েছেন সাদিরা সামারাবিক্রমা। দলে ফিরছেন রঙ্গনা হেরাথ ও কুশাল মেন্ডিস।

    বাংলাদেশ

    তামিম ইকবাল, ইমরুল কায়েস, মুমিনুল হক, মুশফিকুর রহিম, মাহমুদউল্লাহ (অধিনায়ক), লিটন দাস(উইকেটকিপার), মোসাদ্দেক হোসেন, তাইজুল ইসলাম, মেহেদি হাসান, মুস্তাফিজুর রহমান, আব্দুর রাজ্জাক।  

    শ্রীলঙ্কা

    দিমুথ করুনারত্নে, ধনঞ্জয়া ডি সিলভা, কুশাল মেন্ডিস, দীনেশ চান্ডিমাল (অধিনায়ক), রোশেন সিলভা, নিরোশান ডিকয়েলা(উইকেটকিপার), দিলরুয়ান পেরেরা, রঙ্গনা হেরাথ, সুরাঙ্গা লাকমাল, আকিলা দনঞ্জয়া, লাহিরু গামাগে।

    সংখ্যার খেলা

    • বাংলাদেশের ১০ম টেস্ট অধিনায়ক হচ্ছেন মাহমুদউল্লাহ।
    • ইনিংসে সবচেয়ে বেশিবার ৫ উইকেট নেওয়ার তালিকায় হেরাথের (৩৩) ঠিক সামনে আছেন অনীল কুম্বলে (৩৫)। আর ১০ উইকেটের তালিকায় তার (৯) ঠিক সামনে শেন ওয়ার্ন (১০)।
    • আর ১১৪ রান হলে প্রথম বাংলাদেশী হিসেবে টেস্টে ৪০০০ রান পূর্ণ হবে তামিমের।
    • ৪ উইকেট নিলে ৪র্থ শ্রীলঙ্কান পেসার হিসেবে টেস্টে ১০০ উইকেট পূর্ণ হবে লাকমালের।