সিটির চেয়ে আরও পিছিয়ে গেল ইউনাইটেড
ওয়েম্বলিতে তখনও নিজেদের জায়গায় ঠিকমতো বসতে পারেননি সমর্থকেরা। তার আগেই গোল। মাত্র ১১ সেকেন্ডের ওই গোলেই ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে নিয়েছিল টটেনহাম হটস্পার। সেখান থেকে আর ফিরে আসতে পারেনি ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড। ২-০ গোলে হেরে ম্যাচ শেষ হয়েছে তাদের। ইউনাইটেড প্রতিপক্ষ শক্ত হলেও ম্যানচেস্টার সিটির ম্যাচের ফলটা অনুমিতই ছিল। ঘরের মাঠে ওয়েস্টব্রমউইচ আলবিওনকে ৩-০ গোলে হারিয়ে সিটি এগিয়ে গেছে আরও। ইউনাইটেডের চেয়ে ১৫ পয়েন্টে এগিয়ে শীর্ষস্থানটা আরও মজবুত করেছে সিটি।
রাতের সবচেয়ে বড় চমকটা অবশ্য দেখিয়েছে বোর্নমাউথ। স্ট্যামফোর্ড ব্রিজে চেলসিকে ৩-০ গোলে হারিয়ে দিয়েছে তারা। প্রথমার্ধ অবশ্য গোলশুন্যই ছিল। ৫১ থেকে ৬৭ মিনিটের মধ্যে তিন গোল হজম করে ঘরের মাঠে হেরে বড় এক ধাক্কাই খেয়েছেন আন্তোনিও কন্তে। আজকের পর প্রিমিয়ার লিগের পয়েন্ট তালিকার ২ আর ৩ নম্বর জায়গায় তাই থাকল অপরিবর্তিত।
ওয়েম্বলিতে মাত্র ১১ সেকেন্ডে করা ক্রিস্টিয়ান এরিকসনের গোল নিয়ে অবশ্য বিতর্ক আছে। কিক-অফের আগে ইউনাইটেডের অর্ধের খানিকটা ভেতরেই ছিলেন হ্যারি কেইন। তিনিই বল দিয়েছিলেন ড্যালে অ্যালেকে, সেখান থেকেই পরে গোল করেন এরিকসন। প্রিমিয়ার লিগের ইতিহাসে এর চেয়ে কম সময়ে গোল হওয়ার ঘটনা আছে মাত্র দুবার। শুরুতেই পিছিয়ে পড়ার পর অবশ্য জেসি লিনগার্ড ভালো একটা সুযোগ পেয়েছিলেন ইউনাইটেডকে ম্যাচে ফেরানোর। কিন্তু হুগো লরিসের কাছে হার মানতে হয়েছে ইংলিশ ফরোয়ার্ডকে।
ইউনাইটেডের জন্য কাজটা আরও কঠিন হয়ে যায় ২৮ মিনিটে। ডান দিক থেকে আসা ক্রস ক্লিয়ার করতে না পেরে নিজের জালেই ঢুকিয়ে দেন ফিল জোনস। আত্মঘাতী গোলে ব্যবধান দ্বিগুণ করে ঘরের দল। প্রথমার্ধের মতো পরের অর্ধেও আক্রমণে তেমন একটা সুবিধা করতে পারেনি ইউনাইটেড। ৫৬ মিনিটে রোমেলু লুকাকু নেওয়া শট ছাড়া তেমন কোনো নিশ্চিত গোলের সুযোগ তৈরি করতেই ব্যর্থ হয়েছে হোসে মরিনহোর দল। রেড ডেভিলদের ব্যর্থ হওয়ার দিনে অ্যালেক্সিস সানচেজও সুর মিলিয়েছেন বাকি সতীর্থদের সাথে। পুরো ম্যাচে ছিলেন নিজের ছায়া হয়েই।
প্রিমিয়ার লিগে নিজের ১০০ তম গোল আজও পাওয়া হয়নি হ্যারি কেইনের। প্রথমার্ধে দুবার শট নিয়েছিলেন ডিবক্সের ভেতর থেকে। ইংলিশ স্ট্রাইকারের নেওয়া দুর্বল শট সহজেই ঠেকিয়েছেন ডেভিড ডি গিয়া।
ইতিহাদ স্টেডিয়ামে ম্যানচেস্টারের আরেক ক্লাবের জন্য চিত্রটা ছিল একেবারেই ভিন্ন। ১৯ মিনিটেই ফার্নান্দিনহোর গোলে লিড নিয়েছিল সিটিজেনরা। এরপর দ্বিতীয় গোলের জন্য অবশ্য বেশ কিছুক্ষণ অপেক্ষা করতে হয়েছে গার্দিওলার দলকে। ৬৮ মিনিটে কেভিন ড্রি ব্রুইন গোল করেন রাহিম স্টার্লিংয়ের পাস থেকে। কিছুক্ষণ পর নিজের দ্বিতীয় গোলটিও পেতে পারতেন বেলজিয়ান মিডফিল্ডার। মাঝমাঠ থেকে নেওয়া লং শটটা একটুর জন্য গোলে পরিণত হয়নি, ঠেকিয়ে দিয়েছেন বেন ফোস্টার। ৮৯ মিনিটে সিটির হয়ে শেষ গোলটি করেন সার্জিও আগুয়েরো।
গতকাল সিটিতে যোগ দেওয়ার পর আজ শুরুর একাদশেই মাঠে নেমেছিলেন আয়মেরিক লাপোর্তে। খেলেছেন পুরো ৯০ মিনিটও। পুরো ম্যাচে সিটির দাপট বোঝাতে একটা পরিসংখ্যানই যথেষ্ট। ৭৩ শতাংশ বল দখলের সাথে ১১ টি শট অন টার্গেট ছিল সিটির, অন্যদিকে ওয়েস্টব্রম এডারসন মোরায়েসের পরীক্ষা নিতে পেরেছিল মাত্র একবার।