• বাংলাদেশ-শ্রীলংকা
  • " />

     

    চিন্তা-ভাবনা করেই এই মুমিনুল

    চিন্তা-ভাবনা করেই এই মুমিনুল    

    প্রায় তিন বছরের সেঞ্চুরি খরা কাটিয়ে মুমিনুল হক এগুচ্ছিলেন আরও সামনে। গতকালই করে ফেলেছিলেন ১৭৫, দৃষ্টিসীমায় ডাবল সেঞ্চুরি বা আরও বেশি। সে স্কোরের সঙ্গে মুমিনুল যোগ করতে পারলেন মাত্র ১ রান। রঙ্গনা হেরাথের ফুললেংথের বলে ফ্লিক করতে গিয়ে টাইমিংয়ে গড়বড় করে ক্যাচ দিলেন শর্ট লেগে। মুমিনুল নিজে অবশ্য ব্যক্তিগত মাইলফলকের কথা মাথাতেই নিচ্ছেন না। বরং দলের জন্য আরেকটু রান করে আসতে পারলেই ভাল লাগতো তার। 

    ‘আরও বেশি না, হয়তো দলের জন্য আরও কিছুটা অবদান রাখতে পারলে ভালো লাগত। এই আর কী। যতটুকু করতে পেরেছি আলহামদুলিল্লাহ ভালো। আরও একটা সেশন খেলতে পারলে ভালো লাগত, সবকিছুর পর এটা তো দলের জন্য খেলা’, বলেছেন বাঁহাতি ব্যাটসম্যান। 

    শর্ট লেগে কুশাল মেন্ডিসের দারুণ ক্যাচে ফিরতে হয়েছে তাকে, বলটাও ছিল জায়গামতো। তবে মুমিনুল ভাগ্যকে দোষ দিতে রাজি নন, ‘না, তা বলব না। এরকম বলব না। হয়তো এমন বল হতেই পারে, আমি একটু বেশি ক্যাজুয়াল ছিলাম। আমার কাছে এটাই মনে হয়।’

    ফর্ম, সেঞ্চুরিখরা, দল থেকে বাদ পড়া, কোচের সুনজরে না থাকা- মুমিনুল অনেক দিন থেকেই আলোচনায়। উদযাপনেও কাল ছিলেন যেন ভিন্ন মুমিনুল। তামিম ইকবাল বলেছিলেন, কিছু প্রমাণের ছিল মুমিনুলের। তিনি নিজে অবশ্য বলছেন ভিন্নকথা, ‘সুনির্দিষ্ট কোনো কারণ ছিল না, আপনারা যেভাবে মনে করছেন ওরককম কিছু না। চ্যালেঞ্জটা নিজের কাছে ছিল, যেটা বললাম। অনেক দিন ধরে ১০০ করতে পারছিলাম না। এটা করতে পারায় অনেক ভালো লেগেছে।’

    ‘তেমন কোনো চিন্তা ভাবনা ছিল না। আগে যেসব টেস্ট খেলেছি, ৬০-৭০-৮০ করে আউট হয়েছি বারবার। আমার নিজের কাছে চ্যালেঞ্জ ছিল আমি বড় স্কোর করব। দলের সবাই সমর্থন দিয়েছে, আপনারাও সমর্থন দিয়েছেন।’

    এই ৭০-৮০ করে আউট হয়ে যাওয়ার ব্যাখ্যাও আছে তার কাছে, ‘আচ্ছা দেখেন, দেড়শ থেকে দুইশ করতে গেলে সেশন বাই সেশন খেলা লাগে। আগে যে ভুলটা হয়েছে, আমার মনে হয়েছে, আমি হয়তো নিজের জন্য খেলেছি। বিশেষ করে ৭০-৮০ তে যাওয়ার পর। ওই জিনিসটা মাথা থেকে ঝেড়ে ফেলেছি। এখন সেশন ধরে ধরে ফোকাস করেছি। তাহলেই স্বয়ংক্রিয়ভাবে আপনার দেড়শ হবে। আজকে আমি প্রথম সেশনটা যদি খেলতে পারতাম তাহলে হয়তো ২০০ হয়ে যেত। আমি সেশনের দিকেই ফোকাস করেছি।’

    তার স্পিন-সমস্যা নিয়ে মাঝের সময়ে কোচ সালাউদ্দিনের সঙ্গে কাজ নিয়ে মুমিনুলের মত, ‘আমার কাছে মনে হয়না আমি কোনো কিছু কাজ করেছি। টেকনিক্যাল-মেকনিক্যাল কোনো কাজ করি নাই। স্যার জানবে, স্যার কিছু জিনিস বলেছে ওটা করেছি। আমার কাছে মনে হয় আমি চিন্তাভাবনা, এসব নিয়ে কাজ করেছি।’

    কী চিন্তাভাবনা করেছেন তিনি? 

    ‘নির্দিষ্ট করে বলতে গেলে সংবাদ সম্মেলন শেষ হবে না। শুধু এটুকুই যে, চিন্তা ভাবনাটা আরও ভালো করতে হবে।’

    একদিন অনেক সময় নিয়ে নিশ্চয়ই মুমিনুল বলবেন তার চিন্তা-ভাবনার কথা!