• বাংলাদেশ-শ্রীলংকা
  • " />

     

    বাংলাদেশের আরেকটি ফিল্ডিং হতাশার দিন

    বাংলাদেশের আরেকটি ফিল্ডিং হতাশার দিন    

    লিটন দাস যেন অপেক্ষা করছিলেন, অন্য কেউ ছুটবেন বলে। মুস্তাফিজুর রহমানের বলে টপ-এজে ক্যাচ উঠেছে কুশাল মেন্ডিসের, সেটা নেওয়ার জন্য দৌড় শুরুর আগেই উইকেটকিপার লিটনের ক্ষণিকের অপেক্ষা। যখন তাকিয়ে দেখলেন, আর কারও আগ্রহ নেই, বা আর কারও চেয়ে তার সুযোগই বেশি- দৌড় দিলেন তিনিই। হাত বাড়িয়ে ক্যাচটা ঠিকঠাকই হলো, সব মিলিয়ে বাংলাদেশের ফিল্ডিংটাই কেবল যুতসই হলো না আজও। 

    চট্টগ্রামের এই পিচে উইকেটের জন্য যেন ব্যাটসম্যানদের ভুলের দিকেই তাকিয়ে থাকতে হচ্ছে। তবে বাংলাদেশ সুযোগ পায়নি, তা নয়। বরং সুযোগগুলো কাজে লাগাতে পারলে বদলে যেতো ম্যাচের চেহারাই। গতকাল কুশাল মেন্ডিস ক্যাচ তুলেও বেঁচেছিলেন দুইবার, আজ একটা ক্যাচ গেছে দুই স্লিপের মাঝ দিয়ে, একবার বেঁচেছেন নিশ্চিত রান-আউট থেকে। 

    টিম ডিরেক্টর খালেদ মাহমুদও সুযোগগুলো কাজে না লাগানোর আফসোসে পুড়ছেন, ‘টেস্ট ক্রিকেটে সুযোগ কমই আসে। আমরা যদি সুযোগগুলো নিতে পারতাম, তfহলে হয়ত ভালো হতো। হয়ত ভাগ্যকেও পাশে পাইনি আমরা। আজকে সকালে যে ক্যাচটা দুইজনের মাঝ দিয়ে গেল, সেটা হয়ত একজনের হাতে আসতে পারত। রান আউটের সুযোগ মিস করেছি আমরা। ফিল্ডিং আরও ভালো হতে পারত। ক্যাচগুলো নিতে পারতাম। কিছু এলবডাব্লিউয়ের সিদ্ধান্ত আমাদের পক্ষে আসতে পারত। ভাগ্যও পাশে ছিল না ওইভাবে। তবে যেটা হচ্ছে, ক্যাচিং-ফিল্ডিং যে ভালো করেছি, তা নয়।’

    স্লিপ ফিল্ডিং নিয়ে বেশ কিছুদিন ধরেই ভুগছে বাংলাদেশ। এখানে যেটা সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন, সেই একটা নির্দিষ্ট লাইন-আপেই যেন ঘাটতি রয়ে গেছে স্লিপ কর্ডনে। মাহমুদের কন্ঠে ফুটলো যেন অসহায়ত্ব, ‘অবশ্যই কাজ করার আছে (এখানে)। (মেহেদি হাসান) মিরাজকে নিয়ে কাজ করাও হয়েছে। যে দুইজন দাঁড়াচ্ছে, ওদের অনুশীলনও করানো হয়েছে। বেশি করে অনুশীলন করানো হয়েছে। এই দলে অত স্লিপ ফিল্ডার নেই, এই দুইজনই আছে আসলে। দুইজনই কিন্তু অনেক কাজ করেছে। হয়ত সানজামুলকে কিছু সময় আমরা তৃতীয় স্লিপে রেখেছিলাম। বিশেষায়িত স্লিপ ফিল্ডার থাকা অবশ্যই গুরুত্বপূর্ণ ব্যাপার। প্রত্যেকটা টেস্ট দলেই আছে। কাজ করা যেতেই পারে।’

    আজকের ফিল্ডিং আরও বেশি করে বলছে, বাংলাদেশের অনেক কাজই বাকি!