'আরও ভাল বোলিং করলে এই রেকর্ডের দিকে যেতে হতো না'
অপ্রত্যাশিত রেকর্ড আজ সঙ্গী হয়েছে বাঁহাতি স্পিনার তাইজুল ইসলামের। টেস্টে বাংলাদেশের হয়ে সবচেয়ে খরুচে বোলার তিনি এখন, ৪ উইকেট পেতে এতো রান খরচ করতে হয়নি বিশ্বের আর কোনও টেস্ট বোলারকেই। তবে উইকেটসংখ্যায় তিনিই ১ম ইনিংসে বাংলাদেশের সেরা বোলার! তাইজুল যেন বাংলাদেশের বোলিংয়েরই চিত্র।
‘খুব যে একটা ভালো রেকর্ড, তা মনে হচ্ছে না। আমরা আরো ভালো বোলিং করলে হয়তো এই রেকর্ডের দিকে যেতে হতো না’, তাইজুলের কথাতেও একই সুর।
তবে গত তিনদিনের তুলনায় চট্টগ্রামের উইকেটে আজ বেশি সহায়তা পেয়েছেন বোলাররা, ‘উইকেট একই রকম ছিল না। আজকে একটু আলাদা ছিলো। আজ চতুর্থ দিন গেল, যত দিন যাবে, উইকেট ততো খারাপ (ব্যাটিংয়ের জন্য) হতেই থাকবে। কালকের তুলনায় আজ বেশি সহায়তা ছিলো (বোলারদের)।’
'আমার মনে হয় তারা আরও ভাল করতে পারতো। আরও বেশি ধারাবাহিক হতে পারতো। প্রথম সেশনে উইকেট না পেলে দ্বিতীয় বা তৃতীয় সেশনে আপনি পেতেই পারেন। তবে আপনাকে ধৈর্য্য ধরতে হবে। তরুণ বাংলাদেশী স্পিনারদের বুঝতে হবে, কিভাবে টেস্ট ক্রিকেটে পারফর্ম করা যায়।'
-সুনীল যোশি, স্পিন-বোলিং কোচ, বাংলাদেশ
বোলিংটা তবুও সন্তুষ্ট করতে পারছে না তাইজুলকে, ‘এটা সত্যি যে, এটা ব্যাটিং উইকেট ছিলো। তবে এটাও সত্য আমরা প্রত্যাশিত মাত্রার ব্যাটিং করতে পারিনি। তবে আমার মনে হয় আমরা অন্তত ১০০ রান বেশি দিয়ে ফেলছি।’
‘টানা তিনদিন ফিল্ডিং করলে সবার মধ্যেই জড়তা আসে। টানা তিনদিন ফিল্ডিং করা খুব কঠিন। তারপরও আমাদের ছেলেরা দৃঢ় ছিলো। কেউ হতাশ হয়ে যায়নি।’
যে পিচে উইকেটের জন্য হাপিত্যেশ করেছেন তাইজুলরা, শ্রীলঙ্কান তিন স্পিনার আজ ২৬.৫ ওভার বোলিং করেই পেয়ে গেছেন গুরুত্বপূর্ণ তিন উইকেট। শুধু গুরুত্বপূর্ণ নয়, রীতিমতো এই তিন উইকেট বাংলাদেশকে ফেলে দিয়েছে ম্যাচ হারানোর শঙ্কাতেই। তাইজুল বললেন সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ কথাটাই, ‘ওরা যে খুব ভালো বোলিং করেছে, তা আমি বলবো না। সেটা করলে আমরা এতোটুকু সময়ের মধ্যে ৮০ রান করতে পারতাম না। যেগুলো ভালো জায়গায় বল হয়েছে, তাতে ওরা সফল ছিলো। আমাদের উইকেট পড়ে গেছে।’
এমন ‘মাঝে মাঝে ভাল জায়গায়’ বল করেছিলেন তাইজুলরাও। সেসবে সৃষ্ট সুযোগগুলোই যে কাজে লাগাতে পারেনি বাংলাদেশ! নাহলে তাইজুলের সেই বাড়তি ‘১০০ রান’ হয়তো গুণতেই হতো না বাংলাদেশকে!