• বাংলাদেশ-শ্রীলংকা
  • " />

     

    ড্রয়ের কৃতিত্ব মুমিনুল-লিটনের রেকর্ড জুটিকেই দিচ্ছেন অধিনায়ক

    ড্রয়ের কৃতিত্ব মুমিনুল-লিটনের রেকর্ড জুটিকেই দিচ্ছেন অধিনায়ক    

    গতকাল দিনশেষে মুশফিক ফেরায় হুট করেই জেগেছিল পরাজয়ের শঙ্কা। তাইজুল ইসলাম তো বলেই দিয়েছিলেন, ম্যাচ বাঁচানোই কঠিন হবে বাংলাদেশের জন্য! পঞ্চম দিনে অবশ্য মুমিনুল হক ও লিটন দাসের জুটিতে ড্র করেছে মাহমুদউল্লাহর দল। দুইজন মিলে ৪র্থ উইকেটে যোগ করেছেন ১৮০ রান, যা বাংলাদেশের রেকর্ড। এর আগে ২০১২ সালে ঢাকায় ওয়েস্ট ইন্ডিজের সঙ্গে নাইম ইসলাম ও সাকিব আল হাসান মিলে করেছিলেন ১৬৭ রান। মাহমুদউল্লাহ ড্রয়ের কৃতিত্বটা দিচ্ছেন মুমিনুল-লিটনের রেকর্ড জুটিকেই। 

    প্রথম ইনিংসের পর দ্বিতীয় ইনিংসেও সেঞ্চুরি পেয়েছেন মুমিনুল। ৬ রানের জন্য সেঞ্চুরি পাননি লিটন। মাহমুদউল্লাহর মতে, দুজনের ধৈর্যশীল ব্যাটিংয়েই হার এড়িয়েছে বাংলাদেশ, ‘মুমিনুল ও লিটন কষ্ট করে ব্যাটিং করেছে। তাদের কষ্টের ফল আমরা সবাই পেয়েছি। সুতরাং মূল কৃতিত্বটা তাদেরই দিতে হবে।  তারা আজ খুব ভালো ইনিংস খেলেছে। আমার মনে হয় যে, ওদের ইনিংস খুবই 'ফাইটিং নক' ছিলো। ওদের পারফর্ম্যান্সে আমি খুবই খুশি।’ 

    নির্ধারিত সময়ের প্রায় ১ ঘণ্টা আগেই দুই দল ড্র মেনে নিয়ে মাঠ ছেড়েছে। ড্র মেনে নেওয়ার প্রস্তাবটা শ্রীলংকার পক্ষ থেকেই আসে বলে জানান মাহমুদউল্লাহ, ‘গতকাল আমরা যে অবস্থায় ছিলাম, হারের আশঙ্কা উঁকি দিচ্ছিলো। কিন্তু আমাদের মধ্যে বিশ্বাস থাকাটা গুরুত্বপূর্ণ ছিলো, দায়িত্বটা মনে রেখে ব্যাটিং করাও। আমাদের শুধু একটা জুটির দরকার ছিলো, যেটা মুমিনুল ও লিটন করেছে। আর ড্রর কলটা ওদের (শ্রীলঙ্কার) তরফ থেকেই আসে। যেহেতু রেজাল্ট হচ্ছে না, তো তাড়াতাড়ি শেষ করে ফেললেই ভালো।’  

    ম্যাচ শুরুর আগে ইঙ্গিত দিয়েছিলে স্পিন সহায়ক পিচের ব্যাপারে। পাঁচদিনে অবশ্য সেটার প্রমাণ খুব বেশি একটা মেলেনি। পিচ এতটা ব্যাটিং সহায়ক হবে সেটা নিজেও ভাবেননি মাহমুদউল্লাহ, ‘আপনি যদি বিগত টেস্ট ম্যাচে গতানুগতিক চট্টগ্রামের উইকেট দেখেন, প্রথম কয়েকদিন স্পিন হয়, পরে ভালো হতে থাকে। এবার আমার মনে হয়, প্রথম দিন থেকে শেষ দিন পর্যন্ত এই উইকেট ভালো ছিলো। একটা দুইটা বল এদিক সেদিক ছিলো। তারপরও ব্যাটিং সহায়ক ছিলো। এতোটা প্রত্যাশা করিনি। ভেবেছিলাম প্রথম দিন স্পিন হয়নি, হয়তো দ্বিতীয় বা তৃতীয় দিন, বা চতুর্থ বা পঞ্চম দিনে স্পিন হতে পারে। কিন্তু আহামরি স্পিন হয়নি। ব্যাটসম্যানদের জন্য তুলনামূলক ভালো উইকেট ছিলো। তারপরও বলবো সব ব্যাটসম্যানকে কষ্ট করে রান করতে হয়েছে।’