লো-স্কোরিং ম্যাচে আবাহনী, অগ্রণী ব্যাঙ্ক, শাইনপুকুরের জয়
খেলাঘর ১৫৪ অল-আউট, ৪১ ওভার
আবাহনী ১৫৫/১, ২৫.২ ওভার
ফল- আবাহনী ৯ উইকেটে জয়ী
ত্রিদেশীয় সিরিজের ফাইনালে জায়গা হয়নি এনামুল হকের। প্রিমিয়ার লিগে ফিরেই করলেন অপরাজিত ৮৩। টেস্ট অভিষেকের পর স্কোয়াড থেকে বাদ পড়া সানজামুল ইসলাম নিয়েছেন ৩ উইকেট। আর উমরাহ হজ্ব থেকে ফিরে ৩ উইকেট নিয়েছেন মাশরাফিও। ৩ উইকেট আছে সাকলাইন সজীবেরও। এসব পারফরম্যান্সে খেলাঘর ভেঙে দিয়েছে আবাহনী। প্রিমিয়ার লিগের শুরুটা ৯ উইকেটের বড় জয়েই শুরু হয়েছে তাদের।
বিকেএসপিতে টসে জিতে ব্যাটিংয়ে নেমেছিল খেলাঘর। অমিত মজুমদারের ৩৭ ও মইনুল ইসলামের ৪৩ রানই তাদের স্কোরকার্ডের শোভা বাড়িয়েছে শুধু, ৪১ ওভারে ১৫৪ রানেই গুটিয়ে গেছে তারা। ওপেনিং বোলিংয়ে এসে ৭ ওভারে ২৩ রানে ৩ উইকেট নিয়েছেন মাশরাফি, সানজামুল ৩ উইকেট নিয়েছেন ২৭ রানে, আর সাকলাইন খরচ করেছেন ২৬ রান।
সাইফ হাসানের সঙ্গে ৮৮ রানের ওপেনিং জুটির পর নাজমুলকে নিয়ে ম্যাচ শেষ করেছেন এনামুল। ৪টি চারের সঙ্গে মেরেছেন ৫টি ছয়। খেলাঘরের একমাত্র সফল বোলার ভারতীয় অশোক মেনারিয়া।
গাজী গ্রুপ ১৭৬ অল-আউট, ৪৬.১ ওভার
অগ্রণী ব্যাঙ্ক ১৭৮/২, ৩৯.৩ ওভার
ফল- অগ্রণী ব্যাঙ্ক ৮ উইকেটে জয়ী
৪৬ রানের ওপেনিং জুটি, ৩য় উইকেটে এসেছে ৪৪ রান। বাকি ৮ উইকেটে গাজী গ্রুপ করেছে আর মাত্র ৭৬ রান। ব্যাটিং দুর্দশা এরপর আর কাটাতে পারেনি গতবারের চ্যাম্পিয়নরা, প্রিমিয়ার লিগের নতুন দল অগ্রণী ব্যাঙ্কের কাছে তারা উড়ে গেছে ৮ উইকেটের হারে। দীর্ঘ সংস্করণের ক্রিকেটে রানখরা বয়ে নিয়ে বেড়ানো সৌম্য সরকার ফিরেছেন রানে, করেছেন অপরাজিত ৮৯ রান। এর আগে বোলিংয়েও পেয়েছেন ২ উইকেট।
বিকেএসপিতে টসে জিতে বোলিং নিয়েছিল অগ্রণী ব্যাঙ্ক। ৪৬.১ ওভারে গুটিয়ে গেছে গাজী গ্রুপ, অগ্রণী ব্যাঙ্কের হয়ে খেলেছনে শ্রীলঙ্কার সঙ্গে বাংলাদেশের দ্বিতীয় টেস্টের স্কোয়াডে থাকা বাঁহাতি স্পিনার আব্দুর রাজ্জাকও। ২.৭০ ইকোনমি রেটে ২৭ রানে তিনি নিয়েছেন ২ উইকেট। ৩ উইকেট নিয়েছেন শাহবাজ চৌহান, আল-আমিন হোসেন নিয়েছেন ২টি।
২৮ রানে ওপেনার আজমির আহমেদ, ১০ রান পর শাহরিয়ার নাফিসকেও হারিয়েছিল অগ্রণী ব্যাঙ্ক। এরপর আর উইকেট পড়েনি। ৭ চার ও ৪ ছয়ে ৮৯ রান করতে সৌম্য খেলেছেন ১২২ বল, রিফফাত উল্লাহ করেছেন ৮৮ বলে ৫৫ রান। ৪টি চারের সঙ্গে তিনি মেরেছেন ২টি ছয়। ৬৩ বল বাকি থাকতেই জয় পেয়েছে অগ্রণী ব্যাঙ্ক।
প্রাইম দোলেশ্বর ১৮৮/৭, ৫০ ওভার
শাইনপুকুর ১৮৯/৫, ৩৩.৩ ওভার
ফল- শাইনপুকুর ৫ উইকেটে জয়ী
অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপে দারুণ ফর্মে ছিলেন আফিফ হোসেন ধ্রুব। সেটা টেনে এনেছেন প্রিমিয়ার লিগেও। তার ঝড়ো ফিফটির সঙ্গে শুভাগত হোমের ফিফটি মিলিয়ে প্রাইম দোলেশ্বরকে ৫ উইকেটে হারিয়েছে শাইনপুকুর।
ফতুল্লায় টসে হেরে ব্যাটিংয়ে নামা দোলেশ্বরও পড়েছে ব্যাটিং বিপর্যয়ে। মার্শাল আইয়ুবের ৭৪ রানের সঙ্গে শাহানুর রহমান, ফরহাদ রেজা ও শরিফুল্লাহর ছোট ছোট ইনিংসের পর ১৮৮ রানে আটকে গেছে দোলেশ্বর। সুজন হাওলাদার ও শুভাগত হোম নিয়েছেন ২টি করে উইকেট, সাইফউদ্দিন, রায়হান উদ্দিন ও নাঈম ইসলাম জুনিয়রের ভাগে গেছে ১টি করে উইকেট।
সাব্বিরের ৩৮ বলে ৪১ রানের ইনিংসের পর আফিফ, শুভাগতর ফিফটিতে ১১৭ বল বাকি থাকতেই জিতে গেছে শাইনপুকুর। ৪৬ বলে ৬ চার ও ২ ছয়ে ৫৬ রান করেছেন আফিফ, ৭৬ বলে ৫৮ করতে শুভাগত ছয়টি চারের সঙ্গে মেরেছেন ১টি ছয়। ছয়জন বোলারের মধ্যে পাঁচজনই উইকেট পেয়েছেন দোলেশ্বরের, তবে সেই অর্থে সফলতা বয়ে আনতে পারেননি কেউই।