ক্রিকেটের 'নতুন জীবন'ও উপভোগ করছেন মুশফিক
সদ্য বাবা হয়েছেন। নিশ্চিতভাবেই ব্যক্তিগত জীবনে বিশাল এক পরিবর্তন আসছে তার, তবে মুশফিকুর রহিমের ক্রিকেটীয় জীবনে একটা পরিবর্তন হয়েছে আগেই। চোট ছাড়াই দক্ষিণ আফ্রিকা সফর থেকেই ছেড়ে দিয়েছেন উইকেটকিপিং গ্লাভসজোড়া। শ্রীলঙ্কার সঙ্গেও চট্টগ্রাম টেস্টে উইকেটকিপিং করেছেন লিটন দাস, মুশফিক ছিলেন সাধারণ ফিল্ডার। দক্ষিণ আফ্রিকা সফরের পর আরেকটা বড় পরিবর্তনও এসেছে তার, তিনি এখন আর অধিনায়কও নন। সব মিলিয়ে মুশফিককে খাপ খাওয়াতে হচ্ছে অনেক পরিবর্তনের সঙ্গেই।
‘চাপ তো একটু থাকেই। অধিনায়ক হলে দলে “অটোমেটিক চয়েজ”-এ থাকা যায়’, মুশফিক বলছেন তার অধিনায়ক-পরবর্তী জীবন নিয়ে, ‘সেখানে টপ অর্ডার ব্যাটসম্যান হিসেবে থাকলে অবশ্যই পারফরম্যান্স করতে হবে। গত টেস্টে আমি চেষ্টা করেছি আমার দলকে সেরাটা দিতে। দ্বিতীয় ইনিংসে দুর্ভাগ্য বলবো, বলটা খুব বেশি ভালেও ছিল না। তারপরও চেষ্টা করেছি। সামনের ম্যাচে চেষ্টা করবো আরও বেশি বেশি রান করার।’
মুশফিকুর বিষয়টাকে পরিস্থিতির দাবি হিসেবেই দেখছেন, ‘ব্যাখ্যা করার কিছু নেই। আগে দায়িত্ব ছিল কয়েকটা, এখন একটা। সব সময়ই চেষ্টা থাকে সকল দায়িত্বগুলো পালন করার। অধিনায়ক থেকে কিপিং করেও অনেক সময় রান পেয়েছি, আবার অনেক সময় শূন্য রানে আউট হয়েছি। আবার একটি দায়িত্বে থেকেও পারিনি। আমার মনে হয় এই পরিস্থিতিটা সাধারণ। যখন যে পরিস্থিতি আসবে, সেই পরিস্থিতির মুখোমুখি হয়ে সামনের দিকে এগিয়ে যেতে হবে। আমি সেটাই এখন চেষ্টা করছি। আমার ভালোই লাগছে। আমি খুব উপভোগ করছি।’
মুশফিকের জায়গায় অধিনায়ক করা হয়েছিল সাকিব আল হাসানকে। তবে চোটের কারণে তিনি ছিটকে যাওয়াতে দায়িত্ব এসে পড়েছে মাহমুদউল্লাহর ওপর। মুশফিক উপভোগ করছেন মাহমুদউল্লাহর অধিনায়কত্বও, ‘আমার কাছে খুবই ভালো লেগেছে। আর এমন কিছু সিদ্ধান্ত ছিলো, যা (মাহমুদউল্লাহ) রিয়াদ ভাই সব সময়ই নেন। ঘরোয়া পর্যায়ে, বিপিএলেও রিয়াদ ভাই খুব ভালো অধিনায়কত্ব করেছেন। উনি অধিনায়ক থাকলে পারফরম্যান্সটাও অন্য রকম হয়। যা তিনি বিশ্বাস করেন ও বলেন। এইটা আমাকেও অনুপ্রাণিত করেছে। পুরো দলই তার অধীনে খেলার জন্য অপেক্ষা করছে।’
দক্ষিণ আফ্রিকা সফরে ফিল্ডিং নিয়ে খুব ‘উচ্ছ্বসিত’ ছিলেন না তিনি, অধিনায়ক হয়েও সীমানায় ফিল্ডিং করা নিয়ে হয়েছিল সমালোচনাও। তবে মুশফিক বলছেন, কিপিংয়ের সঙ্গে পার্থক্য থাকলেও ফিল্ডিংটা তিনি উপভোগই করেন বরাবর, ‘আমি সব সময়ই উপভোগ করি। কিপিং করলে পেছন থেকে সব কিছু বোঝা যায়। প্রথম ইনিংসে ব্যাটিং না করলে, আগেই উইকেট বোঝা যায়। সে দিক থেকে বলবো হ্যাঁ, একটু নতুনত্ব আছে। (তবে) আমি এটা নিয়ে খুশি। লিটন ব্যাটিং ভালো করছে। কিপিংও ভালো হচ্ছে। আমি মনে করি, ইনশাআল্লাহ, সামনের আট দশ বছর সে বাংলাদেশ ক্রিকেটকে অনেক কিছু দিবে।’
‘আসলে আমার ১০টা আঙুলের মধ্যে দুই তিনটা আঙুলে ফাটল আছে। তো আমার জন্য স্লিপে খুবই কঠিন। আত্মবিশ্বাস না থাকলে কঠিন হয়ে যায়। এ ছাড়া আমাদের জেনুইন স্লিপ ফিল্ডার নেই। এটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটা অংশ। এটাও আমাদের মাথায় আছে’, ফিল্ডিং উপভোগ করলেও এখনই লিটনের পাশে দেখা যাচ্ছে না তাকে!