'মাশরাফিকে নিয়ে গর্ব করা উচিৎ বাংলাদেশের'
মাশরাফি বিন মুর্তজা। তার হাঁটুজোড়া। আর একজন শল্যবিদ, ডেভিড ইয়াং। সবই যেন একসূত্রে গাঁথা। চোটকে বারবার হারিয়ে ফেরা মাশরাফির গল্প যেমন কিংবদন্তি, সে কাহিনীর অবিচ্ছেদ্য অংশ তেমন ডাঃ ইয়াং। এতোদিন মাশরাফির মুখেই ইয়াংয়ের কথা নিয়ে গল্প হয়েছে, এবার হলো উল্টোটা। এক কর্মশালায় বাংলাদেশে আসা অস্ট্রেলিয়ান চিকিৎসক বলছেন, মাশরাফির মতো একজনকে নিয়ে গর্ব করা উচিৎ বাংলাদেশের।
‘জীবনে এমন কিছু (মাশরাফির চোট) একবারই ঘটে। আমি মাশরাফির ব্যাপারে সবচেয়ে বেশি যেটা পছন্দ করি, সে খুবই ভাল ও দারুণ হৃদয়ের একজন মানুষ। সে দানশীল, মানুষ ও দলের প্রতি অনেক দায়িত্ববান। দেশ হিসেবে বাংলাদেশের আসলে মাশরাফিকে নিয়ে অনেক গর্ব করা উচিৎ। খেলাধুলা ও দেশের অনেক বড় একজন দূত সে।’
ব্যক্তি মাশরাফির চারিত্রিক দৃঢ়তাই এতোগুলো চোটের পরও শীর্ষ পর্যায়ের ক্রিকেট খেলতে তাকে সাহায্য করেছে বলে মনে করেন ইয়াং, ‘মাশরাফি নিজের খেলা ও দেশের প্রতি নিবেদিত একজন অ্যাথলেট। তার ক্যারিয়ারে আমার সম্পৃক্ততা যৎসামান্য, এটা বলতেও আমি খুবই খুশি। তার চোটগুলো নিয়ে কয়েক বছর আগে আমি সাহায্য করেছিলাম। তার হাঁটুতে কিছু আমূল পরিবর্তন করতে হয়েছে। সে আসলে এতোটাই নিবেদিত-প্রাণ, পুনর্বাসন ও পরবর্তী ক্যারিয়ারে টিকে থাকার কাজটা সে অসাধারণভাবে করেছে।’
যে প্রশ্নটা মাশরাফিকে অনেকবার করা হয়েছে, সেটা করা হলো ইয়াংকেও। আদৌ কি টেস্ট খেলার মতো অবস্থাতে আছেন তিনি? ইয়াং বললেন, ‘প্রত্যেক দলেরই একজন নেতা প্রয়জন। সে সবসময়ই নেতা থাকবে, টেস্ট দলে তার জায়গা সবসময়ই আছে। একটা দলের অবশ্যই একজন নেতা প্রয়োজন, এবং এই ব্যক্তিকে নিয়ে সেখানে কোনও প্রশ্নই আসা উচিৎ নয়। আমার মনে হয়, এই প্রশ্নের উত্তরে আমি হ্যাঁ-ই বলবো।’
শুধু মাশরাফি নয়, বাংলাদেশের অনেক ক্রিকেটারই বিভিন্ন সময়ে শরণাপন্ন হয়েছেন ইয়াংয়ের। শারীরিক গঠনের কারণে এই অঞ্চলের ক্রিকেটাররা সমস্যায় পড়েন, সেটা মানতে রাজি নন তিনি, '‘যেটা প্রশ্ন ওঠে, জিনগত ভাবেই এশিয়ানরা হয়তো আফ্রো-আমেরিকানদের মতো শক্তিশালি হয় না। ব্যাপারটা হলো, ক্রিকেট গলফের মতো খেলা। এটা মেধা দিয়ে খেলতে হয়। একজন ক্রিকেটারকে তাই ব্যাটসম্যান বা বোলার হওয়ার জন্য সবচেয়ে শক্তিশালি বা বৃহৎ আকারের হতে হয় না। ব্রেট লি তো ছয় ফুট ছয় ইঞ্চি ধরনের বোলার ছিল না, তবে বিশ্বের যে কোনও বোলারের চেয়ে দ্রুত বোলিং করতে পারতো সে।’