সিরিজ জয়ের খরা কাটাতে আশাবাদি মাহমুদউল্লাহ
২০১৪ সালের সেপ্টেম্বর-অক্টোবরে ঘরের মাটিতে জিম্বাবুয়েকে টেস্ট সিরিজে হোয়াইটওয়াশ করেছিল বাংলাদেশ। এরপর পেরিয়ে গেছে ৩ বছরেরও বেশি সময়, টেস্টে আর সিরিজ জেতা হয়নি বাংলাদেশের। শ্রীলঙ্কার সঙ্গে প্রথম টেস্ট ড্রয়ের পর সেই জয়খরা কাটানোর ভাল সুযোগ দেখছেন বাংলাদেশ অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ। সেজন্য অবশ্য ঢাকা টেস্টে জয়ের বিকল্প নেই।
প্রথম টেস্টের চতুর্থ দিনশেষে খানিকটা অস্বস্তিতে পড়লেও পঞ্চম দিনে লিটন-মুমিনুলের ব্যাটে শেষ পর্যন্ত সহজেই ড্র করেছে বাংলাদেশ । ইতিবাচক চিন্তা মাথায় রেখে খেলতে নামলে মিরপুর টেস্টের ফলাফল নিজেদের পক্ষে যাবে বলেই মাহমুদউল্লাহর ধারণা, ‘প্রথম ম্যাচে আমরা যে পজিশনে ছিলাম, অনেকটা কঠিন পরিস্থিতি থেকেই ড্র বের করেছি। ৩ বছরে টেস্ট সিরিজ জেতা হয়নি, এটা ভালো একটা সুযোগ। সব ক্রিকেটাররাই ইতিবাচক চিন্তা করছে। ইতিবাচক চিন্তাগুলোই মাঠে কাজে লাগাতে পারলে ফলটা ভাল আসবে।’
তবে সিরিজ জয় নিয়ে বাড়তি চাপ নিচ্ছেন না মাহমুদউল্লাহ, ‘আমার কাছে চাপ তো সব সময়ই (থাকে)। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে যে ধরনের ম্যাচই খেলবেন, চাপ তো থাকবে। আমার কাছে মনে হয় দক্ষতাগুলোর প্রতি যদি আপনার বিশ্বাস থাকে এবং চ্যালেঞ্জটা নিতে যদি আপনি উদগ্রীব থাকেন, এটা ইতিবাচকভাবে কাজে দিবে। আমার মনে হয় আমাদের সবাই এভাবেই দেখছে।’
চট্টগ্রাম টেস্টের আগেও বলেছিলেন, পিচ হবে স্পিনবান্ধব। শেষ পর্যন্ত অবশ্য সেরকম কিছুই দেখা যায়নি। উল্টো আইসিসির ডিমেরিট পয়েন্ট পেয়েছে জহুর আহমেদ চৌধুরির পিচ। মিরপুরের পিচকেও চিরায়ত 'ঢাকার উইকেট' হিসেবেই দেখছেন মাহমুদউল্লাহ। এরকম হলে রঙ্গনা হেরাথ ও দিলরুয়ান পেরেরাকে সামলে খেলার কথা বলছেন তিনি, ‘অবশ্যই তাদের প্রতি সম্মান রাখতে হয়। হেরাথ খুব অভিজ্ঞ, দিলরুয়ান খুব ভালো মানের বোলার। ওইরকম গুণ আছে দেখেই তারা ব্যাটসম্যানদের (ব্যাটিং পিচেও) ভোগাতে পারে। কিন্তু আমার মনে হয় একইসঙ্গে আমাদের ব্যাটসম্যানরাও দক্ষ। দিনে দিনে আমাদের ব্যাটিং ইউনিট আরও ভালো হচ্ছে। সেদিক থেকে আমরা আত্মবিশ্বাসী। এখন দেখার বিষয় মাঠে কিভাবে প্রয়োগ করি আমাদের পরিকল্পনাগুলো।’
সিরিজ শুরুর আগে শ্রীলংকান অধিনায়ক দিনেশ চান্ডিমাল বলেছিলেন, ওয়ানডের চেয়ে টেস্টে তার দল বেশি শক্তিশালী। মাহমুদউল্লাহ অবশ্য বাংলাদেশকেই বেশি শক্তিশালী মানছেন, ‘উনার মতামত উনি দিয়েছেন। আমার মনে হয় আমাদের দল ভালো। আমরা সব সময় বিশ্বাস করি আমাদের ঘরের মাঠে আমরা ভালো দল। যদি আমাদের দক্ষতাগুলো কাজে লাগাতে পারি, মনে হয় খুব ভালো প্রতিদ্বন্দ্বিতা হবে। চট্টগ্রাম টেস্টেও প্রতিদ্বন্দ্বিতা হয়েছে। যদিও বোলাররা তাদের দক্ষতা দেখানোর সুযোগ পায়নি। যদিও সব মিলিয়ে ওটা ভালো টেস্ট ছিল।’