• ঢাকা প্রিমিয়ার ডিভিশন ক্রিকেট লিগ
  • " />

     

    নাঈমের নিস্ফলা সেঞ্চুরি, কাপালির ম্যাচজয়ী পারফরম্যান্স

    নাঈমের নিস্ফলা সেঞ্চুরি, কাপালির ম্যাচজয়ী পারফরম্যান্স    

    কলাবাগান ক্রীড়াচক্র ৫০ ওভারে ১৭২/৮ (রিপন ৫০*, দেলওয়ার ৩/৩২)

    প্রাইম ব্যাংক ক্রিকেট ক্লাব ৩৬ ওভারে ১৭৩/৩ ( জাকির ৫৬, মেহেদি ৫১, আশরাফুল ১/২৪)

    ফল- প্রাইম ব্যাংক ৭ উইকেটে জয়ী


    পুরো স্কোরকার্ড দেখুন


    ২৮ ওভারে রান উঠেছে মাত্র ৬৮, নেই ৫ উইকেট। ম্যাচের প্রথম ভাগের এই দুর্দশা পুরো ম্যাচে আর কাটিয়ে উঠতে পারেনি কলাবাগান ক্রীড়াচক্র। বোলারদের নৈপুণ্যেই কলাবাগানের বিপক্ষে ৭ উইকেটের সহজ জয় পেয়েছে প্রাইম ব্যাংক ক্রিকেট ক্লাব।

    ব্যাটিংয়ে নেমে ৮ম ওভারে প্রথম উইকেট হারায় কলাবাগান। ৪৭ রানের ভেতর পড়ে আরও ৪ উইকেট। মাহমুদুল হাসান ও তাইবুর রহমানের ৬৬ রানের জুটি বিপর্যয় সামাল দেয়ার চেষ্টা করে। ফিফটি থেকে ৫ রান দূরে শরিফুল ইসলামের বলে তাইবুর কুনাল চান্ডেলাকে ক্যাচ দেন। রিপন ৫০ রানে অপরাজিত থাকলেও ৫০ ওভার শেষে স্কোর ৮ উইকেটে ১৭২ রানের বেশি হয়নি।

    মেহেদি হাসান-জাকির হোসেন জুটি দারুণ সূচনা এনে দেন প্রাইম ব্যাংককে। দুইজনের ৭৪ রানের জুটি জয়ের পথ অনেকটাই সুগম করে দেয়। দুইজনই পেয়েছেন হাফ সেঞ্চুরি। মেহেদি ফেরার পর নামেন চান্ডেলা, তার অপরাজিত ৪১ রানেই ১৪ ওভার বাকি থাকতেই জয় পায় প্রাইম ব্যাংক।   

     

    শেখ জামাল ধানমন্ডি ক্লাব ৫০ ওভারে ২৩০/৯ ( সোহান ৯০, আসিফ ৩/২৯)

    লিজেন্ডস অব রূপগঞ্জ ৫০ ওভারে ২২৭/৮ (নাঈম ১১৬*, রাহি ৪/৪২)

    ফল-শেখ জামাল ধানমন্ডি ক্লাব ৩ রানে জয়ী


    পুরো স্কোরকার্ড দেখুন 


    ২৩১ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে ৫৬ রানেই পড়ে গিয়েছিল লিজেন্ডস অব রূপগঞ্জের ৫ উইকেট। এরপর নাঈম ইসলামের দুর্দান্ত এক সেঞ্চুরিতে জয়ের দ্বারপ্রান্তে গিয়েও ফিরতে হয়েছে তাদের। শেখ জামাল ধানমন্ডি ক্লাবের কাছে ৩ রানে হেরেছে লিজেন্ডস অব রূপগঞ্জ।

    প্রথমে ব্যাট করতে নেমে শুরুটা ভালোই হয়েছিল শেখ জামালের। ৬৬ রানে ওপেনিং জুটি ভাঙ্গার পর ১ রানের ব্যবধানে পড়ে আরও ৩ উইকেট। এরপর নুরুল হাসানের ব্যাটিংয়ে ২০০ পেরোয় দলের স্কোর। সেঞ্চুরি থেকে ১০ রান দূরে থাকতে নাঈমের বলে আউট হন নুরুল।

    লক্ষ্যটা বড় না হলেও শুরুতেই আবু জায়দদের বোলিং তোপে পড়েছিল রুপগঞ্জ। শেষ পর্যন্ত সামাল দিতে পারেনি সেটাই। আবু জায়েদ নিয়েছেন ৪ উইকেট। ১১৬ বলে ৮ চার ও ৪ ছয়ে নাইমের ১১৬ বা নাজমুল হাসানের ৬১ বলে ৩ চার ও ২ ছয়ে ৫১ রানের ইনিংসও যথেষ্ট হয়নি তাদের। শেষ ওভারে গিয়ে হারতেই হয়েছে। 

     

     

    মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাব ৫০ ওভারে ২৩০/ ৮ ( শুভ ৮৪, সোহরাওয়ারদি শুভ ২/ ৪০)

    ব্রাদার্স ইউনিয় ৪৭ ওভারে ২৩২/৫ (কাপালি ৯৫*, এবাদত ২/৩৪)

    ফল- ব্রাদার্স ৫ উইকেটে জয়ী


    পুরো স্কোরকার্ড দেখুন 


     

    বল হাতে ছিলেন কৃপণ, ব্যাট হাতে হয়েছেন বিধ্বংসী। অলক কাপালির দারুণ এক অলরাউন্ড পারফরম্যান্সেই জয় পেয়েছে ব্রাদার্স ইউনিয়ন। কাপালির অপরাজিত ৯৫ রান ও ৩.৬ ইকোনমি রেটের বোলিংয়ে মোহামেডানকে ৫ উইকেটে হারিয়েছে ব্রাদার্স।

    প্রথমে ব্যাট করতে নেমে ম্যাচ গড়াপেটার শাস্তি ভোগ করে আসা পাকিস্তানের সালমান বাটের ৬২ ও শামসুর রহমান শুভর ৮৪ রানের ইনিংসে মোহামেডান করে ২৩০ রান। সোহরাওয়ার্দি শুভ নেন ২ উইকেট, কাপালি পেয়েছেন ১টি।

    জবাবে ৫১ রান তুলতেই ৩ উইকেট হারায় ব্রাদার্স। এরপর কাপালি একাই দলকে নিয়ে গেছেন জয়ের বন্দরে। ৬ চার ও ৪ ছক্কায় করেছেন ৯৫, দলকে জিতিয়েই মাঠ ছেড়েছেন। যোগ্য সঙ্গ দিয়েছেন শুভ, তিনি অপরাজিত ছিলেন ৩০ রানে।