কোহলির ৩৪-এ ভারতের টানা তিন
স্কোর
ভারত ৫০ ওভারে ৩০৩/৬ ( কোহলি ১৬০*, ধাওয়ান ৭৬, ডুমিনি ২/৬০)
দক্ষিণ আফ্রিকা ৪০ ওভারে ১৭৯ ( ডুমিনি ৫১, কুলদিপ ৪/২৩, চেহেল ৪/৪৬)
ফল- ভারত ১২৪ রানে জয়ী
মান অফ দ্যা ম্যাচ- বিরাট কোহলি
টেস্ট সিরিজের প্রথম দুই ম্যাচে যাদের কাছে নাকানিচুবানি খেয়েছিলেন, ওয়ানডে সিরিজে সেই রাবাদা- এনগিদিদের ওপরেই ছড়ি ঘোরাচ্ছে বিরাট কোহলির দল। শেষ টেস্টে জয় পেয়ে যে মোমেন্টাম পেয়েছিল ভারত, সেটা অব্যাহত থাকল ওয়ানডেতেও। কোহলির দুর্দান্ত এক সেঞ্চুরির দিনে দক্ষিণ আফ্রিকাকে ১২৪ রানে হারিয়ে সিরিজে ৩-০তে এগিয়ে গেল ভারত।
ব্যাটিংয়ে নেমে প্রথম ওভারেই রোহিত শর্মাকে হারায় ভারত। ১২.১০ গড় নিয়ে রোহিতই এখন আফ্রিকার মাটিতে ভারতের সবচেয়ে ‘খারাপ’ ব্যাটসম্যান। এরপর শুধুই ‘কোহলি শো’। প্রথম ওয়ানডেতে সেঞ্চুরি করে ম্যাচ জিতিয়েছিলেন। কাল খেলেছেন ১৬০ রানের দারুণ এক ইনিংস। ১২ চার ও ২ ছক্কায় সাজানো এই সেঞ্চুরির ফলে ওয়ানডেতে কোহলির সেঞ্চুরি দাঁড়ালো ৩৪ এ। তাঁর সামনে আছেন শুধুই শচীন টেন্ডুলকার।
অপরাজিত এই সেঞ্চুরিতে কোহলি ছাড়িয়ে গেছে সৌরভ গাঙ্গুলিকে। ওয়ানডেতে ভারতের অধিনায়ক হিসেবে সবচেয়ে বেশি সেঞ্চুরির রেকর্ড এখন কোহলির (১২টি)। ১৯৮৩ বিশ্বকাপে কপিল দেবের সেই ১৭৫ রানের পর কোহলির ইনিংসই বিদেশের মাটিতে ভারতীয় অধিনায়কের সেরা স্কোর। সেঞ্চুরি পেতে পারতেন শিখর ধাওয়ানও, ৭৬ রানে জেপি ডুমিনির বলে এইডেন মার্করামের হাতে ক্যাচ দিয়ে ফিরলে সেটা হয়নি।
৩০৪ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নামলে দ্বিতীয় ওভারেই হাশিম আমলাকে এলবিডব্লিউয়ের ফাঁদে ফেলেন যশপ্রিত বুমরাহ। এরপর মার্করাম-ডুমিনি জুটি কিছুটা আশা দেখাচ্ছিল, সেটা অবশ্য বেশিক্ষণ স্থায়ী হয়নি দুই ভারতীয় স্পিনারের ঘূর্ণিজাদুতে।
কুলদিপ ও চেহেল দুজনেই নিয়েছেন ৪ উইকেট। দুজনের বোলিং তোপে আফ্রিকার শেষ ৬ উইকেট পড়েছেন মাত্র ৫০ রানের ব্যবধানেই। ৩ ম্যাচে ভারতীয় স্পিনাররা নিয়েছেন ২১ উইকেট! এসবের মাঝে মহেন্দ্র সিং ধোনিও ছুঁয়েছেন একটি মাইলফলক। একটি ক্যাচ ও একটি স্ট্যাম্পিং করে ওয়ানডেতে ৪০০ ডিসমিসালের মালিক হলেন ধোনি, যা ভারতের ইতিহাসে সবচেয়ে বেশি।
এই পরাজয়ে প্রথমবারের মতো দ্বিপাক্ষিক ওয়ানডে সিরিজে ৩-০ তে পিছিয়ে আছে প্রোটিয়ারা। ১২৪ রানের হারের ব্যবধানটাও ভারতের বিপক্ষে সর্বোচ্চ।