ঘুরে দাঁড়াতে আশাবাদী রাজ্জাক
চট্টগ্রাম টেস্টে যেখানে ৫ দিনে পড়েছিল ২৪টি উইকেট, আজ মিরপুরে প্রথম দিনেই পড়ল ১৪টি। খেলা পঞ্চম দিনে গড়াবে, সেই সম্ভাবনাও তাই খুব ক্ষীণই। শ্রীলংকাকে ২২২ রানে অলআউট করলেও দিনশেষে ৪ উইকেট হারিয়ে বেশ অস্বস্তিতেই আছে বাংলাদেশ। চার বছর পর দলে ফেরা আবদুর রাজ্জাক বলছেন, প্রথম দিনের পর খানিকটা পিছিয়ে থাকলেও ঘুরে দাঁড়াবে বাংলাদেশ।
প্রথম টেস্ট ড্র হলেও এই টেস্টে ফল আসবে বলেই বিশ্বাস রাজ্জাকের, ‘চার ইনিংসের একটা শেষ হয়েছে। আরো একটা ইনিংসের বেশ কয়েকটা উইকেট পড়েছে। এখন যা পরিস্থিতি, তাতে আমার মনে হয়, পাঁচদিনের আগেই টেস্ট শেষ হতে পারে। এই টেস্টে অবশ্যই ফলাফল হবে।’
দিনের শুরুটা যেমন হয়েছিল, শেষটা হয়েছে উল্টো। টপ অর্ডারের সবাইকে হারিয়ে ধুঁকছে বাংলাদেশ। তবে ঘুরে দাঁড়ানোর ব্যাপারে আশাবাদী রাজ্জাক, ‘একেকটা সেশনে একেক ধরনের খেলা হয়। দেখা যায় একটা সেশনে একটা দল এগিয়ে আছে, পরের সেশনে আবার অন্য দল। টেস্টে ক্ষতি পূরণ করে দেওয়ার জায়গা থাকে। আমার মনে হয় আমাদের দুইটা উইকেট বেশি পড়ে গিয়েছে। (তবে) এটা পূরণ করা সম্ভব সহজেই।’
চতুর্থ ইনিংসে লক্ষ্য তাড়া করতে হবে বাংলাদেশকেই। প্রথম দিনেই পিচের যে রূপ, রঙ্গনা হেরাথ, দিলরুয়ান পেরেরাদের সামলানোটা সহজ হবে না বলেই ধারণা রাজ্জাকের, ‘এখানে চারটা ইনিংসই হবে। সেটা না হলে তো আর ফলাফল হবে না! চতুর্থ ইনিংসে ব্যাটিং করা তো কঠিন। এখনকার চেয়ে বেশি কঠিন হবে।’
আর শ্রীলংকার ব্যাটিং কোচ থিলান সামারাবিরাও বলছেন, দিনশেষে দুই দলই সমান অবস্থানে আছে, ‘আমার মনে হয় ম্যাচে এখনও সমতা বিরাজ করছে। প্রথমে তাদের অলআউট করতে হবে, এরপর দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট করতে হবে। প্রথম ইনিংসে আমরা ৩০ রান কম করেছি। মিরপুরে ২৪০-২৫০ রান ভালো স্কোর। দিনশেষে ৪ উইকেট নিয়েছে বোলাররা, এটাই বড় প্রাপ্তি।’
ব্যাটিংয়ে নেমে মুশফিক-লিটনরা কিছুটা অস্বস্তি নিয়েই খেলেছেন লংকান স্পিনারদের। মিরপুরের পিচে কি হেরাথ-পেরেরারা একটু বেশিই সুবিধা পাবেন? সামারাবিরা সেরকমটা মনে করছেন না, ‘মিরপুরের পিচ গলের মতোই। এখানে বাংলাদেশের স্পিনাররাই বেশি সুবিধা পাওয়ার কথা। আসলে বলা মুশকিল কারা বেশি সুবিধা পাবে। প্রথম দুই ঘন্টা খুব গুরুত্বপূর্ণ। ভালো জায়গায় বল ফেলতে হবে।’