এখনও জয়ের আশা দেখছেন মিরাজ
প্রথম ইনিংসের স্কোর ১১০। শ্রীলঙ্কার লিড দ্বিতীয় দিনশেষেই ৩১২ রান। ৩ রানে শেষ ৫ উইকেট হারানো বাংলাদেশকে ম্যাচ জিততে হলে চতুর্থ ইনিংসে রীতিমত টপকাতে হবে পাহাড়। এ পিচে যেটা হয়ে দাঁড়াচ্ছে পাহাড়ের চেয়েও কঠিন কিছু। অবশ্য ব্যাটিংয়ে বাংলাদেশের প্রথম ইনিংসের সর্বোচ্চ ৩৮ রান করা মেহেদি হাসান মিরাজের বিশ্বাস, শ্রীলংকার বড় লিড টপকে এখনও জয়ের আশা আছে বাংলাদেশের।
মিরাজ বলছেন, ‘আত্মবিশ্বাসী’ বাংলাদেশ দল জয় ছাড়া কিছুই ভাবছে না, ‘ম্যাচে তো সব কিছুই হতে পারে। আমাদের লক্ষ্য আগামীকাল দ্রুত দুইটি উইকেট নেওয়া। আমাদের আত্মবিশ্বাস আছে, সকালে দ্রুত উইকেট তুলে নেওয়ার পর ওরা যাই রান করুক না, সেটা তাড়া করার। আমাদের ব্যাটসম্যানদের আত্মবিশ্বাস আছে। মুমিনুল ভাই, তামিম ভাই, মুশফিক ভাই, সবার মধ্যেই আত্মবিশ্বাস আছে। প্রথম ইনিংসে এমনটা হতেই পারে। এটা আসলে একটা দূর্ঘটনা ছিল।’
প্রথম ইনিংসের ভুল থেকে সবাইকে শিক্ষা নিতে হবে বলেই মানছেন মিরাজ, ‘ক্রিকেট খেলায় সব কিছুই সম্ভব হতে পারে। শূন্য রানেও আউট হতে পারে। অনেক সময় এক দুই রানেও আউট হয়। প্রথম ইনিংসের ভুল থেকে আমাদের শিক্ষা নিতে হবে। দ্বিতীয় ইনিংসটা আমাদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। কারণ আমরা মাত্র ১১০ রানে অলআউট হয়েছি। ওরা যত রানের লক্ষ্য দেবে, সেটা আমরা করতে পারলে ম্যাচটা জিততে পারবো। প্রথম ইনিংসের ব্যর্থতা আমরা ভুলে যেতে চাই।’
বাংলাদেশের মতো শ্রীলংকান ব্যাটসম্যানরাও স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করেনি। রান তাড়া করতে নেমে কি আরও বেশি বিপদে পড়বে বাংলাদেশ? মিরাজ অবশ্য সেই আশংকা করছেন না, ‘উইকেটে এখনও খেলার অনপুযুক্ত হয়নি। এখনও কোনও বল অনেক বেশি নিচু হয়নি। উইকেটে টার্ন থাকলেও ব্যাটসম্যানদের জন্য কঠিন হয়নি। স্বাভাবিক খেলা খেলতে পারলেই ব্যাটসম্যানরা সফল হবে। স্বাভাবিক উইকেটের চেয়ে এই উইকেটে মনোযোগ বেশি দিয়ে খেলতে হয়। এই উইকেটে মনোযোগ একটু এদিক সেদিক হলে বাঁচার কোন সুযোগ থাকে না। কিন্তু অন্য উইকেটে অনেক সময় ভুল করেও বেঁচে যাওয়া যায়। আমাদের ব্যাটসম্যানরা পূর্ণ মনোযোগ ধরে রেখে খেলতে পারলে ভালো কিছু আশা করা সম্ভব।’