বাংলাদেশের ব্যাটিং বিপর্যয়ের কারণ...
প্রথম ইনিংসে ১১০ রান, স্থায়িত্ব ৪৫.৪ ওভার। দ্বিতীয় ইনিংসের সংগ্রহ ১২৩, স্থায়িত্ব ২৯.৩ ওভার। প্রথম ইনিংসে ৩ রানে পড়েছে শেষ ৫ উইকেট, দ্বিতীয় ইনিংসে শেষ ৯ উইকেট পড়ল ৭৪ রানেই। দুই ইনিংসের এমন ব্যাটিং বিপর্যয়ে মাত্র আড়াই দিনেই ২১৫ রানের বড় ব্যবধানে টেস্ট হারল বাংলাদেশ। এই হারের কারণ খুঁজতে গিয়ে বাংলাদেশ অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ জানিয়েছেন, এমন পিচে বড় লক্ষ্য তাড়া করার চাপেই মূলত ভেঙে পড়েছে দলের ব্যাটিং লাইন-আপ।
ম্যাচে পিছিয়ে পড়ার জন্য প্রথম ইনিংসের বাজে ব্যাটিংকেই দায়ী করছেন মাহমুদউল্লাহ, ‘ব্যাটিং বিপর্যয় কেনো হয়েছে, সেটার জবাব দেওয়া আসলে কঠিন। ব্যাপারটা অবশ্যই খুব হতাশাজনক। আমার মনে হয়, এ ধরনের উইকেটে হয়তো বা আমরা জানতাম লক্ষ্য তাড়া করব। আর মোটামুটি আমাদের সবারই ধারণা ছিল যে এই টেস্টে আমরা ফলাফল দেখব। যেখানে আমরা জানি, স্পিনসহায়ক উইকেট, সেখানে প্রথম ইনিংসেই আমাদের ভালো করা উচিত ছিল। আমার মনে হয় এই জিনিসটাতে আমরা পিছিয়ে গেছি। প্রথম ইনিংসে যদি আমরা ২০০ বা তার বেশি করতে পারতাম, তাহলে আমাদের আরেকটু ভালো সুযোগ থাকত। কারণ এই উইকেটে হয়তোবা ৩৪০ তাড়া করা কিছুটা অবশ্যই অতিরিক্ত চাপ ছিল।’
প্রথম টেস্টের দলে ছিলেন না সাব্বির রহমান। দ্বিতীয় টেস্টে মোসাদ্দেকের বদলে একাদশে ঢুকেছেন। দুই ইনিংস মিলিয়ে সাব্বির করেছেন মাত্র ১ রান। তার দলে আসা নিয়েও প্রশ্ন আছে, মাহমুদউল্লাহ দিলেন সেটার উত্তরও, ‘সাব্বিরকে নেওয়ার আরেকটা কারণ ছিল যে ও স্পিন খুব ভালো খেলে। সুইপ, রিভার্স সুইপ এগুলোতে খুব ভালো। আর আমার মনে হয় এই উইকেটে আক্রমণাত্মক না থাকলে সম্ভবনা অনেক কমে যায়। দ্বিতীয় ইনিংসে দেখেন, মুমিনুল যখন বল করছিল ৩৩ রান করল ৪৭ বলে। ইতিবাচক মনোভাব না থাকলে খুব কঠিন হয়ে পড়ে।’
তবে সবকিছুর পরও, ব্যাটিং-বোলিং দুই বিভাগেই সাকিব আল হাসানের অভাবটা ভালোমতোই টের পেয়েছে বাংলাদেশ। সাকিব থাকলে ম্যাচের ফলাফল অন্যরকম হতে পারত বলেই ধারণা মাহমুদউল্লাহর, ‘সাকিবকে অনেক বেশি মিস করেছি। আমরা সবাই জানি ওর সামর্থ্য। বিশেষ করে ওর বোলিং এই উইকেটে আরও ভয়ঙ্কর হতো। কারণ ওর বলের ওপর নিয়ন্ত্রণ আরও ভালো। ও ব্যাটসম্যানদের আরও বুঝতে পার। খুব তাড়াতাড়ি ম্যাচের পরিস্থিতি বুঝতে পারে। আর সবাই জানে, ও একজন বিশ্বমানের ব্যাটসম্যান। সেদিক দিয়েও ওকে অনেক মিস করেছি।’