'শ্রীলঙ্কাকে এগিয়ে নেবে তরুণরাই'
প্রথম ইনিংসে উইকেটশূন্য ছিলেন। দ্বিতীয় ইনিংসে ৪৯ রানে নিলেন ৪ উইকেট। ৪১৫তম উইকেট নেওয়া হলো, টেস্টে বাঁহাতি বোলারদের মাঝে সবচেয়ে বেশি উইকেটের মালিক হয়ে গেলেন রঙ্গনা হেরাথ, ছাড়িয়ে গেলেন ওয়াসিম আকরামকে। হেরাথের পাশাপাশি দনঞ্জয়া, পেরেরাদের ঘূর্ণিজাদুতেও হিমশিম খেয়েছে বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানরা। ২১৫ রানের বিশাল এই জয়ের কৃতিত্বটা তাই দলের স্পিনারদেরই দিচ্ছেন হেরাথ।
প্রথম ইনিংসের ব্যর্থতাকে হারের মূল কারণ বলেছেন বাংলাদেশ অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ। হেরাথও মানছেন, প্রথম ইনিংসটাই পার্থক্য গড়ে দিয়েছে, ‘প্রথম ইনিংসে তারা ১১০ রানে পিছিয়ে ছিল। সেটা তাদের বোলারদের ওপরেও প্রভাব ফেলেছে, সবাই খানিকটা চাপেই ছিল বলে মনে হয়েছে। আমাদের বোলাররা তাদের চেয়ে ভালো বোলিং করেছে। ব্যাটসম্যানরাও তাদের স্পিনারদের ভালোভাবেই সামলেছে।’
ওয়াসিম আকরামকে ছাড়িয়ে যাওয়াকে বড় অর্জন হিসেবেই দেখছেন হেরাথ, ‘তার মতো বোলারকে টপকানো আমার মতে বিশাল অর্জন। ভারতের সাথে মাঝে একটা খারাপ সিরিজ গেছে। কিন্তু এর আগে ও এবার আমরা দারুণ খেলেছি। নতুন এই দলের সাথে আরও অনেকদূর যেতে চাই।’
ব্যাটিংয়ে রোশেন সিলভা, বোলিংয়ে আকিলা দনঞ্জয়া; শ্রীলংকার জয়ের নেপথ্যে মূলত আছেন এই দুজনই। ম্যাচসেরা ও সিরিজসেরা হয়েছেন রোশেন। দনঞ্জয়ার বোলিং তোপে দ্বিতীয় ইনিংসে দাঁড়াতেই পারেননি বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানরা। দুইজনেরই উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ দেখছেন হেরাথ, ‘কে আসবে, কে বাদ পড়বে, দলে এই প্রতিযোগিতাটা জরুরী। রোশেন প্রথম শ্রেণীর ক্রিকেটে ১০ বছর খেলে ৭ হাজারের মতো রান করেছে। কুমার সাঙ্গাকারা, মাহেলা জয়াবর্ধনে অবসর নেওয়ার পর দলে একটা শূন্যতা তৈরি হয়েছিল। রোশান, আকিলা দনঞ্জয়া, কুশাল মেন্ডিসের মতো ক্রিকেটাররা দলকে এগিয়ে নেবে।’