প্রিমিয়ার লিগে ‘কাপালি-শো’ চলছেই
প্রথম ম্যাচে ৯৫ রানের দারুণ এক ইনিংস খেলে দলকে জিতিয়ে মাঠ ছেড়েছিলেন। ব্রাদার্স ইউনিয়নের হয়ে পরের ম্যাচে ব্যাটে-বলে আরও উজ্জ্বল অলক কাপালি। এবার ৬৭ বলে ৭৯ রানের ইনিংসের পাশাপাশি ৪৬ রানে নিয়েছেন ৩ উইকেট। আর তাতে তাঁর দল ব্রাদার্স ইউনিয়ন প্রাইম ব্যাঙ্কের সঙ্গে পেয়েছে ২৪ রানের জয়।
বিকেএসপিতে আজ যখন কাপালি ব্যাট করতে নেমেছেন, ১০১ রানে ব্রাদার্স হারিয়েছে ২ উইকেট। কাপালি নামার খানিক পরেই জুনাইদ সিদ্দিকী ফিরে গেছেন ৪৫ রান করে। ইংলিশ ব্যাটসম্যান জন সিম্পসনও টেকেননি বেশিক্ষণ, আউট হয়েছেন ১২ রান করে।
এরপরেই ইয়াসির আলীকে নিয়ে কাপালির দাপট শুরু। দুজন পঞ্চম উইকেটে ৯৫ রান যোগ করেছেন মাত্র ১৪ ওভারে। কাপালি যখন আউট হয়েছেন, পাঁচ ছয় ও পাঁচ চারে খেলে ফেলেছেন ৭৯ রানের ঝকঝকে এক ইনিংস। ৪৮ বলে করেছেন ফিফটি, পরের ২৯ রান করেছেন ১৯ বলে। তবে ইয়াসির ঝড় শুরু করেছেন এরপর, শেষ ১০ ওভারে ব্রাদার্স তাই করতে পেরেছে ১০৩ রান। ৬৩ বলে ৬৯ রান করে অপরাজিত ছিলেন ইয়াসির, ব্রাদার্স যখন করে ফেলেছে ৫০ ওভারে ২৯৪ রান।
তবে বল হাতে কাপালির কাজ বাকি ছিল। প্রাইম ব্যাঙ্কের শুরুটা ভালো হয়নি, ৩৭ রানের ভেতরেই আউট হয়েছেন দুইজন। তবে মাত্রই টি-টোয়েন্টি দলে ডাক পাওয়া জাকির হাসান দলকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছিলেন। কিন্তু ৫৮ বলে ৫০ রান করে জাকিরকে ফিরিয়ে বড় ধাক্কাটা দেন কাপালি। এরপরেই পথ হারাতে শুরু করে প্রাইম ব্যাঙ্ক। ১৫৩ রানের ভেতর হারিয়ে ফেলে ৭ উইকেট। এর মধ্যেই কাপালি নিয়ে নিয়েছেন ৩ উইকেট। পরাজয়টা যখন মনে হচ্ছিল সময়ের ব্যাপার, তখনই নাহিদুল; ইসলামের ব্যাটে তাদের ঘুরে দাঁড়ানোর শুরু।
দেলোয়ার হোসেনকে নিয়ে বিপিএলে রংপুরের হয়ে নজর কাড়া নাহিদ অষ্টম উইকেটে যোগ করেছেন ১০৭ রান। শেষ ৪ ওভারে যখন তাদের দরকার ৩৫ রান, তখনই ছন্দপতন। ৬৯ বলে ৮৮ করে আউট হয়ে যান নাহিদুল, শেষ পর্যন্ত প্রাইম অলআউট হয়ে যায় ২৭০ রানে।