'লড়াই তো হাথুরুর বিপক্ষে ছিল না'
চন্ডিকা হাথুরুসিংহে বাংলাদেশের দায়িত্ব ছেড়েছেন, শ্রীলঙ্কার দায়িত্ব নিয়ে বাংলাদেশ সফরেও এসেছেন। তবুও তিনি যেন ছেড়ে যাননি, আলোচনায় তিনি বরাবরই ছিলেন। হাথুরুসিংহেকে নিয়ে এই ‘অতি-আলোচনা’র প্রভাব দলের পারফরম্যান্সের ওপরও পড়েছে বলে ধারণা টিম ডিরেক্টর খালেদ মাহমুদ সুজনের।
আজ সাংবাদিকদের তিনি বলেছেন, ‘আমার মনে হয় বাস্তবায়নে ঘাটতি ছিল। হাথুরুকে নিয়ে মনে হয় বড় চিন্তা আমাদের মাথায় ছিল। এটা নেতিবাচকভাবে গেছে। পুরো জাতি হিসেবে হাথুরু চলে গেছে, হাথুরুর সঙ্গে লড়াই...হাথুরুর সঙ্গে তো লড়াই ছিল না। লড়াই ছিল শ্রীলঙ্কার সঙ্গে, ১১টা ছেলে খেলবে ১১টা ছেলের বিপক্ষে। হাথুরু মনে হয় বেশি ছিল মাথায়। ওর আমলে কী করেছে না করেছে। এটা নেতিবাচক মানসিকতা ছিল।’
তবে নিজেদের মাঝে চেষ্টার ঘাটতি ছিল না বলেই মত তার, ‘আমরা অনেকভাবে ভালো খেলার চেষ্টা করেছি। আসলে ম্যানেজমেন্ট তো ক্রিকেট খেলে না, খেলবে খেলোয়াড়েরা। বাস্তবায়ন তো খেলোয়াড়েরা করবে। তারা যদি না করতে পারে, তবে কঠিন।’
‘যদি বুঝতাম এদের সামর্থ্য নেই, তাহলে মন খারাপের কিছু ছিল না। কিন্তু এদের তো সামর্থ্য আছে। সামর্থ্য থাকার পরও না পারলে বলতে হবে মানসিকতায় ঘাটতি। অন্যকিছু নয়। অভিপ্রায়, মাঠে আচরণ, মাঠে চিন্তা- সবকিছুই পিছিয়ে ছিলাম।’
নিজের প্রত্যাশাটাও সিরিজ জেতার ছিল বলেই জানিয়েছেন তিনি, ‘প্রতিদিন সূর্য ওঠে। আমি হতাশ হলেও হতাশ নই! আমার প্রত্যাশা অনেক বেশি ছিল। আমি বিশ্বাস করছিলাম এই দলটা নিয়ে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে সিরিজ জেতা সম্ভব। তিন সংস্করণেই চিন্তা করেছিলাম সিরিজ জিতব।’
তবে সাকিবকে মিস করাটাও দলকে ভুগিয়েছে বলে মনে হয়েছে তার কাছে, ‘খুবই দুর্ভাগ্য সাকিবকে মিস করেছি ফাইনালে ।টেস্টে ছিল না, টি-টোয়েন্টিতেও হয়তো নেই। সে অনেক গুরুত্বপূর্ণ ক্রিকেটার, সাকিবকে দুই জায়গায় কাজটা সহজ হয়ে যায়।’
‘এটা কোনো অজুহাত নয়। বাকিদের সামর্থ্য আছে। আমরা চাপটা নিতে পারেনি। ওয়ানডেতেও উইকেট নিয়ে কথা উঠেছে। (ফাইনালে) ২২০ করতে মনে হয় না উইকেট লাগে। আমরা পারিনি। টেস্টে অনেকে বলছে ঘূর্ণি উইকেটে খেলেছি কেন। ভুলে গেছি আমরা বিশ্বমানের স্পিনার লায়নের বিপক্ষে খেলেছি। প্রথম ইনিংসে দেখেন শুরুতে লাকমাল উইকেট তুলে নিয়েছে, কোনো স্পিনার নেয়নি। কোন বলে আউট হয়েছে, ওদের টেইল-এন্ডারদের ব্যাটিং, মিরাজের ব্যাটিং- ময়নাতদন্ত করলে অনেক কিছু বের হবে। সেটা বের করতেও চাই না। উইকেটকে দোষ দেওয়ার কিছু নেই। সবচেয়ে বড় কথা আমরা ভালো খেলতে পারিনি।’