ভাল শুরুটাই গুরুত্বপূর্ণ তামিমের কাছে
টি-টোয়েন্টির সহ-অধিনায়ক তামিম ইকবালকে রেখে মাহমুদউল্লাহকে এই দায়িত্ব দিয়েছে বিসিবি। চোটের কারণে খেলতে পারছেন না নিয়মিত অধিনায়ক সাকিব আল হাসান। অফিসিয়ালি বিসিবি নিশ্চিত করার আগেই তামিম জানিয়েছিলেন, অধিনায়ক কে হবেন, সেটা নিয়ে ভাবছেন না তিনি, ‘আমার বলার কিছু নেই। অধিনায়ক যারা ঠিক করেন উনারা বলতে পারবেন। এটা নিয়ে এতটুকু বলতে পারি আমাদের দল থেমে আছে, তা না।’
ব্যক্তিগত ও দলীয়ভাবে ভাল করাটাই এখন লক্ষ্য তামিমের, ‘যেই অধিনায়ক হোক না কেন, সেটা আলাদা ব্যাপার। আমরা চেষ্টা করছি, ব্যক্তি ও দল হিসেবে যতটুকু ভালো করা দরকার। বিশেষ করে ওয়ানডেতে যে ভুল করেছি- টেস্টটা যদি বাইরে রাখি- যেহেতু ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টির মধ্যে মিল আছে- সেটা যেন না হয়। আমাদের পারফর্ম করতে হবে। কে অধিনায়ক হবে, সেটা এই মুহূর্তে একদমই গুরুত্বপূর্ণ নয়।’
অধিনায়কত্ব গুরুত্বপূর্ণ না হলেও তামিমদের ওপেনিং জুটি তো বাংলাদেশের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। ফরম্যাট বদলে যায়, তামিমের সঙ্গীও বদলায়। ত্রিদেশীয় সিরিজে সৌম্য সরকারের বদলে ছিলেন এনামুল হক, তিনি আবার বাদ পড়েছিলেন ফাইনালে। তবে টি-টোয়েন্টি দলে আছেন সৌম্য।
‘শুরু তো আসলে সব ফরম্যাটেই গুরুত্বপূর্ণ। হয় আমরা ব্যাটিং অংশে ভাল শুরু করি, বা বোলিং অংশে। বিশেষ করে বাংলাদেশ ব্যাটিং বা বোলিং ভালো যখন ভালো শুরু করি, ওই সময় বেশির ভাগ সময় ভাল হয়। ব্যাটিং বা বোলিং- শুরুটা সব জায়গাতেই গুরুত্বপূর্ণ।’
ওপেনিংয়ে খেলার ধরনেও সমস্যা দেখছেন তিনি, ‘ছয় মারার পর ডট কোনো বড় সমস্যা না। আমার ব্যক্তিগতভাবে মনে হয়, আমাদের সমস্যা টি-টোয়েন্টিতে শুরুটাই আমাদের জন্য কঠিন। ওপেনার হিসেবে ব্যাট করতে নেমে আপনাকে শুরু থেকেই উইকেটটা “স্যাক্রিফাইস” করার জন্য তৈরি থাকতে হবে। প্রথম ছয় ওভারে আপনি মারতে গেলে আউট হতেই পারেন। সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ব্যাপার হলো, ৩০-৪০ হলে আমাদের ৬০-৭০ করতে হবে। এই জায়গাতেই আমাদের একটু ঘাটতি আছে।’
শুরুতে একজনের একটা বড় স্কোর জয়ের ভিত গড়ে দেয় বলেই মনে করেন তিনি, ‘কারণ সুন্দর ৩০ দিন শেষে ওই ৩০-ই। একটা ব্যাটসম্যান ওই ৩০-কে ৫০-৬০ করে দিলে নিজের জন্যও ভালো, দলের জন্যও ভালো একটা প্ল্যাটফর্ম তৈরি করে দেয়। আমি মনে করি টি-টোয়েন্টি এমন একটা ফরম্যাট, শুরুটা অনেক গুরুত্বপূর্ণ। আপনি যখন সেটা করবেন, তখন যেন সেটাকে বড় কিছু করা যায়।’