ইতিহাস গড়েই সিরিজ জিতল ভারত
স্কোর
ভারত ৫০ ওভারে ২৭৪/৭ (রোহিত ১১৫, এনগিদি ৪/৫১)
দক্ষিণ আফ্রিকা ৪২.২ ওভারে ২০১ ( আমলা ৭১, কুলদিপ ৪/৫৭)
ফল- ভারত ৭৩ রানে জয়ী
ম্যান অফ দ্যা ম্যাচ- রোহিত শর্মা
টেস্ট সিরিজ শুরুর আগে ভারতীয় গণমাধ্যমে একটা ট্যাগলাইনই ঘুরে ফিরে এসেছে, ‘২৫ বছরের হিসাব’। টেস্টে সেই ‘বদলা’ নিতে না পারলেও ওয়ানডেতে ঠিকই ইতিহাস গড়ল বিরাট কোহলির দল। রোহিত শর্মার সেঞ্চুরিতে পঞ্চম ওয়ানডেতে দক্ষিণ আফ্রিকাকে ৭৩ রানে হারিয়ে প্রথমবারের মতো দক্ষিণ আফ্রিকার মাটিতে কোনো সিরিজ জিতল ভারত।
প্রথম তিন ম্যাচ জিতে সিরিজ জয়ের মঞ্চটা প্রস্তুত রেখেছিল ভারত। চতুর্থ ম্যাচে হারলেও পঞ্চম ওয়ানডেতেই সিরিজ নিশ্চিত করেছে কোহলিরা। পুরো সিরিজে ‘ফ্লপ’ রোহিত কাল যেন ফিরে পেয়েছিলেন পুরনো ফর্ম। শিখর ধাওয়ান ৩৪ রানে ফেরার পর কোহলি নিয়ে বড় স্কোরের ভিত গড়েন। রোহিতের সাথে ভুল বুঝাবুঝিতে ৩৬ রানে কোহলি রান আউট হলে ভাঙ্গে ১০৫ রানের জুটি।
১১ চার ৪ ছক্কায় রোহিত পূর্ণ করেন ওয়ানডে ক্যারিয়ারের ১৭ তম সেঞ্চুরি। এনগিদির বলে যখন ক্লাসেনের হাতে ক্যাচ দিয়ে ফিরলেন, ভারতের রান তখন ৪২ ওভারে ২৩৪। ২ রানের মাঝে আর দুই উইকেট পড়ে, পেসারদের দুর্দান্ত বোলিংয়ে শেষ ৮ ওভারে ওঠে মাত্র ৪০ রান।
২৭৫ রান তাড়া করতে নেমে শুরুটা খারাপ করেননি দক্ষিণ আফ্রিকার দুই উদ্বোধনী ব্যাটসম্যান। শ্রেয়াস আইয়ার ক্যাচ ফেলার পর জীবন পেয়ে ভয়ংকর হয়ে উঠছিলেন অধিনায়ক এইডেন মার্করাম। তাকে ফিরিয়ে প্রথম আঘাত হানেন জাসপ্রিত বুমরাহ। পরের ওভারেই হার্দিক পান্ডিয়ার বলে ফেরেন জেপি ডুমিনি। এবি ডি ভিলিয়ার্সকেও কিছুক্ষণের মাঝেই প্যাভিলিয়নে ফেরান পান্ডিয়াই।
দ্রুত তিন উইকেট হারানোর ধাক্কা সামাল দেন হাসিম আমলা ও ডেভিড মিলার। দুজনের ৬২ রানের জুটি চিন্তার ভাজ ফেলেছিল কোহলি কপালে। আগের ম্যাচে তুলোধুনো হওয়া দুই ভারতীয় স্পিনার জ্বলে উঠলেন তখনই। ৭৪ রানের শেষ ৭ উইকেট হারাল প্রোটিয়ারা। কুলদিপ যাদব নেন ৪ উইকেট, চাহাল পেয়েছেন ২ টি।
২০১৩ সালে পাকিস্তানের কাছে সিরিজ হারার পর আবারও ঘরের মাটিতে সিরিজ খোয়ালো আফ্রিকা। জুন ২০১৬ থেকে এখন পর্যন্ত টানা ৯ টি দ্বিপাক্ষিক ওয়ানডে সিরিজ জিতল কোহলির ভারত। তাদের সামনে আছে শুধু ওয়েস্ট ইন্ডিজ, ১৯৮০ থেকে ১৯৮৮ পর্যন্ত টানা ১৪ টি দ্বিপাক্ষিক ওয়ানডে সিরিজ জিতেছিল তারা।