শামসুর, মজিদের ম্যাচ জেতানো সেঞ্চুরির দিন
আব্দুল মজিদ, তৌহিদ হৃদয়, শামসুর রহমান; ঢাকা প্রিমিয়ার ডিভিশন লিগে আজ সেঞ্চুরি পেয়েছেন তিনজন। মজিদ, শামসুরের সেঞ্চুরিতে জয় পেয়েছে লিজেন্ডস অফ রূপগঞ্জ ও মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাব। তবে বিফলেই গেছে তৌহিদের সেঞ্চুরি, দুর্দান্ত এক সেঞ্চুরির পড়েও হেরে গেছে তার দল শাইনপুকুর ক্রিকেট ক্লাব।
লিজেন্ডস অফ রূপগঞ্জ ৫০ ওভারে ২৩৯/৬ ( মজিদ ১১০, দেলোয়ার ৩/৪০)
প্রাইম ব্যাংক ৪৮.২ ওভারে ২১৫ (আল আমিন ৬৮, শহীদ ৩/৩২)
ফল- লিজেন্ডস অফ রূপগঞ্জ ২৪ রানে জয়ী
টসে হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে আব্দুল মজিদের সেঞ্চুরিতে ৬ উইকেটে ২৩৯ রান করে রূপগঞ্জ। ৪ চার ও ৮ ছয়ে ১২২ বলে ১১০ রান করেন মজিদ। হাফ সেঞ্চুরি করেছেন অধিনায়ক নাঈম ইসলাম, ৭৯ বলে ২ চারে করেছেন ৫১।
২৪০ রান তাড়া করতে নেমে শুরুটা ভালো হয়নি প্রাইম ব্যাংকের, দ্বিতীয় বলেই ফেরেন মেহেদি মারুফ। এরপর উইকেট পড়েছে নিয়মিত বিরতিতেই। ১৫৫ রানে ৫ উইকেট হারানোর পর জয়ের আশা কিছুটা জিইয়ে রেখেছিল আল আমিন ও সাজ্জাদুল হকের জুটি। সাজ্জাদুলকে ফিরিয়ে ৫১ রানের জুটি ভাঙ্গেন আসিফ হাসান। আর ৭ রান যোগ করতেই ৬৮ রান করা আল-আমিন ফিরলে জয়ের আশা সেখানেই শেষ হয়ে যায় প্রাইম ব্যাংকের।
শাইনপুকুর ক্রিকেট ক্লাব ৫০ ওভারে ২৬৪/৬ ( তৌহিদ ১২২, রাজ্জাক ৩/৫৬)
অগ্রণী ব্যাংক ক্রিকেট ক্লাব ৪৬.৫ ওভারে ২৬৮/৫ ( ধীমান ৮৫*, সালমান ৬৫*, শুভাগত ২/৫৯)
ফল- অগ্রণী ব্যাংক ৫ উইকেটে জয়ী
ব্যাটিংয়ে নেমে ২৭ রানে ২ উইকেট হারানো শাইনপুকুরকে পথ দেখিয়েছে উদয় কউল- তৌহিদ হৃদয় জুটি। ১৩৪ রানের জুটি ভাঙ্গে ৭৭ রান করা উদয়ের উইকেটে। উদয় সেঞ্চুরি মিস করলেও তৌহিদ সেটা করেছেন। ৮ চার ও ৩ ছক্কায় ১২৫ বলে তৌহিদ করেছেন ১২২ রান। আবদুর রাজ্জাক নিয়েছেন ৩ উইকেট।
২৬৫ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে অগ্রণী ব্যাংকের দুই উদ্বোধনী ব্যাটসম্যান আজমির আহমেদ ও শাহরিয়ার নাফিস তোলেন ৮৭ রান। নাফিসকে ৩৫ রানে ফিরিয়ে জুটি ভাঙ্গেন রাইহান উদ্দিন। ৩৮ রানের ভেতর আরও চার উইকেট পড়লে জয়ের কাজটা হয়ে যায় কঠিন। ধীমান ঘোষ ও সালমান হোসেন সেই কঠিন কাজকেই সহজ করেছেন। ৭৬ বলে ৮৫ রান ধীমানের, ৬৭ বলে ৬৫ রান সালমানের। দুইজনের অবিচ্ছিন্ন ১৪৩ রানের জুটিতেই অগ্রণী ব্যাংক জয় পায় ৫ উইকেটে।
শেখ জামাল ধানমন্ডি ক্লাব ৫০ ওভারে ২৮৭/৯ ( নুরুল ৭৭, তাইজুল ২/৪০)
মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাব ৪৮.১ ওভারে ২৯০/৫ ( শামসুর ১২৩*, রবিউল ৫৫/২)
ফল- মোহামেডান ৫ উইকেটে জয়ী
২৮৮ রানের লক্ষ্যটা তাড়া করতে গিয়ে শূন্য রান করেই ফিরেছেন ওপেনার জনি তালুকদার। সালমান বাট- শামসুর রহমান সেই ধাক্কাটা সামলে গড়েছেন ১১৯ রানের জুটি। এই জুটিই গড়ে দিয়েছে মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাবের জয়ের ভিত। সেঞ্চুরি করে অপরাজিত থেকে শেখ জামালের বিপক্ষে দলকে ৫ উইকেটের জয় এনে দিয়েছেন অধিনায়ক শামসুরই।
৯ চার ও ৫ ছক্কায় ১২৪ বলে ১২৩ রানে অপরাজিত ছিলেন শামসুর। ৪৯ বলে ৬৩ রানের ঝড়ো ইনিংস খেলে মোহামেডানের জয়ের রাস্তাটা আরও মসৃণ করেছেন রকিবুল হাসান। ১১ বল বাকি থাকতেই জয় পায় শামসুরের দল।
এর আগে প্রথমে ব্যাটিংয়ে নেমে নুরুল হাসানের ৭৭, রাকিন আহমেদের ৬৪ ও সৈকত আলির ৫০ রানে ২৮৭ রান করে শেখ জামাল।