• বাংলাদেশ-শ্রীলংকা
  • " />

     

    ওয়েস্ট ইন্ডিজ ক্রিকেটে 'পাইবাস-সঙ্কট'

    ওয়েস্ট ইন্ডিজ ক্রিকেটে 'পাইবাস-সঙ্কট'    

    ২০১৭ সালের জানুয়ারিতে ওয়েস্ট ইন্ডিজ ক্রিকেটের ‘ডিরেক্টর অব ক্রিকেট’ পদটা ‘বিতর্কিতভাবে’ ছেড়েছিলেন ইংলিশ কোচ রিচার্ড পাইবাস। তার জায়গায় নেওয়া হয়েছিল সাবেক ক্যারিবীয় ব্যাটসম্যান জিমি অ্যাডামসকে, যিনি এখনও দায়িত্বে আছেন। সম্প্রতি আবার ওয়েস্ট ইন্ডিজ ক্রিকেটের কাঠামোতে নিয়োগ পেয়েছেন পাইবাস, এবার তার পদ- ‘হাই পারফরম্যান্স ডিরেক্টর’। বোর্ডের তরফ থেকে বলা হচ্ছে, অ্যাডামস ও অ্যান্টিগার হাই পারফরম্যান্স সেন্টারের ম্যানেজার গ্রায়েম ওয়েস্টের মাঝে সেতুবন্ধন হিসেবে কাজ করবেন তিনি। 

    পাইবাসের এই পদটা ওয়েস্ট ইন্ডিজের নতুন সৃষ্টি করা। তবে পাইবাসের ফিরে আসাটা মানতে পারছেন না সাবেক ওপেনার ডেসমন্ড হেইন্স, এই অসোন্তষের তালিকায় মন্তব্য যোগ করেছেন সাবেক অধিনায়ক ড্যারেন স্যামিও। 

    ‘আমি বোর্ড প্রেসিডেন্ট ডেভ ক্যামেরনকে এই নিয়োগের ব্যাপারে জিজ্ঞাসা করতে চাই, এ পদ নিয়ে বিজ্ঞপ্তি দেওয়া হয়েছিলেন কখন?’, নিজের ফেসবুক অ্যাকাউন্টে হেইনস এই প্রশ্ন তুলেছেন। হেইনসের এই প্রশ্নের উত্তরে ইএসপিএনক্রিকইনফো বলছে, এ পদ নিয়ে কোনও বিজ্ঞপ্তি আদতে দেওয়া হয়নি, বরং পাইবাসের নিয়োগে সরাসরি হস্তক্ষেপ আছে ক্যামেরনের। এ পদের জন্য আর কোনও প্রার্থীর সাক্ষাতকারও নেওয়া হয়নি। 

    অবশ্য বোর্ডের তরফ থেকে পাইবাসের নিয়োগকে ঠিকঠাকই বলা হচ্ছে। ক্রিকেট ওয়েস্ট ইন্ডিজের প্রধান নির্বাহী জনি গ্রেভ বলেছেন, ‘ক্রিকেট ওয়েস্ট ইন্ডিজের সিনিয়র ম্যানেজমেন্ট থেকে সবাই পাইবাসের নিয়োগের পেছনে রয়েছেন।’ 

    ‘এটা একটা কৌশলগত নিয়োগ। দুই বছরের জন্য পরামর্শকের পদ এটা, অ্যান্টিগায় হাই পারফরম্যান্স সেন্টার গড়ে তুলতে এই পদটা নির্দিষ্টভাবে কাজ করবে।

     

    রিচার্ড পাইবাস

    ড্যারেন স্যামি তো মানতেই পারছেন না পাইবাসের ফিরে আসাটা, ‘মিথ্যা, মিথ্যা, মিথ্যা.. অবশ্যই ফাঁপা খবর…’, টুইট করেছেন তিনি। ‘আমি এখনও আশা করছি, এই দুঃস্বপ্নটা সত্যি নয়, সে ওয়েস্ট ইন্ডিজ ক্রিকেটে ফিরে আসছে না!’ আগের টুইটের একদিন পরও আশায় ছিলেন স্যামি। 

    স্যামির এই আপত্তির কারণ- বছরখানেক আগে পাইবাসের ওয়েস্ট ইন্ডিজ ছেড়ে যাওয়ার আগে সৃষ্ট সব বিপত্তি। তিন বছর চুক্তি থাকার পর সেটা নবায়ন না করেই দায়িত্ব ছেড়েছিলেন এই ইংলিশ। ওয়েস্ট ইন্ডিজের হয়ে খেলতে হলে ঘরোয়া প্রথম শ্রেণি ও ওয়ানডে টুর্নামেন্টে খেলতেই হবে, এই নিয়মটা করেছিলেন তিনিই। তখন অনেক সিনিয়র ক্রিকেটারই বেছে নিয়েছিলেন শুধুই বিদেশী টি-টোয়েন্টি টুর্নামেন্টগুলোতে খেলার সুযোগ। 

    ওয়েস্ট ইন্ডিজে নিয়োগ পাওয়ার আগে বাংলাদেশে এসেছিলেন পাইবাস, ছিলেন নতুন কোচের সংক্ষিপ্ত তালিকায়। ড্যারেন স্যামির টুইটে কোনও প্রতিক্রিয়া না জানালেও হেইনসের আপত্তির জবাব পাইবাস দিয়েছেন ফেসবুকে। 

    ‘হাই ডেসমন্ড। একজন ফেসবুক বন্ধু হিসেবে মনে হয় এটা (হেইনসের পোস্ট) আমার মনযোগের জন্যও। কয়েকটা বিষয় পরিষ্কার করতে বলতে হয়, আমি বাংলাদেশে আমন্ত্রণ পেয়ে গিয়েছিলাম, তাদের বোর্ডের সঙ্গে দেখা করতে। আমি কোনও আবেদন করিনি, কোনও সংক্ষিপ্ত তালিকাতেও ছিলাম না।’ 

    এর আগে দক্ষিণ আফ্রিকার বর্ডারে তার কোচিং থেকে উঠে আসা মার্ক বাউচার, মাখায়া এনটিনি ও জাস্টিন কেম্পের উঠে আসার কথা উল্লেখ করে পাইবাস আরও বলেছেন, ‘আমি পাকিস্তানকে দুইবার বিশ্বকাপে কোচিং করিয়েছি, ১৯৯৯ সালের ফাইনালসহ।’

    ‘আর ক্রিকেট ওয়েস্ট ইন্ডিজকে যদিও ২০১৬ সালে তিনটি বৈশ্বিক শিরোপা (ওয়ার্ল্ড টি-টোয়েন্টি, ওয়ার্ল্ড উইমেনস টি-টোয়েন্টি, অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপ) জেতার জন্য সেভাবে “কৃতিত্ব” দেওয়া হয়না, তবুও সেগুলো দূর্ঘটনা ছিল না। অনূর্ধ্ব-১৯ ও মহিলা দলগুলো এইচপি কর্মসূচির আওতায় ছিল। আর আমার জায়গায় জিমিকে (অ্যাডামস) নিয়োগ করা হয়নি, আমি বর্ধিতকরণে আপত্তি করেছিলাম। শুভেচ্ছাসহ- রিচার্ড।’