শেষে এসে 'সুবিধাটা' স্বীকার করলেন হাথুরুসিংহে
বাংলাদেশ দলের দায়িত্ব ছাড়ার একমাসের মাঝেই হয়েছেন শ্রীলংকার কোচ। কোচ হিসেবে চন্ডিকা হাথুরুসিংহের প্রথম সফরটা ছিল সেই বাংলাদেশের বিপক্ষেই। সাবেক শিষ্যদের বিপক্ষে কি কিছুটা হলেও বাড়তি সুবিধা পাবেন? সফরের শুরু থেকেই এই প্রশ্নের উত্তরে বরাবরই ‘না’ বলেছেন হাথুরু। তবে সিরিজের শেষ মুহূর্তে এসে স্বীকার করেই নিলেন, তামিম-মুশফিকদের সাথে কাজ করার অভিজ্ঞতাটা শ্রীলংকার জয়ে ভূমিকা রেখেছে।
ত্রিদেশীয় সিরিজের শুরুটা ভালো না হলেও শেষ পর্যন্ত চ্যাম্পিয়ন হয়েছে শ্রীলংকাই। টেস্টেও ট্রফি উঠেছে হাথুরুর দলের হাতেই। টি-টোয়েন্টির প্রথম ম্যাচে রেকর্ড রান করেও লংকানদের বিপক্ষে জিততে পারেনি বাংলাদেশ। প্রায় সাড়ে তিন বছর বাংলাদেশের কোচ থাকায় প্রতিপক্ষকে নিয়ে পরিকল্পনা সাজানোটা একটু সহজ হয়েছে বলেই মানছেন হাথুরু, ‘বাংলাদেশ দলের খেলার ধরন সম্পর্কে জানাশোনা থাকাটা অবশ্যই কাজে দিয়েছে। কিছু নির্দিষ্ট ক্রিকেটারের জন্য বিশেষ পরিকল্পনা সাজিয়েছিলাম। আমরা জানতাম চাপের মুহূর্তে তারা কেমন খেলবে। প্রথম দুই ম্যাচে সেটাই হয়েছিল। এটা না হলেই বরং খানিকটা হতাশ হতাম। আমরা যেভাবে ফিরে এসেছি সেটায় খুশি। ব্যক্তিগতভাবে সফরটা নিয়ে আমি সন্তুষ্ট। ’
হাথুরুর জন্য ভালো গেলেও সিরিজটা ভালো কাটেনি বাংলাদেশের। আত্মবিশ্বাসের অভাবেই এমনটা হয়েছে বলে জানালেন হাথুরু, ‘আমার মনে হয় না তারা চাপে ভেঙে পড়েছে। ত্রিদেশীয় সিরিজের শুরুর দিকে বাংলাদেশ ভালো খেলেছে, জিম্বাবুয়ে ও শ্রীলংকাকে চাপে রেখেছে। তবে কিছু খারাপ পারফরম্যান্সের পর তারা নিজেদের নিয়েই সন্দেহে ছিল। এত দ্রুত তাদের পারফরম্যান্সের গ্রাফ নিচের দিকে নামবে সেটা ভাবিনি।’
সাম্প্রতিক সময়ে শ্রীলংকান দলের পারফরম্যান্স মোটেও সুখকর নয়। হাথুরুর ধারণা, দেশি কোচ পেয়েই হয়ত ঘুরে দাঁড়াতে পেরেছে শ্রীলংকা, ‘ক্রিকেটারদের নিয়ে আমি দারুণ সন্তুষ্ট। নিজের দেশের সাথে কাজ করার সুফলটা পাচ্ছি। তাঁদের সাথে বোঝাপড়াটাও এজন্য ভালো হচ্ছে। শুরুতে কিছুটা সময় লেগেছিল, ধীরে ধীরে তারা চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করেছে ভালোভাবেই।’
দায়িত্ব ছাড়ার প্রক্রিয়াটা সুখকর ছিল না। এতকিছুর পড়েও বাংলাদেশের উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ চাইছেন হাথুরুসিংহে, ‘সিরিজ শেষে চলে যাওয়ার পরও আমি চাইব বাংলাদেশ ভালো খেলুক। তাঁদের পথচলায় সবসময় নজর রাখছি।’