প্রিমিয়ার লিগে জিতেই চলেছে আবাহনী
ব্যাটিং বিপর্যয় সামলে দলকে এনে দিয়েছেন লড়াই করার পুঁজি, বল হাতেও নিয়েছেন ৪ উইকেট। পাকিস্তানি আকবর-উর-রেহমানের দারুণ এক অলরাউন্ড পারফরম্যান্সে গাজী গ্রুপ ক্রিকেটার্সকে ৫৫ রানে হারিয়েছে কলাবাগান ক্রীড়াচক্র। সাইফ হাসান ও এনামুল হকের ব্যাটে টানা চতুর্থ জয় পেয়েছে আবাহনী লিমিটেড। ফজলে মাহমুদের ব্যাটে ভর করে জিতেছে প্রাইম দোলেশ্বর স্পোর্টিং ক্লাব।
কলাবাগান ক্রীড়া চক্র ৫০ ওভারে ২৩২/৭ (আকবর ৮০, ভাটিইয়া ২/৩৫)
গাজী গ্রুপ ক্রিকেটার্স ৪৫.১ ওভারে ১৭৭ ( ইমরুল ৭৪, আকবর ৪/৩৫)
কলাবাগান ৫৫ রানে জয়ী
২৩ রানে ৩ উইকেট হারানোর পর কলাবাগানের হাল ধরেছিলেন আকবর। তাইবুর রহমানের সাথে তার ১০১ রানের জুটি ভাঙ্গে মুমিনুল হকের বলে। হাফ সেঞ্চুরি পূর্ণ করার পরপরই ফেরেন তাইবুর। ৭ চার ও ২ ছয়ে সেঞ্চুরির দিকে এগিয়ে যাচ্ছিলেন আকবর। ৮০ রানের মাথায় রজত ভাটিয়ার বলে বোল্ড হওয়ায় সেটা আর হয়নি। শেষের দিকে মাহমুদুল হাসান ও আবুল হাসানের ঝড়ো ব্যাটিংয়ে কলাবাগান করে ২৩২ রান। শেষ পর্যন্ত জয়ের জন্য যথেষ্ট হয়েছে সেটাই।
ইমরুল কায়েসের ব্যাটিংয়ে অবশ্য জয়ের দিকে ভালোভাবেই এগুচ্ছিল গাজী গ্রুপ। ব্যাটিংয়ের পর বোলিংয়েও গাজীকে ভুগিয়েছেন সেই আকবরই। ৩৫ রানে ৪ উইকেট নিয়ে দাঁড়াতেই দেননি গাজীর মিডল অর্ডারকে। ৫ ওভার বাকি থাকতেই গুটিয়ে গেছে গাজী। মৌসুমে কলাবাগানের এটি প্রথম জয়।
লিজেন্ডস অফ রূপগঞ্জ ৫০ ওভারে ২৪৭/৮ (মজিদ ৮৯, তাসকিন ৩/৬১)
আবাহনী লিমিটেড ৪৮ ওভারে ২৫৩/৫ ( সাইফ ৭৮, এনামুল ৭৭, মোশাররফ ২/৪১)
আবাহনী ৫ উইকেটে জয়ী
আগের ম্যাচের সেঞ্চুরিয়ান আব্দুল মজিদ আজও পেতে পারতেন সেঞ্চুরি। ৬ চার ও ৫ ছক্কায় ১১৪ বলে করেন ৮৯ রান। তবে মজিদর উইকেটের পর রূপগঞ্জের বাকি ব্যাটসম্যানরা ছিলেন যাওয়া-আসার মধ্যেই।
২৪৮ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে আবাহনীর কাজটা সহজ করে দিয়েছে এনামুল হক-সাইফ হাসানের ১৪৩ রানের ওপেনিং জুটি। ১০ চার ও এক ছয়ে সাইফের রান ৭৮; ৫ চার ও ২ ছক্কায় ৮৯ বলে ৭৭ করেছেন এনামুল। ২ ওভার বাকি থাকতেই জয় পেয়েছে আবাহনী। এ নিয়ে টানা চার ম্যাচই জিতল আবাহনী।
ব্রাদার্স ইউনিয়ন ৪৬.৫ ওভারে ২১৪ ( মিজানুর ৭১, টেন ডেসকাটে ৩/৩৮)
প্রাইম দোলেশ্বর স্পোর্টিং ক্লাব ৪৭.৫ ওভারে ২১৫/৪ ( ফজলে মাহমুদ ৭৩, কাপালি ৩/৪৭)
দোলেশ্বর ৬ উইকেটে জয়ী
টসে জিতে ব্যাটিংয়ে নেমে মিজানুর রহমানের ৭৯ বলে ৭১ রানে ব্রাদার্স ইউনিয়ন করেছিল ২১৪ রান। ৯ চার ২ ছয়ে মিজানুরের ইনিংস শেষ হয়েছে ফজলে মাহমুদের বলে ফিরতি ক্যাচ দিয়ে।
২১৫ রানের লক্ষ্যে নেমে ওপেনিং জুটিতে প্রাইম দোলেশ্বর তোলে ৮২ রান। আগের ম্যাচের সেঞ্চুরিয়ান লিটন দাস ফিরেছেন ৪৩ রানে, তবে দলকে জয়ের কাছে নিয়ে গেছেন ফজলে মাহমুদ। অলক কাপালির বলে আউট হওয়ার আগে ফজলে করেছেন ৭ চার ও ২ ছয়ে ৮০ বলে ৭৩ রান। শেষ পর্যন্ত ৬ উইকেট হাতে রেখে ১৩ বল বাকি থাকতেই জয় পেয়েছে প্রাইম দোলেশ্বর। চার ম্যাচের মধ্যে তিনটিতেই জিতল দোলেশ্বর।