নেইমার-কাভানিতে জয়ের ধারায় ফিরল পিএসজি
এগিয়ে গিয়েও রিয়াল মাদ্রিদের মাঠে জেতা হয়নি। চ্যাম্পিয়নস লিগের দ্বিতীয় রাউন্ডের সেই পরাজয়ের পর ঘুরে দাঁড়ানোর লক্ষ্য নিয়েই ফ্রেঞ্চ লিগে স্ট্রাসবুর্গের বিপক্ষে খেলতে নেমেছিল পিএসজি। ঘরের মাঠে পিছিয়ে পড়েও নেইমার-কাভানির গোলে ৫-২ ব্যবধানে জিতে জয়ের ধারায় ফিরল উনাই এমেরির দল।
দ্বিতীয় মিনিটেই পিএসজিকে এগিয়ে দিতে পারতেন নেইমার। গোলরক্ষককে একা পেয়েও বল জালে জড়াতে পারেননি। চার মিনিট পরেই লিড নেয় স্ট্রাসবুর্গ, কেনি লালার পাসে বক্সের ভেতর বল পেলে গোল করেন হুয়ান আহুলু।
সমতা আনতে অবশ্য বেশিক্ষণ সময় নেয়নি পিএসজি। জুলিয়ান ড্রাক্সলারের বাঁ পায়ের জোরালো শটে স্বস্তি ফেরে পিএসজি ডাগআউটে। এই গোলেই যেন বদলে যায় পিএসজি। মুহুর্মুহু আক্রমণে দিশেহারা হয়ে পড়ে স্ট্রাসবুর্গ। সেই সুযোগে দলকে এগিয়ে দেন নেইমার। ২১ মিনিটে দুই ডিফেন্ডার ও গোলরক্ষককে কাটিয়ে দারুণ এক গোল করেছেন।
এগিয়ে যাওয়ার এক মিনিটে পেরোতে না পেরোতেই আবারও পিএসজির গোল। এবার গোলদাতা ডি মারিয়া। ডিফেন্ডারের ভুলে বক্সের বাইরে বল পেয়েছিলেন ডি মারিয়া, এরপর সামনে থাকা গোলরক্ষকের কিছুই করার ছিল না। প্রথমার্ধের আগে আরও গোল হতো, তবে পিএসজির ফরোয়ার্ডদের সুযোগ নষ্টের মহড়ায় সেটা হয়নি।
দ্বিতীয়ার্ধের ৬৭ মিনিটে গোল করে ম্যাচে ফেরার আভাস দিয়েছিল স্ট্রাসবুর্গ। নুনো কস্তার পাসে বক্সের অনেকটা বাইরে বল পেয়েছিলেন স্টেফেন বাহোকেন। তাঁর ডান পায়ের শট পোস্টের একবারে কোনা দিয়ে জালে ঢুকে যায়।
ম্যাচের বাকি সময়টা শুধুই এডিসন কাভানির। প্রায় এক ঘণ্টা নিষ্প্রভ থাকার পর জ্বলে ওঠেন পিএসজির ইতিহাসে সর্বোচ্চ গোলদাতা। ৭৩ ও ৭৯ মিনিটে গোল করে দলের বড় জয় নিশ্চিত করেন। পিএসজির মাঠে তাঁর গোলসংখ্যা দাঁড়াল ৮৬, যা ক্লাবের ইতিহাসে সেরা।