'দলের মনোবল ও পরিকল্পনায় ঘাটতি ছিল'
ত্রিদেশীয় ও শ্রীলঙ্কা সিরিজে বাংলাদেশ দলের মাঝে কৌশলগত পরিকল্পনা ও মনোবলে ঘাটতি ছিল বলে মনে করেছেন বিসিবি প্রেসিডেন্ট নাজমুল হাসান পাপন। দলের শরীরি ভাষাও ঠিক ছিল না বলে ধারণা তার। একজন হেড কোচের অভাব স্পষ্ট বলেও জানিয়েছেন তিনি।
আইসিসির সভা থেকে দেশে ফিরে সাংবাদিকদের নাজমুল জানিয়েছেন, ‘কোচ ছাড়া হবে না। পেশাদার কোচ দরকার। আমাকে সিরিজের আগে এমন কথাও বলা হয়েছিল যে, কোচেরই দরকার নাই। এটা যে ঠিক না, এটাতে কোনও সন্দেহ না। ফাইনালের আগের দিনও আমি আপনাদের ইঙ্গিত দিয়েছি, ওদের কথায় আমি সন্তুষ্ট না। কৌশল-পরিকল্পনা, গত চার বছর ধরে যেভাবে হয়ে আসছিল, ওইরকম আমি কিছুই পাই নাই।’
‘মূল যে সমস্যা, আগে আমরা যেভাবে খেলে আসছিলাম, মানসিকভাবে সবার একটা ব্যাপার- আমরা জিতব- “টিমওয়ার্ক”, এই জিনিসগুলোর মাঝে ঘাটতি ছিল- এটা আমার ধারণা। আমি যেখানেই থাকি, খেলা তো দেখি।’
ঘরের মাটিতে সফলতার ধারাবাহিকতা কিভাবে ছুটে গেল, সে প্রশ্নও তুলছেন তিনি, ‘(বর্তমান ম্যানেজমেন্ট) ওদের মতো ওরা করেছে, কিন্তু এটা যথেষ্ট না। আপনারা (সাংবাদিকরা) এতো বছর ধরে ক্রিকেটের সঙ্গে জড়িত, আপনারাও বুঝবেন- একটা দল হঠাৎ করে এভাবে বদলে যেতে পারে না। এটাকে বাংলাদেশ দল মনেই হয়নি আমার। ফাইনালের দিন তো আমার মনটা একেবারে ভেঙ্গেই গেছে।’
‘হতে পারে হাথুরুসিংহে নেই। কিন্তু ২২০(২২২) করতে পারবো না, এটা হতে পারে না। যে জিনিসটা হয়েছে, ওই ম্যাচের পর থেকেই মনোবল ভেঙ্গে গেছে। কাউকে এটা গড়ে তুলতে হবে। প্রধান ক্রিকেটাররা ছাড়া কে আসবে কে যাবে, এটা ঠিক করতে হবে। সাকিবের অনুপস্থিতিতি ভুগিয়েছে, কিন্তু সাকিব-তামিম ছাড়া আমরা তো খারাপ খেলিনি আগে। দলকে দেখে মনে হয়নি, ওরা জিততে চাচ্ছে। শরীরি ভাষা দেখে মনে হয়নি ওরা জিতবে। আপনি শ্রীলঙ্কান দলকে দেখেছেন? আমাদেরটা উল্টা হয়ে গেল কেন? আমাদের তো একই থাকবে। উন্নতি না, যেটা ছিল সেটা থাকলেও তো... সব মিলিয়ে এখানে দক্ষতার চেয়েও আমি বেশি মনে করি মনোবল এবং কৌশলগত পরিকল্পনার বিশাল অভাব ছিল।’
পরিকল্পনার অভাব বুঝাতে নাজমুল একটি ঘটনার উদাহরণ দিয়েছেন, ‘প্রথম টি-টোয়েন্টির আগের রাতে আমাকে স্কোয়াড বলতে পারেনি। ম্যাচ পাঁচটায়, তিনটায় আমি জিজ্ঞেস করেছি দল কী। কিন্তু কেউ বলতে পারেনি। এরপর আর কিছু বলার থাকে না। এরপরই আমি আসার পরিকল্পনা বাদ দিয়েছি। যেহেতু কথা দিয়েছি, এই সিরিজটা ওদের মতো খেলতে দেব, সেই কথা রেখেছি। কিন্তু এখন আর চুপ করে বসে থাকা সম্ভব না।’