এনামুলের সেঞ্চুরির পর মাশরাফির ৫ উইকেট
আবাহনী-শেখ জামাল, বিকেএসপি
টস- আবাহনী (ব্যাটিং)
আবাহনী ২৭০/৭, ৫০ ওভার (এনামুল ১১৬, মোসাদ্দেক ৪৯, রবিউল ৩/৪৭, সোহাগ গাজী ১/১০)
শেখ জামাল ২২৩ অল-আউট, ৪৫.৩ ওভার (নুরুল ৮৩, সাক্সেনা ৪৩, মাশরাফি ৫/২৯, মেহেদি ২/৪৪)
ফল- আবাহনী ৪৭ রানে জয়ী
প্রিমিয়ার লিগে আবাহনী উড়ছেই। এবার এনামুল হকের সেঞ্চুরির পর মাশরাফি বিন মুর্তজার ৫ উইকেটে শেখ জামালকে ৪৭ রানে হারিয়েছে তারা। এ নিয়ে নিজেদের প্রথম পাঁচ ম্যাচেই টানা জিতল আবাহনী।
টসে জিতে শুরুটা অবশ্য ভাল হয়নি আবাহনীর। ৪৩ রানেই হারিয়েছে ৩ উইকেটে, ৪র্থ উইকেটেও এসেছে মাত্র ৩৫ রান। সাইফ, নাজমুল, শান্ত, মিঠুন- দ্রুতই ফিরেছেন সবাই। তবে একপ্রান্তে ছিলেন এনামুল, মোসাদ্দেক হোসেনকে নিয়ে ৫ম উইকেটে গড়েছেন ১২১ রানের জুটি। ৩৮তম ওভারে লিস্ট ‘এ’ ক্যারিয়ারের ৮ম সেঞ্চুরি পূর্ণ করেছেন এনামুল। ১২২ বলে ছয় চার ও ৪ ছয়ে করেছেন ১১৬ রান। ১ রানের জন্য ফিফটি পাননি মোসাদ্দেক, রবিউল হকের বলে ক্যাচ দিয়েছেন উইকেটকিপার নুরুলকে। সেই ওভারেই রবিউলের বলে ফিরেছেন মাশরাফিও, ৪৫ ওভারে ৭ উইকেটে আবাহনীর রান ছিল ২১৪।
এরপরই ঝড় তুলেছেন সানজামুল ইসলাম ও মেহেদি হাসান মিরাজ। শেষ ৫ ওভারে দুইজন মিলে তুলেছেন ৫৬ রান। সানজামুল করেছেন ১৫ বলে ২৪, মেহেদি করেছেন ১৮ বলে ৩৪ রান। ৫০ ওভারে শেষ পর্যন্ত আবাহনী তুলেছে ২৭০ রান।
ব্যাটিংয়ে শেখ জামালের পরিণতি শুরুর দিকে ছিল আবাহনীর মতোই। ১২৯ রানে নেই ৬ উইকেট, শেখ জামালকে সেখান থেকে টেনে তুলেছে নুরুল ইসলামের সঙ্গে আল-ইমরানের ৭৬ রানের জুটি। ৬১ বলে ৮৩ রানের ঝড়ো ইনিংস খেলেছেন নুরুল, ৭ম ব্যাটসম্যান হিসেবে আউট হওয়ার সময় শেখ জামালের প্রয়োজন ছিল ৫৩ বলে ৬৬ রান।
তবে শুরুর আঘাতের মতো শেখ জামালের লেজটাও ছেঁটে দিয়েছেন মাশরাফি। দুই ওপেনার সৈকত আলি ও জিয়াউর রহমানের পর আল-ইমরান ও নাজমুল হোসেন- ৫টি উইকেটের মধ্যে মাশরাফি ৪টিই পেয়েছেন বোল্ডে। শেষ ব্যাটসম্যান আবু জায়েদ ক্যাচ দিয়েছেন সাকলাইন সজীবের হাতে, ২৭ বল বাকি থাকতেই গুটিয়ে গেছে শেখ জামাল।