খেলাঘরে হাসি ফোটাল মাহিদুল-মেনারিয়ার জোড়া সেঞ্চুরি
অগ্রণী ব্যাংক-খেলাঘর, ফতুল্লা
টস-অগ্রণী ব্যাংক (ব্যাটিং)
অগ্রণী ব্যাংক ৫০ ওভারে ২৫৯/৮ ( জাহিদ ৫৪, রাজ্জাক ৩০, রবি ২/১৯, রাফসান ২/৩৫)
খেলাঘর সমাজ কল্যাণ সমিতি ৪৭.২ ওভারে ২৬১/৩ (মাহিদুল ১১৫*, মেনারিয়া ১১৩*, শফিউল ৩/৩৩)
খেলাঘর ৭ উইকেটে জয়ী
এই মৌসুমের প্রথম দুই ম্যাচে পরাজয়। তৃতীয় ম্যাচে গাজী গ্রুপের বিপক্ষে জয় পেলেও পরের ম্যাচেই শাইনপুকুরের কাছে হারতে হয়েছে খেলাঘর সমাজ কল্যাণ সমিতিকে। ফতুল্লায় পঞ্চম ম্যাচে মাহিদুল ইসলাম অঙ্কন ও অশোক মেনারিয়ার জোড়া সেঞ্চুরিতে অগ্রণী ব্যাংককে ৭ উইকেটে হারিয়ে ঢাকা প্রিমিয়ার ডিভিশন লিগে দ্বিতীয় জয় পেল খেলাঘর। এ নিয়ে পাঁচ ম্যাচের মধ্যে তিনটিতেই হারল অগ্রণী ব্যাংক।
লক্ষ্যটা আহামরি ছিল না। ২৬০ রান তাড়া করতে নেমে ৪০ রানেই ৩ উইকেট হারায় খেলাঘর। ৩টি উইকেটই নেন শফিউল ইসলাম। অগ্রণী ব্যাংকের হাসি ওই পর্যন্তই। ম্যাচের বাকিটা সময় শফিউল-রাজ্জাকদের ওপর ছড়ি ঘুরিয়েছেন মাহিদুল ও মেনারিয়া।
গাজীর বিপক্ষে ম্যাচের দিন ১৫ রানের জন্য সেঞ্চুরি ফসকে গিয়েছিল মাহিদুলের। আজ সেটার পুনরাবৃত্তি হয়নি। ৪ চার ও ৬ ছয়ে ১৩১ বলে করেছেন ১১৫ রান। সেঞ্চুরি পেয়েছেন মেনারিয়াও। মাহিদুলের চেয়ে একটু বেশিই আক্রমণাত্মক ব্যাটিং করেছেন। ৯ চার ও ৩ ছয়ে ১১২ বলে করেছেন ১১৩। দুজনের ২২১ রানের দুর্দান্ত জুটিতেই ১৪ বল হাতে রেখে জয় পায় খেলাঘর।
ফতুল্লায় টসে জিতে ব্যাটিংয়ে নেমে শুরুটা অবশ্য খারাপ করেননি অগ্রণী ব্যাংকের দুই ওপেনিং ব্যাটসম্যান। আগের দুই ম্যাচে কোনো রান না পাওয়া সৌম্য সরকার উড়ন্ত সূচনাই করেছিলেন, ৩ চার ও ১ ছয়ে করেন ২৩ রান। ৫৯ রানে ৫ বলের ব্যবধানেই ফেরেন সৌম্য ও আজমির আহমেদ । শাহরিয়ার নাফিস- রাফাতুল্লাহ মোহমান্দের ৪৮ রানের জুটি সেই চাপ কিছুটা সামাল দিয়েছে।
রাফসান আল মাহমুদের বলে ২৮ রান করা রাফাতুল্লাহ ফেরার পর ১৯ রানের মাঝে আরও দুই ব্যাটসম্যান আউট হন। এরপর জাহিদ জাভেদ ও আব্দুর রাজ্জাকের ব্যাটেই দলের স্কোর ২৫০ পেরিয়েছে। জাহিদ করেন ৫৬ বলে ৫৪। ১৭ বলে ৩০ রানের দারুণ এক ক্যামিও ইনিংস খেলেছেন রাজ্জাক, স্ট্রাইক রেট ছিল ১৭৬!
শেষ পর্যন্ত যথেষ্ট হয়নি কোনোটিই!