• ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগ
  • " />

     

    ফুটবল বদলাতে পারেননি গার্দিওলা

    ফুটবল বদলাতে পারেননি গার্দিওলা    

    আগামীকাল ক্যারাবাও কাপের ফাইনালে আর্সেনালের প্রতিপক্ষ ম্যানচেস্টার সিটি। ওয়েম্বলির ম্যাচের আগে আর্সেন ওয়েঙ্গারের কাছে প্রশ্ন ছিল সিটি ম্যানেজার পেপ গার্দিওলাকে নিয়ে। বার্সেলোনা, বায়ার্ন মিউনিখের পর ইংল্যান্ডে দ্বিতীয় মৌসুমে সিটিকেও অপরাজেয় দলে পরিণত করেছেন গার্দিওলা। ফুটবলে গার্দিওলার অবদানের জন্য তাকে ইতিহাসের অন্যতম সেরা ম্যানেজারও মনে করেন অনেকেই । কিন্তু আর্সেন ওয়েঙ্গার অবশ্য সে দলের কেউ নন। শিরোপা জিতলেও ফুটবলকে গার্দিওলা বদলে দিতে পারেননি পারেননি বলেই মনে করেন আর্সেনাল ম্যানেজার। 

    ফুটবলকে বদলে দিতে পেরেছেন গার্দিওলা? সংবাদ সম্মেলনে প্রশ্নের জবাব সরাসরিই দিয়েছেন ওয়েঙ্গার, আবার করেছেন উলটো প্রশ্ন।  

    "না, কেন?" 

    গত এক দশকে গার্দিওলা খেলার মান আরও উঁচুতে নিয়ে গেছেন কি না, সে প্রশ্নের উত্তরে জোর দিয়েছেন খেলোয়াড়দের গুরুত্বের ওপর। "না, আপনি দেখুন বার্সেলোনার দিকে তাকান। তারা এখনও ইউরোপের সেরা দল। আপনাকে এটা স্বীকার করতেই হবে যে নামকরা খেলোয়াড়রা খুব অল্প কিছু দলেই ঘুরে ফিরে খেলে, আর এটাই আসলে আজকাল ফুটবল বদলে দিয়েছে। ফুটবলটা তাই খেলোয়াড়দের ওপরই নির্ভর করছে। কারণ খেলোয়াড়রাই এখন বেশি গুরুত্বপূর্ণ।"

    গার্দিওলার সাফল্য বড় করে না দেখলেও তার সমালোচনা করেননি ওয়েঙ্গার। কোচ হিসেবে তাকে 'ভালো'দের কাতারেও ফেলতেও কার্পণ্য করেননি। তবে, কোচের চেয়ে খেলোয়াড় গার্দিওলাই বোধ হয় ওয়েঙ্গারের বেশি পছন্দের ছিল! আর্সেনালের ম্যানেজারের কথা শুনে সেটাও মনে করতে পারেন অনেকে। ওয়েঙ্গারের দলে যোগ দিতে না পারাদের তালিকায় ছিলেন গার্দিওলাও। ২০০১ সালে গার্দিওলা বার্সেলোনা ছাড়ার আগে দু'জন ওয়েঙ্গারের বাসাতেই বসেছিলেন এক বৈঠকে। শেষ পর্যন্ত অবশ্য চুক্তিটা হয়নি।

    "তার সাথে আমার বেশ কয়েকবার কথা হয়েছে। একবার সে আমার বাসায়ও এসেছিল, কারণ সে আর্সেনালে যোগ দিতে চেয়েছিল। আমিও খেলোয়াড় হিসেবে তাকে পছন্দ করতাম। মাঠে সিদ্ধান্ত নিতে পারা আর বল ডিস্ট্রিবিউশনে খুব ভালো ছিল সে। আর ও কুইক পাসিং গেমটাও ভালো খেলত। কিন্তু ততদিনে সে তার সেরা সময়টা ফেলে এসেছিল।"