তাইজুলের অলরাউন্ড পারফরম্যান্সে ম্লান আল-আমিন, আরিফুলরা
প্রাইম ব্যাংক-মোহামেডান, বিকেএসপি
টস- মোহামেডান (ফিল্ডিং)
প্রাইম ব্যাংক ক্রিকেট ক্লাব ২৫৯/৯, ৫০ ওভার (আল-আমিন ১১০, আরিফুল ৮৭, তাইজুল ৩/৫৩, বিপুল ২/৪৩, অনিক ২/৪৭)
মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাব ২৬০/৭, ৪৮.৫ ওভার (রকিবুল ৬৪, রনি ৬০, তাইজুল ৩৫, রুবেল ২/৪১, দেলোয়ার ২/৪৯)
ফল- মোহামেডান ৩ উইকেটে জয়ী
৩৬ রানে ৬ উইকেট হারানোর পর ৯ উইকেটে ২৫৯ রান। প্রাইম ব্যাংকের ইনিংসে লেখা হয়েছে প্রত্যাবর্তনের দারুণ গল্প। জয় থেকে ৫৫ রান দূরে ৭ উইকেট হারিয়ে ফেলেছিল মোহামেডান। শেষ পর্যন্ত আর উইকেট যায়নি, বিকেএসপিতে প্রাইম ব্যাংকের প্রত্যাবর্তনের গল্পকে ছাপিয়ে গেছে মোহামেডানের স্নায়ুর দৃঢ়তা। বোলিংয়ের পর ব্যাটিংয়েও উজ্জ্বল ছিলেন তাইজুল ইসলাম।
টসে জিতে ফিল্ডিং নেওয়াটা দারুণ কাজে দিয়েছিল মোহামেডানের। প্রাইম ব্যাংকের প্রথম সাতজনের মাঝে এক আল-আমিন ছাড়া সবাই আউট হয়েছেন দুই অঙ্ক ছোঁয়ার আগেই, এর মধ্যে আছেন ভারতীয় ব্যাটসম্যান ইউসুফ পাঠানও, আজ প্রথম খেলতে নেমেছিলেন তিনি। আট নম্বরে নামা আরিফুল হকের সঙ্গে আল-আমিনের জুটি এরপরই। দুইজন মিলে ৭ম উইকেটে যোগ করেছেন ১৬১ রান। ১২৬ বলে ৯ চার ও ২ ছয়ে ১১০ রান করে কাজী অনিকের বলে বোল্ড হয়েছেন আল-আমিন। লিস্ট এ ক্যারিয়ারে এটি তার তৃতীয় সেঞ্চুরি, সর্বোচ্চ রানও।
আরিফুলও আউট হয়েছেন একইভাবে, একই বোলারের বলে। তার আগে করেছেন ৮৭ রান, ১০০ বলে ৪টি করে চার ও ছয়ে। মোহামেডানের তাইজুল ইসলাম নিয়েছেন ৩টি উইকেট, ২টি করে নিয়েছেন বিপুল শর্মা ও অনিক।
রনি ও জনি তালুকদার- দুই ভাইয়ের ওপেনিং জুটিতে মোহামেডান করেছে ৬০ রান। ফিফটি পেয়েছেন রনি, ৩২ রানের ভেতর ৪ উইকেট হারিয়ে চাপেই পড়েছিল মোহামেডান। সে চাপ আলগা হয়েছিল রকিবুল হাসান ও আমিনুল ইসলামের ৭০ রানের জুটিতে।
আমিনুল, বিপুল, রকিবুল- তিনজন ফিরেছেন ৪৩ রানের ভেতর, জয়ের জন্য তখনও ৫৫ রান দরকার ছিল তাদের, ৬১ বলে। বোলিংয়ের মতো ব্যাটিংয়েও জ্বলে উঠলেন তাইজুল, সঙ্গে ছিলেন মোহাম্মদ এনামুল। তাইজুল অপরাজিত ছিলেন ২ চার ও ১ ছয়ে ৩৬ বলে ৩৫ রানে, এনামুল করেছেন ২ চারে ৩৩ বলে ৩২ রান। ৭ বল বাকি থাকতেই জিতেছে মোহামেডান।
প্রথম ম্যাচ জয়ের পর টানা চারটি হারলো প্রাইম ব্যাংক, আর দুই ম্যাচ হারের পর টানা তিনটি জিতল মোহামেডান।