• ঢাকা প্রিমিয়ার ডিভিশন ক্রিকেট লিগ
  • " />

     

    আবাহনী-মোহামেডানের লড়াইয়ে ফিরবে সেই রোমাঞ্চ?

    আবাহনী-মোহামেডানের লড়াইয়ে ফিরবে সেই রোমাঞ্চ?    

    আবাহনী-মোহামেডান। মোহামেডান-আবাহনী। দুইটা নামের একসঙ্গে উচ্চারণই বোধহয় যথেষ্ট প্রতিদ্বন্দ্বিতার ছবিটা তুলে ধরতে। আসলেই কি তাই? সেই ঝাঁঝটা কি আছে ঢাকার এই বিখ্যাত দুই ক্লাবের লড়াইয়ে? এসব প্রশ্নের উত্তর দাবি করে বেশ কিছু ব্যাখ্যার। আবাহনী-মোহামেডানের মুখোমুখি হওয়াটা হয়তো স্মৃতির ঝাঁপি খুলে দেয়, বিস্মৃত এক লড়াইকে ফিরিয়ে আনে। ঢাকা প্রিমিয়ার লিগে ২৬ ফেব্রুয়ারি মিরপুরের ম্যাচটা যেমন। মিরপুরে প্রিমিয়ার লিগ ফিরেছে বেশ কিছুদিন পর, মুখোমুখি হওয়া দুই দলের নাম আবাহনী ও মোহামেডান বলে কি সেটা পাবে বাড়তি কোনো মাত্রা? 

    দুই ক্লাবের কর্মকর্তাদের কাছে অবশ্য এ লড়াই একটা মর্যাদার ব্যাপার। তবে ক্রিকেটারদের কাছে ব্যাপারটা এখন আর দশটা ম্যাচের মতোই। আবাহনীর অলরাউন্ডার মোসাদ্দেক হোসেন যেমন বলছেন, আগের সেই ঝাঁঝটা নেই এখন আর, ‘আমি যখন প্রথম বছর প্রিমিয়ার লিগ খেলি, তখন মনে হয়েছিল আবাহনী-মোহামেডান ম্যাচে অনেক বেশি উত্তেজনা। এবারেরটি নিয়ে আমি ৫ বছর প্রিমিয়ার লিগ খেলছি, তো আমার কাছে এখন বিষয়টা অনেক স্বাভাবিক। একটা ম্যাচ, আগের পাঁচটা ম্যাচের মতো এটাও একটা ম্যাচ। তো আগেও যেভাবে অনুশীলন করেছি যেভাবে খেলে আসছি প্রস্তুতি ঠিক ওরকমই। মোহামেডানের সাথে খেলা বলে অনেক কিছু করতে হবে ওরকম কিছু না। আমাদের সেরাটা খেলতে পারলে আমরা এখান থেকে বের হয়ে যাব।’

    এ মৌসুমে আবাহনী এখন পর্যন্ত উড়ছেই। পাঁচ ম্যাচের পাঁচটিতেই জয় নিয়ে টুর্নামেন্টে এখন পর্যন্ত একমাত্র অপরাজিত দল তারাই। রানের হিসেবে সবচেয়ে কম ব্যাবধানে জয়ের অঙ্কটাও ৩৬ রানের, উইকেটে হিসেবে সেটি ৬। প্রথম দুই ম্যাচ হেরে মোহামেডানের শুরুটা হয়েছিল অবশ্য ভুলে যাওয়ার মতো। সেটা ভুলে পরের তিন ম্যাচে টানা জয় তাদের, পয়েন্ট টেবিলে তাদের অবস্থান চারে। 


    আবাহনী-মোহামেডান, ঢাকা প্রিমিয়ার লিগ, মিরপুর শের-ই-বাংলা জাতীয় স্টেডিয়াম, সকাল ৯টা


    মোসাদ্দেক অবশ্য নিজের দলকেই এগিয়ে রাখছেন, ‘সব দলই ভাল। তবে আমাদের দলটা একটু বেশিই ভাল মনে হয় আমার কাছে। কাগজে-কলমে বা আমাদের দলে যে নামগুলো আছে। আমার কাছে মনে হয়, নামের যে ভারটা আছে, সে অনুযায়ী খেলতে পারলে দলগুলোর কষ্ট হয়ে যাবে আমাদের সঙ্গে ম্যাচ জেতা।’

    ক্রিকেটারদের মাঝে বাড়তি উত্তাপ ছড়ায় না হয়তো এখন আর আবাহনী-মোহামেডান লড়াই, কিন্তু খেলার প্রাণ দর্শকদের কী অবস্থা? প্রিমিয়ার লিগের ভেন্যু প্রভাব ফেলে অবশ্য এতে, মোটামুটি ঢাকার বাইরের ভেন্যুগুলোতে থাকে নামসর্বস্ব দর্শকই। মিরপুরে কি হবে এর ব্যতিক্রম? 

    মোসাদ্দেক এখানে বাস্তবতাকে টেনে আনছেন, ‘যখন প্রথম খেলা দেখি, আবাহনী-মোহামেডান দুই দলেরই ভাল দর্শক ছিল। মাঠে খুব ভাল দর্শক হতো। আস্তে আস্তে এটা কমে যাচ্ছে। ঐতিহ্যটা ছিল সেই জিনিসটা আমরা হারিয়ে ফেলছি কিনা সেটা একটা দেখার বিষয়। হয়ত মানুষ নানান কাজে ব্যস্ত হয়ে যাচ্ছে। যার যার কাজ নিয়ে। তারা আসলে ভাল লাগে। আবাহনী-মোহামেডান ম্যাচ হচ্ছে। দুইটি দলই বড় নাম। সবাই চিন্তা করে একটা ভাল খেলা হবে।’

    ঢাকা প্রিমিয়ার লিগ লিস্ট ‘এ’-এর মর্যাদা পাওয়ার পর ৭ বার মুখোমুখি হয়েছে আবাহনী মোহামেডান। ৫ ম্যাচ জিতে সেখানে পরিস্কারভাবেই এগিয়ে আবাহনী, মোহামডানের জয় বাকি ২টিতে। 

    মিরপুরের ম্যাচের পর পরিসংখ্যানটা কী হবে? আবাহনীর ৬, নাকি মোহামেডানের ৩?