মোহামেডানকে উড়িয়ে আবাহনীর টানা ছয়
আবাহনী-মোহামেডান, মিরপুর
টস- মোহামেডান (ফিল্ডিং)
আবাহনী লিমিটেড ৪৯.৪ ওভারে ২৫৯ ( এনামুল ৬৩, নাসির ৬৭, আজিম ৩/২৬)
মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাব ৩০.৪ ওভারে ১৪৭ ( ইরফান ৪০, রনি ৩৫, মাশরাফি ৩/৩৭, মিরাজ ৩/২৮)
আবাহনী ১১২ রানে জয়ী
আগের সেই উত্তাপটা আর নেই। তবুও আবাহনী-মোহামেডান ম্যাচ বলে কথা! কিছুটা উত্তেজনা না হলে চলে? মিরপুরে অবশ্য একপেশে ম্যাচই হলো আজ। মাশরাফি-মিরাজদের বোলিং তোপে মোহামেডানকে ১১২ রানের বড় ব্যবধানে হারিয়ে টানা ষষ্ঠ জয় পেল আবাহনী লিমিটেড। অন্যদিকে মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাব পেলো তৃতীয় পরাজয়ের স্বাদ।
মোহামেডানের সামনে লক্ষ্যটা খুব বেশি ছিল না। ২৬০ রান তাড়া করতে নেমে প্রথম ওভারেই জনি তালুকদারকে ফেরান মাশরাফি। তিন ওভার পর শামসুর রহমানও আউট হয়েছেন মাশরাফির বলেই। রনি তালুকদার ও ইরফান শুক্কুরের ৩৮ রানের জুটি একটু আশার আলো দেখালেও লাভ হয়নি। মোহামেডানকে তৃতীয় আঘাতটাও দিয়েছেন মাশরাফি।
রকিবুল হাসানকে নিয়ে পরের জুটিতে শুক্কুরও যোগ করেছে ৩৮ রান। এরপর মেহেদি হাসান মিরাজের ঘূর্ণিজাদুতেই ভেঙে পড়ে মোহামেডানের ব্যাটিং লাইনআপ। রনি, ইরফান ও রকিবুল ছাড়া দুই অংক ছুঁতে পারেননি কেউই। মোহামেডানের শেষ ৭ উইকেট পড়েছে মাত্র ৪৭ রানে! প্রায় ২০ ওভার বাকি থাকতেই গুটিয়ে যায় মোহামেডানের ইনিংস।
সকালে টসে হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে শুরুটা ভালো হয়নি আবাহনীর, ২ রান করে ফেরেন সাইফ হাসান। সাইফ রান না পেলেও রান পেয়েছেন এনামুল হক বিজয়য়, নাসির হোসেন ও মোহাম্মদ মিথুন ও মাশরাফি। ৪ চার ও ২ ছয়ে ৮১ বলে ৬৩ করেন এনামুল, তাইজুল ইসলামের বলে এলবিডব্লিউয়ের ফাঁদে পড়েছেন। ৭ চারে ৭৩ বলে নাসির করেন ৬৭ রান। শেষের দিকে মাশরাফির ২ ছয় ও এক চারে ১৭ বলে ২৬ রানের ক্যামিওতে আবাহনীর স্কোর ২৫০ পেরোয়।