• ঢাকা প্রিমিয়ার ডিভিশন ক্রিকেট লিগ
  • " />

     

    শরীফের হ্যাটট্রিক ও ক্যারিয়ারসেরা বোলিং

    শরীফের হ্যাটট্রিক ও ক্যারিয়ারসেরা বোলিং    

    গাজী গ্রুপ ১৯০ অল-আউট, ৩২.৪ ওভার (৩৩) (নাদিফ ৭৫, অনিক ৩৭, শরীফ ৬/৩৩, শহীদ ৩/৩২)
    লিজেন্ডস অব রুপগঞ্জ ১৯১/৫, ৩২.১ ওভার (৩৩) (রসুল ৬১, নাঈম ৩৮, নাঈম ৩/৩৮)
    ফল- রুপগঞ্জ ৫ উইকেটে জয়ী


    পুরো স্কোরকার্ড দেখুন এখানে 


     

    দিনটা স্রেফ মোহাম্মদ শরীফের। লিস্ট ‘এ’-তে নিজের দ্বিতীয় হ্যাটট্রিক করেছেন, গড়েছেন ক্যারিয়ারসেরা বোলিং ফিগারও। ৩৩ রানে ৬ উইকেট- শরীফের তোপেই মূলত উড়ে গেছে গাজী গ্রুপ। পরে পারভেজ রসুলের ফিফটিতে রুপগঞ্জ জিতেছে সহজেই। গতবারের চ্যাম্পিয়ন গাজী গ্রুপের দুর্দশা কাটছেই না, ৬ ম্যাচে তারা হারলো ৪টিতেই। আর ৪টি জিতলো লিজেন্ডস অব রুপগঞ্জ। 

     

     

    টসে হেরে ব্যাটিংয়ে নামা গাজী গ্রুপের টপ অর্ডার ধসে পড়েছে শুরুতেই, ৭৬ রানেই পড়েছে ৪ উইকেট। প্রথম চারটি উইকেটের দুইটি মোহাম্মদ শহীদের, দুইটি শরীফের। নাদিফ চৌধুরি ও জাকের আলি অনিকের ৫ম উইকেটের জুটিতে হালে একটু পানি ফিরেছিল গাজী গ্রুপের, অনিককে আউট করে ৬৪ রানের সেই জুটি ভেঙ্গেছেন শহীদ। ৫০ রানের ভেতর গাজী গ্রুপ হারিয়েছে পরের ৪ উইকেট। 


    লিস্ট 'এ'-তে বাংলাদেশের মাটিতে হ্যাটট্রিক

    তাপস বৈশ্য, কলাবাগান-প্রাইম ব্যাংক, ২০১৩

    মোহাম্মদ শরীফ, শেখ জামাল-গাজী গ্রুপ, ২০১৬ 

    মনির হোসেন, ভিক্টোরিয়া-ব্রাদার্স, ২০১৭

    আফিফ হোসেন, আবাহনী-শেখ জামাল, ২০১৭

    মোহাম্মদ শরীফ, গাজী গ্রুপ-রুপগঞ্জ, ২০১৮


    বৃষ্টির কারণে খেলা নেমে এসেছিল ৩৩ ওভারে, শেষ ওভারের প্রথম বলে রবিউল ক্যাচ দিয়েছেন মোশাররফকে, শরীফের বলে। পরের বলে উইকেটকিপার মুশফিকুর রহিমকে ক্যাচ দিয়েছে নাদিফ চৌধুরি, ৭৫ রান করে বিরুদ্ধস্রোতে দাঁড়ানো গাজী গ্রুপের একমাত্র ব্যাটসম্যান ছিলেন তিনিই। হ্যাটট্রিক বলে শেষ ব্যাটসম্যান রুহেল আহমেদ ক্যাচ দিয়েছেন মোহাম্মদ নাঈমের হাতে। ২০১৬ সালে এই গাজী গ্রুপের হয়েই নিজের প্রথম হ্যাটট্রিক করেছিলেন শরীফ! 

    ১৯২ রানের লক্ষ্য, প্রথম ওভারেই ওপেনার নাঈমকে হারানোর পর ৫ম ওভারে আব্দুল মজিদকেও হারায় রুপগঞ্জ। তৃতীয় উইকেটে নাঈম ইসলাম ও মুশফিক মিলে তোলেন ৫১ রান, ১ রানের ব্যবধানেই আবার ফেরেন দুইজন। তবে ৫ম উইকেটে তুষার ইমরান ও পারভেজ রসুলের ১০২ রানের জুটিতে ম্যাচ থেকে গাজীকে ছিটকেই দিয়েছে রুপগঞ্জ। ৩৮ রান করে জয় থেকে ৪ রান দূরে আউট হয়েছেন তুষার, ৬১ রান করে অপরাজিত ছিলেন রসুল। ৫ বল বাকি থাকতে ম্যাচ জিতেছে রুপগঞ্জ।