• ঢাকা প্রিমিয়ার ডিভিশন ক্রিকেট লিগ
  • " />

     

    তাইবুর-আবুলের দেখানো স্বপ্ন গুঁড়িয়ে দিল খেলাঘর

    তাইবুর-আবুলের দেখানো স্বপ্ন গুঁড়িয়ে দিল খেলাঘর    

    কলাবাগান-খেলাঘর, মিরপুর

    টস- কলাবাগান (বোলিং)

    খেলাঘর সমাজ কল্যাণ সমিতি ৫০ ওভারে  ২৩৮ (মেনারিয়া ৯৫, ফেরদৌস ৩/৪৪)

    কলাবাগান ক্রীড়া চক্র ৫০ ওভারে  ২২৩/৯ ( তাইবুর ৮১, আবুল ৭৬, হাসান ৩/৪৭)

    ফল- খেলাঘর ১৫ রানে জয়ী


    পুরো স্কোরকার্ড দেখুন এখানে


    লক্ষ্যটা খুব বেশি ছিল না কলাবাগানের সামনে। ২৩৯ তাড়া করতে নেমে ৩৪ রানেই নেই মুক্তার আলীর ৭ উইকেট। এরপর তাইবুর-আবুলের দারুণ এক জুটি স্বপ্ন দেখালেও শেষ পর্যন্ত জিতেছে খেলাঘরই। মিরপুরে অশোক মেনারিয়ার ৯৫ রানের ইনিংস ও বোলারদের সুবাদে কলাবাগান ক্রীড়া চক্রকে ১৫ রানে হারিয়ে এই মৌসুমের তৃতীয় জয় পেয়েছে খেলাঘর সমাজ কল্যাণ সমিতি। অন্যদিকে ৫ ম্যাচ হেরে পয়েন্ট তালিকার তলানিতেই রইল কলাবাগান।

    লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে রবিউল ইসলাম রবি ও হাসান মাহমুদের বোলিং তোপে ব্যাটিং বিপর্যয়ে পড়ে কলাবাগান। ৩ ওভারের মাঝেই ফেরেন টপ অর্ডারের প্রথম ৪ ব্যাটসম্যান। ১১ তম ওভারে কলাবাগানের স্কোর যখন মাত্র ৩৪, ৭ম ব্যাটসম্যান হিসেবে প্যাভিলিয়নে ফেরেন অধিনায়ক মুক্তার হোসেন। কলাবাগানের প্রথম ৫ ব্যাটসম্যানের কেউই ছুঁতে পারেননি দুই অংক। ১, ০, ১, ০, ২; পাঁচ ব্যাটসম্যানের রানের অঙ্কই তুলে ধরছিল তাদের ব্যাটিং দুর্দশার চিত্র। 

    কলাবাগানকে এই বিপর্যয় থেকে টেনে তোলেন তাইবুর রহমান ও আবুল হাসান। অন্যরা যেখানে দাঁড়াতেই পারেননি, দুজন বুক চিতিয়ে লড়েছেন খেলাঘরের বোলারদের বিপক্ষে। এই জুটির ১৩৬ রানেই ম্যাচে ফেরে কলাবাগান। ৪ চার ও ৩ ছয়ে ১০৭ বলে ৭৬ রান করেন আবুল হাসান, তাইবুর করেছেন ১১৩ বলে ৮১।

    তবে খেলাঘর হাল ছাড়েনি, ৪৩তম ওভারে আবুল হাসানকে ফেরান রাফসান আল মাহমুদ, ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ আবার চলে যায় খেলাঘরের কাছে। ৪তিন ওভার পর মাসুম খানের বলে তাইবুর আউট হলে জয় অনেকটাই নিশ্চিত হয় খেলাঘরের। শেষের দিকে অবশ্য সনজিত সাহা কিছুটা চেষ্টা করেছিলেন। পর্যাপ্ত বল না থাকায় ২৬ বলে তার অপরাজিত ৩১ রানের ইনিংসটি বৃথাই গেছে।

    এর আগে মিরপুরে টসে হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারালেও একপ্রান্ত আগলে রেখেছিলেন অশোক মেনারিয়া। আগের ম্যাচে অগ্রণী ব্যাংকের সাথে সেঞ্চুরি পাওয়া মেনারিয়া আজও সেঞ্চুরি পেতে পারতেন। ৭ চার ও ৪ ছয়ে পৌঁছে গিয়েছিলেন টানা দ্বিতীয় সেঞ্চুরির খুব কাছেই। ইনিংসের শেষ ওভারে সেঞ্চুরি থেকে মাত্র ৫ রান দূরে থাকতে মুক্তারের বলে সনজিতের হাতে ক্যাচ দিয়েছেন। তাকে সঙ্গ দিয়েছিলেন ৪২ রান করে রান-আউট হওয়া অমিত মজুমদার। 

    খেলাঘরের ইনিংসে হাইলাইটস মূলত এই দুইজনই। টপ অর্ডারে ছোট কিছু ইনিংসের সঙ্গে লোয়ার অর্ডারে মাসুম খান ও আনজুম আহমেদের দুই অঙ্কের ইনিংসে ঠিক ৫০ ওভার খেলেই ২৩৮ রানে অল-আউট হয়েছিল খেলাঘর। শেষ পর্যন্ত কলাবাগানের জন্য যথেষ্ট হলো সেটাই।