প্রাইম ব্যাংকের দেলোয়ার-ঝড়ে লন্ডভন্ড অগ্রণী ব্যাংক
প্রাইম ব্যাংক ২৭২/৮ (মারুফ ৫৪, মেহরাব ৫২, দেলোয়ার ৪১, শফিউল ২/৪৫, দার ২/৫০)
অগ্রণী ব্যাংক ২৩০ অল-আউট, ৪৬.৫ ওভার (ধীমান ৭৩, জাভেদ ৪৮*, দার ৪২, রুবেল ৩/৪৪, দেলোয়ার ৩/৪১)
ফল- প্রাইম ব্যাংক ৪২ রানে জয়ী
অগ্রণী ব্যাংককে হারিয়ে প্রিমিয়ার লিগে দ্বিতীয় জয় পেয়েছে প্রাইম ব্যাংক। ২৭৩ রানের লক্ষ্যে ২৩০ রানেই গুটিয়ে গেছে অগ্রণী ব্যাংক। ব্যাটিংয়ে ঝড় তোলা দেলোয়ার বোলিংয়ে ৩ উইকেট নিয়ে হয়েছেন ম্যাচসেরা।
ফতুল্লায় টসে হেরে ব্যাটিংয়ে নামা প্রাইম ব্যাংকের ইনিংসে দুই ওপেনারই করেছেন ফিফটি, এরপর আটে নামা দেলোয়ার হোসেনের ১৪ বলে ৪১ রানের ঝড়ো ইনিংসে ২৭২ পর্যন্ত গেছে তারা। আজমির আহমেদের বলে এলবিডাব্লিউ হওয়ার আগে মেহেদী মারুফ করেছেন ৬৬ বলে ৫৪ রান, মেহরাব হোসেন জুনিয়র ৮০ বলে ৫২ করে ক্যাচ দিয়েছেন রাজা আলি দারের বলে। ৮০ রানের ব্যবধানে ৫ উইকেট হারানো প্রাইম ব্যাংককে আগলে রেখেছিলেন আরিফুল হক ও দেলোয়ারই।
৪৬তম ওভারে নেমেছিলেন দেলোয়ার, প্রাইম ব্যাংকের রান তখন ৬ উইকেটে ২১২। দেলোয়ার ঝড় শুরু করেছেন দারকে পরপর দুই বলে দুই ছয় মেরে। সবচেয়ে বড় ঝড় গেছে আব্দুর রাজ্জাকের ওপর দিয়ে, ৪৯তম ওভারে তিন ছয়ে তার ওভারে ২২ রান নিয়েছেন দেলোয়ার। শেষ ওভারের শেষের আগের বলে শফিউলকে ছয় মেরেছেন, শেষ চার ওভারে প্রাইম ব্যাংক তুলেছে ৫৯ রান! আট বোলার ব্যবহার করেছে অগ্রণী ব্যাংক, ২টি করে উইকেট নিয়েছেন দার ও শফিউল।
অগ্রণী ব্যাংকের শুরুটা হয়েছে যাচ্ছেতাই রকমের, ১৫ রানেই গেছে ৩ উইকেট, ফিরেছেন আজমির আহমেদ, সৌম্য সরকার ও শাহরিয়ার নাফিস। রাজা দার ও ধীমান ঘোষ মিলে ৪র্থ উইকেটে যোগ করেছেন ৯৫ রান, যে জুটি ভেঙেছে ইউসুফ পাঠানের বলে দেলোয়ারের হাতে দার ক্যাচ দেওয়ায়। ধীমান ছিলেন আরও কিছুক্ষণ, ৭৩ রানে তিনিও দিয়েছেন ক্যাচ, তার আগে অগ্রণী ব্যাংক হারিয়েছে সালমান হোসেনের উইকেটও।
দার-ধীমানের মতো চেষ্টা করেছিলেন জাহিদ জাভেদ ও মোহাম্মদ ইশাক। ৯ম উইকেটে দুইজনের ৫৬ রানের জুটিও অবশ্য যথেষ্ট হয়নি, ১৯ বল ও জয় থেকে ৪৩ রান দূরে থাকতেই অল-আউট হয়ে গেছে অগ্রণী ব্যাংক। জাভেদ অপরাজিত ছিলেন ৪৮ রানে, ইশাক করেছেন ৩৪। দেলোয়ারের মতো ৩টি উইকেট নিয়েছেন রুবেল হোসেন, ২টি নিয়েছেন শরিফুল হাসান।