শোয়েনস্টেইগারের প্রাপ্যটা দেননি মরিনহো
বাস্তিয়ান শোয়েনস্টেইগারকে বায়ার্ন মিউনিখ থেকে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডে নিয়ে এসেছিলেন লুই ফন হাল। ওল্ড ট্রাফোর্ড থেকে ডাচ ম্যানেজার ছাঁটাই হওয়ার পর শোয়েনস্টেইগারও খুব বেশিদিন থাকতে পারেননি সেখানে। নতুন ম্যানেজার হোসে মরিনহোর অধীনে জার্মান বিশ্বকাপজয়ী মিডফিল্ডারকে খেলতে হয়েছিল রিজার্ভ দলে। এরপর গত মার্চে শিকাগো ফায়ার্সে যোগ দেওয়ার আগ পর্যন্ত মাত্র তিনবার রেড ডেভিলদের হয়ে মাঠে নামার সুযোগ পেয়েছিল শোয়েনস্টেইগার, তাও বদলি হিসেবে।
পরে অবশ্য মরিনহো নিজেই ভুলটা স্বীকার করেছিলেন, শোয়েনস্টেইগারের সাথে তার আচরণটা ঠিক ছিল না বলেই জানিয়েছিলেন। কিন্তু দোষ স্বীকার করেও ফন গালের সমালোচনার হাত থেকে রেহাই মেলেনি মরিনহোর। "শোয়েনস্টেইগারের বয়স হয়েছিল। কিন্তু এমন কোনো বয়স ছিল না তার!" বিল্ডকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে বলেছেন ফন গাল।
"প্রিমিয়ার লিগের শরীর নির্ভর খেলার সাথে মানিয়ে নেওয়ার মতো অবস্থায় সে তখনও ছিল না! বায়ার্ন আমাদের কাছে ফিট খেলোয়াড়ই দিয়েছিল কিন্তু ততোদিনে সে আসলে শারীরিকভাবে শেষদিকে চলে এসেছিল।"
"কিন্তু আমি চলে যাওয়ার পর মরিনহো তার সাথে যে ব্যবহার করেছে সেটা মোটেই শোয়েনির (শোয়েনস্টেইগার) প্রাপ্য ছিল না। এটাই প্রমাণ করে তার সাথে কী হয়েছিল ওখানে। ব্যাপারটা লজ্জার! ও লুইস এনরিকে, ভ্যান বোমেল, ফিলিপ লামদের মতো খেলোয়াড় ছিল। যাদের উপস্থিতিই বদলে দিতে পারত খেলা।"
ইউনাইটেডে কাটানো দুই বছরে এফএ কাপ জেতা ছাড়া আর কোনো সাফল্যের দেখা পাননি ফল হাল। তবে দলের চেহারা বদলাতে আরও দুই জার্মান ফুটবলারকে দলে ভেড়াতে চেয়েছিলেন বলে জানিয়েছেন তিনি। ম্যাটস হামেলসকে শেষ পর্যন্ত দলে ভেড়ানোর কারণ হিসেবে বলেছেন তার তখনকার নিম্নগামী ফর্মের কথা। ফন গালের পছন্দের তালিকায় আরেকজন ছিলেন থমাস মুলার। তিনিও চাইলেও বায়ার্ন মিউনিখ মুলারকে ছাড়তে রাজি হয়নি বলেই জানিয়েছেন ফল গাল।