স্মিথ-ওয়ার্নারদের বড় কিছু করতে দিলেন না ফিল্যান্ডার-মহারাজ
প্রথম দিন শেষে
অস্ট্রেলিয়া ১ম ইনিংস
৭৬ ওভারে ২২৫/৫ ( স্মিথ ৫৬, ওয়ার্নার ৫১, মার্শ ৪০; ফিল্যান্ডার ২/৩৬, মহারাজ ২/৬৯)
ডারবানের প্রথম দিনটা টিভিতে দেখে থাকলে একটু ধন্দেই পড়ে যেতে পারেন। উইকেটে খুব একটা বাউন্স-পেস নেই। বরং প্রথম দিনেই স্পিন ধরেছে। বল ঠিক অনুমান মেনে চলেনি, কখনো নিচুও হয়ে গেছে। ব্যাট করা সহজ ছিল না মোটেই। দিন শেষে যে ২২৫ রানে ৫ উইকেট নিয়ে শেষ করেছে অস্ট্রেলিয়া, সেজন্য খুব বেশি অসন্তুষ্ট হবেন না স্টিভ স্মিথ। তবে দক্ষিণ আফ্রিকা অধিনায়ক ফাফ ডু প্লেসির হতাশার কারণ আছে। আলোকস্বল্পতায় ১৪ ওভার আগে খেলা শেষ না হলে তো হয়তো আরও এক দুইটি উইকেট শেষ বিকেলে নিতেই পারত স্বাগতিকেরা।
টসে জিতে ডারবানে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল অস্ট্রেলিয়া। শুরুতেই খায় হোঁচট, ৫ রানেই ফিরে যান ক্যামেরন ব্যানক্রফট। উসমান খাজাও টেকেননি বেশিক্ষণ, রাবাদার বলে আউট হয়ে গেছেন ১৪ রানে। অস্ট্রেলিয়ার রান তখন ২১ উইকেটে ৩৯।
ডেভিড ওয়ার্নার অবশ্য শুরু থেকেই মনে করিয়ে দিচ্ছিলেন, দক্ষিণ আফ্রিকায় তাঁর রেকর্ড কতটা দুর্দান্ত। ৭২ বলেই করে ফেলেছিলেন ফিফটি। কিন্তু ৫১ রানেই হলো সর্বনাশ, ফিল্যান্ডারের বলে দ্বিতীয় স্লিপে ডি ভিলিয়ার্সকে ক্যাচ তুলে দিয়েছেন ওয়ার্নার। ৯৫ রানে তৃতীয় উইকেট হারাল অস্ট্রেলিয়া।
স্মিথ অবশ্য ছিলেন, বার বার মনে করিয়ে দিচ্ছেন কেন তাঁকে আউট করা এই সময়ের বোলারদের সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ। কিন্তু শেষ পর্যন্ত নিজেই উইকেটটা দিয়ে আসার সিদ্ধান্ত নিলেন। কেশব মহারাজের অফ স্টাম্পের বাইরের বলটা কাট করতে গিয়ে ডি ককের গ্লাভসে লেগে উঠে গেল ওপরে। ডি ভিলিয়ার্স ক্যাচটা নিতে ভুল করেননি। দুর্ভাগা স্মিথ আউট ৫৬ রানে, মার্শের সঙ্গে তাঁর জুটিটাও ৫৬ রানের।
মার্শ অবশ্য আউট হতে পারতেন আগেই। এলবিডব্লু হয়েও রিভিউ না থাকায় দক্ষিণ আফ্রিকা তাঁকে ফেরত পাঠাতে পারেনি। শেষ পর্যন্ত মহারাজের বলে ৪০ রানে ক্যাচ দিয়েছেন ডি ভিলিয়ার্সকে। ১৭৭ রানে ৫ উইকেট হারিয়েছে অস্ট্রেলিয়া।
এরপর অবশ্য মিচেল মার্শ আর টিম পেইন কোনো বিপদ হতে দেননি। দুজনের ৪৮ রানের জুটিটা হতাশই করে গেছে রাবাদাদের।