• ঢাকা প্রিমিয়ার ডিভিশন ক্রিকেট লিগ
  • " />

     

    উড়ন্ত আবাহনীকে নামিয়ে আনল প্রাইম ব্যাংক

    উড়ন্ত আবাহনীকে নামিয়ে আনল প্রাইম ব্যাংক    

    প্রাইম ব্যাংক-আবাহনী, বিকেএসপি
    টস- প্রাইম ব্যাংক (ব্যাটিং)
    প্রাইম ব্যাংক ২৪৬ অল-আউট, ৪৯.২ ওভার (আল-আমিন ৮৪, জাকির ৬২, মাশরাফি ৪/৪১, সাকলাইন ২/৪৭, গণি ২/৫৩)
    আবাহনী লিমিটেড ২৩৭/৯, ৫০ ওভার (সাইফ ৭৫, নাসির ৬৫, শরিফুল ৪/৫১, দেলোয়ার ২/৪৩)
    ফল- প্রাইম ব্যাংক ৯ রানে জয়ী  


    টানা ছয় জয়- প্রিমিয়ার লিগে উড়ছিল আবাহনী। এ মৌসুমে তাদেরকে প্রথম পরাজয়ের স্বাদ দিল প্রাইম ব্যাংক। বিকেএসপিতে মাশরাফি বিন মুর্তজার অলরাউন্ড পারফরম্যান্সকে ছাপিয়ে গেছেন আল-আমিন, শরিফুলরা। সাত ম্যাচে এটি তৃতীয় জয় প্রাইম ব্যাংকের। 

    টসে জিতে ব্যাটিংয়ে নামা প্রাইম ব্যাংক শুরুতেই খেয়েছে ধাক্কা। প্রথম ওভারের পঞ্চম বলে মেহরাব জুনিয়র ক্যাচ দিয়েছেন উইকেটকিপার এনামুল হকের হাতে, মাশরাফির বলে। প্রথম স্পেলে মাশরাফি করেছেন ছয় ওভার, নবম ওভারে একইভাবে আউট করেছেন মেহেদী মারুফকেও। 

    তৃতীয় উইকেটে জাকির ও আল-আমিন মিলে যোগ করেছেন ৬৯ রান, ৬২ রান করে সাকলাইন সজীবের বলে ক্যাচ দিয়ে জাকির ফিরলেও ছিলেন আল-আমিন, ভারতীয় ব্যাটসম্যান ইউসুফ পাঠানের সঙ্গে তার জুটি ৬৬ রানের। ৮৪ রান করে আল-আমিন শিকার আরেক ভারতীয় মানপ্রিত গণির। 

    ৬৯ রানে শেষ ৭ উইকেট হারিয়েছে প্রাইম ব্যাংক। নয় নম্বরে নামা অধিনায়ক মনির হোসেনের ১৫ বলে ২০ রানের ইনিংসে একটু এগিয়েছিল দোলেশ্বর। তিনিও হয়েছেন গণির বলে বোল্ড। দ্বিতীয় ও শেষ স্পেলে এসে মাশরাফি নিয়েছেন আরও দুইটি উইকেট, এ নিয়ে এবারের মৌসুমে ১৯ উইকেট হলো তার। উইকেটশিকারির তালিকায় সবার ওপরেই তিনি। গণির মতো দুই উইকেট নিয়েছেন সাকলাইন সজীবও। 

    ২৪৭ রানের লক্ষ্যে  আবাহনীর শুরুটা হয়েছিল প্রাইম ব্যাংকের চেয়েও বাজে। ১৭ রানের মাঝেই নেই এনামুল, মিঠুন ও শান্ত- আবাহনীকে সে বিপদ থেকে উদ্ধার করেছে সাইফ হাসান ও নাসির হোসেনের ১২৭ রানের জুটি। মিঠুন ও শান্তর পর নাসির- তিনজনই শিকার শরিফুল হোসেনের। এই ডানহাতি পেসার পরে নিয়েছেন আরও ১টি উইকেট।

    ৯ রানের মাঝে ২ উইকেটে ধাক্কা খেয়েছে আবার আবাহনী, এবার ত্রাতা মোহাম্মদ রাকিব ও মাশরাফি বিন মুর্তজার ৩৮ রানের জুটি। 

    তবে রান-বলের ব্যবধান বেড়েছেই শুধু, রাকিব আউট হওয়ার সময় প্রয়োজন ছিল ১৬ বলে ৩১ রানের। গণি নেমে একটি ছয় মারার পরই হয়েছেন আউট, পারেননি মাশরাফিও। ৪৯তম ওভারে দেলোয়ারের বলে ক্যাচ দিয়েছেন ২১ বলে ২২ রান করে, সে ওভারে দেলোয়ার দিয়েছেন ৪ রান। 

    শেষ ওভারে আবাহনীর প্রয়োজন ছিল ১৯ রান, সানজামুল ও সাকলাইন মিলে পাঠানের সে ওভারে নিতে পেরেছেন ৯ রান।