• ঢাকা প্রিমিয়ার ডিভিশন ক্রিকেট লিগ
  • " />

     

    হেরেই চলেছে গাজী গ্রুপ

    হেরেই চলেছে গাজী গ্রুপ    

    গাজী গ্রুপ-শেখ জামাল, মিরপুর
    টস- শেখ জামাল (ব্যাটিং) 
    শেখ জামাল ২৬৫/৮, ৫০ ওভার (সৈকত ১১৫, হাসানুজ্জামান ৪৫, নাঈম ২/৪৯, কামরুল ২/৬৪) 
    গাজী গ্রুপ ১৭০ অল-আউট, ৪২.৪ ওভার (গুরকিরাত ৬৭, মেহেদি ৩৬, কামরুল ২/২৯, ইলিয়াস সানি ২/৩৮)
    ফল- গাজী গ্রুপ ৯৫ রানে জয়ী


    গাজী গ্রুপ বোধহয় নিজেরাই ভুলে যাচ্ছে, ঠিক আগের মৌসুমেরই চ্যাম্পিয়ন তারা! ৭ ম্যাচে এ নিয়ে তারা হারল ৫ম বার, পয়েন্ট টেবিলে তাদের নিচে শুধু কলাবাগান ক্রীড়া চক্র। মিরপুরে সৈকত আলির সেঞ্চুরির ভিতে দাঁড়িয়ে করা শেখ জামালের ২৬৫ রানের জবাবে ১৭০ রানেই গুটিয়ে গেছে গাজী গ্রুপ। ৭ ম্যাচে এটি চতুর্থ জয় জামালের। 

    শূন্য রানের ইনিংসে মৌসুম শুরু করেছিলেন সৈকত আলি, এরপর বড় স্কোরের আভাস দিয়েছেন বেশ কয়েকবারই। আজ সেটা পেলেন, লিস্ট ‘এ’ ক্যারিয়ারের দ্বিতীয় সেঞ্চুরি করে ছাড়িয়ে গেলেন নিজের সর্বোচ্চ স্কোরকেও। ১১৮ বলে ৬ চার ও ৫ ছয়ে ১১৫ রান করার পর অবশ্য ৪৩তম ওভারে চোট পেয়ে উঠে যেতে হয়েছে তাকে, ব্যাটিং করেননি আর। মাঝে জালাজ সাক্সেনা ও জিয়াউর রহমানকে পরপর দুই বলে হারিয়ে চাপেই পড়েছিল তারা। তবে হাসানুজ্জামানের ৪৫, সোহাগ গাজীর ৪২ রানের সঙ্গে ছয়ে নামা অধিনায়ক ইলিয়াস সানির ৩৩ রানের ইনিংসে ২৬৫ রান তোলে শেখ জামাল। 

    গাজী গ্রুপ অবশ্য চাপে ছিল পুরো ইনিংসেই। ৭৯ রানে নেই ৫ উইকেট, যা একটু চাপ আলগা করার চেষ্টা করেছিলেন গুরকিরাত সিংয়ের সঙ্গে নাদিফ চৌধুরি, দুইজনের জুটিতে এসেছে ৬৪ রান। গুরকিরাত ইলিয়াস সানিকে ফিরতি ক্যাচ দেওয়ার আগে করেছেন ৬৭ রান। এরপর দ্বিতীয় সর্বোচ্চ স্কোর ওপেনিংয়ে নামা মেহেদি হাসানের ৩৬, তারপর নাদিফের ২০। 

    শেখ জামালের বোলাররা বলতে গেলে মিলেমিশেই ধ্বংস করেছেন গাজী গ্রুপের ইনিংস। সাজেদুল হাসান, সোহাগ গাজী, কাজী কামরুল ও ইলিয়াস সানি- প্রত্যেকেই নিয়েছেন ২টি করে উইকেট। সাক্সেনা ও রবিউল হক নিয়েছেন ১টি করে উইকেট। 

    ১৬১ রানে দাঁড়িয়ে ২ উইকেট হারিয়েছে গাজী গ্রুপ, ১৭০ রানে আরও ২টি হারিয়ে ৪২.৪ ওভারেই গুটিয়ে গেছে তারা।