বিশ্বকাপেও থাকছে ভিএআর
এই পদ্ধতি নিয়ে আলোচনার শেষ নেই। গত দেড় বছরে ভিডিও অ্যাসিস্ট্যান্ট রেফারি জন্ম দিয়েছে বেশ কিছু বিতর্কের। দু বছরের পরীক্ষা নিরিক্ষা শেষে ফিফার পক্ষ থেকে আজ জানানো হয়েছে, আগামী বিশ্বকাপেও থাকছে এই রিভিউ পদ্ধতি।
ইউরোপের বিভিন্ন লিগেই এই মৌসুমে ব্যবহার করা হচ্ছে ভিডিও অ্যাসিস্ট্যান্ট রেফারি। প্রশংসার পাশাপাশি অনেক সমালোচনাও কুড়িয়েছে এটি। ভবিষ্যতে এই পদ্ধতি স্থায়ীভাবে আসন গেড়ে বসবে কিনা, সে নিয়েও রয়েছে দ্বিমত।
ফিফা প্রেসিডেন্ট জিয়ান্নি ইনফানটতিনোর অবস্থানও কিন্তু ভিএআরের পক্ষেই, ‘বিশ্বকাপের ম্যাচে এমন কোনো সিদ্ধান্ত দেওয়া হবে, যা রেফারি ছাড়া সবাই বুঝতে পারছে, এরকমটা দেখতে চাই না। তাই বিশ্বকাপেও এই পদ্ধতি রাখা হবে স্বচ্ছতার জন্য।’
এদিকে রেফারি মাসিমো বুসাকা বলছেন, শুরুতেই সঠিকভাবে কাজ না করলেও বিশকাপে ভিএআর প্রয়োগ করা উচিত, ‘নতুন যেকোনো পদ্ধতিই শতভাগ কার্যকর হতে কিছুটা সময় নেয়। প্রথম দিন থেকেই তো আর নিখুঁত হবে না। এই কয়েক মাসের পরীক্ষামূলক ব্যবহার আমাদের দেখিয়েছে যে, এটা প্রায় ৯৯ শতাংশ সফল।’
২০১৪ বিশ্বকাপে প্রথমবারের মতো গোললাইন প্রযুক্তি ব্যবহার করা হয়েছিল। সেই থেকে এই পদ্ধতি দাপটের সাথেই টিকে আছে। ফিফার আশা, ভিডিও অ্যাসিস্ট্যান্ট রেফারিও টিকে থাকবে একইভাবে।